আসামি ৯ পুলিশ ও ৩ চিকিৎসক-রাজশাহীতে জামায়াতকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা

রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে জামায়াতের কর্মী শফিকুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত শফিকুলের স্ত্রী নীলা খাতুন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলা করেন।


মামলায় পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাসহ নয়জন সদস্য, তিনজন চিকিৎসক ও অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (এসি) শাহাদৎ হোসেন, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রোকনুজ্জামান, বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান, এসআই (আর্মড) হাসিবুল ইসলাম, কনস্টেবল ফারুক, সোলায়মান, জাফর ইকবাল ও হাসানুজ্জামান এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মুনসুর রহমান, প্রভাষক এ এস এম রওশন নেওয়াজ ও প্রভাষক জিনাত আলী।
মুখ্য মহানগর হাকিম মেসবাহ-উল হক অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রেকর্ড করে তদন্তের জন্য নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন।
বোয়ালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান মো. শাহরিয়ার গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি। মামলার অনুলিপি বা আদালতের নির্দেশনা এখনো পাইনি।’
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি চারদলীয় জোটের গণমিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বেলা তিনটা থেকে রাজশাহী মহানগরের লোকনাথ হাইস্কুল ও এর আশপাশে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসি শাহাদৎ হোসেন, ডিবির এসি রোকনুজ্জামান, এসআই হাফিজুর রহমান, হাসিবুল ইসলামসহ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থালে হাজির হন। তাঁরা জামায়াতের কর্মীদের গালাগাল করতে থাকেন। কারণ জিজ্ঞাসা করলে মনিরুজ্জামান ও শাহাদৎ হোসেন পুলিশ সদস্যদের হুকুম দেন, ‘শালাদের লাশ ফেলে দাও।’ এরপর এসি শাহাদৎ হোসেন এক কনস্টেবলের হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লোকজনের ওপরে গুলি চালাতে থাকেন। এতে জামায়াতের কর্মী শফিকুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান।
আরজিতে আরও বলা হয়, স্বামীর লাশ দেখতে বাদী হাসপাতালে যান। কিন্তু পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে লাশ দেখতে দেয়নি। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তিন চিকিৎসক পুলিশের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ফরমায়েশি ময়নাতদন্ত করেন।

No comments

Powered by Blogger.