এক দিনেই ডিএসইর সূচক বাড়ল ৯%
টানা চার দিন পতনের পর গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক এক দিনেই ৯ শতাংশ বা ৩২৯ পয়েন্ট বেড়েছে। ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারির পর এটিই এক দিনে সূচকের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। ডিএসইর সাধারণ সূচক সাড়ে ১৫ শতাংশ বা এক হাজার ১২ পয়েন্ট বেড়েছিল। সেটিই ছিল দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এক দিনে সূচকের সর্বোচ্চ উত্থান।
মূল্যসূচকের বড় ধরনের উত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে লেনদেন হওয়া সব কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধি। লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই এসব কোম্পানির অধিকাংশই দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা (সার্কিট ব্রেকার) স্পর্শ করে।
ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে।
পুঁজিবাজার নিয়ে সোমবার জাতীয় সংসদে যে আলোচনা হয়েছে, তার কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব গতকালের বাজারে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকেই মনে করছেন।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘টানা দরপতনে বাজার যে পর্যায়ে নেমে এসেছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা সামান্য কিছু ইতিবাচক খবরেই নতুন করে আশার আলো দেখছেন। সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ে জাতীয় সংসদে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে অনেক বিনিয়োগকারীর মনে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। এর প্রতিফলন বাজারে দেখা গেছে। যেহেতু বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে রয়েছেন, তাই যখন দাম বাড়তে শুরু করেছে, তখনই তাঁরা হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারণে গতকাল অধিকাংশ কোম্পানিরই বিক্রেতা ছিলেন না।’
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দিনের শেষে ১৮০টিই বিক্রেতাশূন্য ছিল। এর আগে এসব কোম্পানি দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
তবে বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বেশির ভাগই গতকালের মূল্যসূচকের উত্থানকে কিছুটা অস্বাভাবিক বলে অভিহিত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, অস্বাভাবিক দরপতনের পর বাজারের এমন আচরণ স্বাভাবিক।
এদিকে, এক দিনে মূল্যসূচকের ৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে গতকাল দিনের শেষে ঢাকার বাজারের সাধারণ মূল্যসূচক বেড়ে আবারও চার হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এই সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৪৫ পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল সাড়ে ৭ শতাংশ বা ৮১২ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে ওঠে।
চট্টগ্রামের বাজারে ১৯২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ছয়টি বাদে বাকি সবগুলোরই দাম বেড়েছে।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বেশির ভাগ কোম্পানির বিক্রেতা শূন্য থাকায় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ঢাকার বাজারে মঙ্গলবার ১৯১ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২১ কোটি টাকা কম। সিএসইতে এই দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে এক কোটি টাকা কম।
ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শতাংশের হিসাবে গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর সবগুলোই যদি দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করত, তাহলে সূচক সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে তিন শ পয়েন্টের মতো বাড়তে পারত।
এদিকে গতকাল বিকেলে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেননের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আস্থার ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজার বিকশিত না হলে এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ধসের ঘটনার উদাহরণ পৃথিবীর আর কোথাও নেই উল্লেখ করে মেনন বলেন, এই সংকট থেকে বের হতে হলে সংসদ ও সংসদের বাইরে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে।
রাজধানীর শহীদ আসাদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে।
পুঁজিবাজার নিয়ে সোমবার জাতীয় সংসদে যে আলোচনা হয়েছে, তার কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব গতকালের বাজারে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকেই মনে করছেন।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘টানা দরপতনে বাজার যে পর্যায়ে নেমে এসেছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা সামান্য কিছু ইতিবাচক খবরেই নতুন করে আশার আলো দেখছেন। সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ে জাতীয় সংসদে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে অনেক বিনিয়োগকারীর মনে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। এর প্রতিফলন বাজারে দেখা গেছে। যেহেতু বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে রয়েছেন, তাই যখন দাম বাড়তে শুরু করেছে, তখনই তাঁরা হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারণে গতকাল অধিকাংশ কোম্পানিরই বিক্রেতা ছিলেন না।’
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দিনের শেষে ১৮০টিই বিক্রেতাশূন্য ছিল। এর আগে এসব কোম্পানি দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
তবে বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বেশির ভাগই গতকালের মূল্যসূচকের উত্থানকে কিছুটা অস্বাভাবিক বলে অভিহিত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, অস্বাভাবিক দরপতনের পর বাজারের এমন আচরণ স্বাভাবিক।
এদিকে, এক দিনে মূল্যসূচকের ৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে গতকাল দিনের শেষে ঢাকার বাজারের সাধারণ মূল্যসূচক বেড়ে আবারও চার হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এই সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৪৫ পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল সাড়ে ৭ শতাংশ বা ৮১২ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে ওঠে।
চট্টগ্রামের বাজারে ১৯২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ছয়টি বাদে বাকি সবগুলোরই দাম বেড়েছে।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বেশির ভাগ কোম্পানির বিক্রেতা শূন্য থাকায় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ঢাকার বাজারে মঙ্গলবার ১৯১ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২১ কোটি টাকা কম। সিএসইতে এই দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে এক কোটি টাকা কম।
ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শতাংশের হিসাবে গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর সবগুলোই যদি দরবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করত, তাহলে সূচক সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে তিন শ পয়েন্টের মতো বাড়তে পারত।
এদিকে গতকাল বিকেলে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেননের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আস্থার ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজার বিকশিত না হলে এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ধসের ঘটনার উদাহরণ পৃথিবীর আর কোথাও নেই উল্লেখ করে মেনন বলেন, এই সংকট থেকে বের হতে হলে সংসদ ও সংসদের বাইরে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে।
রাজধানীর শহীদ আসাদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments