কৌতুক-গ্রন্থনা: তাওহিদ মিলটন
ওয়েবসাইট অবলম্বনে বাবার ইন্টারভিউ ছোট্ট মেয়েটি এসে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, ‘বাবা, আম্মু কি আমার যত্ন নেয়?’
চোখ বড় বড় করে বাবা খুব আদুরে গলায় বলল, ‘অবশ্যই! আম্মু তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমাকে খাইয়ে দেয়। অসুখ হলে তোমার সেবা-যত্ন করে। তোমাকে গান গেয়ে শোনায়।’
চোখ বড় বড় করে বাবা খুব আদুরে গলায় বলল, ‘অবশ্যই! আম্মু তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমাকে খাইয়ে দেয়। অসুখ হলে তোমার সেবা-যত্ন করে। তোমাকে গান গেয়ে শোনায়।’
‘দাদুভাই কি আমার যত্ন নেয়?’
‘অবশ্যই! দাদুভাই তোমাকে গল্প শোনায়। তোমার জন্য সুন্দর সুন্দর গিফট, চকলেট নিয়ে আসে।’
‘আর দাদুমণি?’
‘দাদুমণিও।’
‘আর ফুপি?’
‘ফুপি তো তোমার জন্য পাগল। ছুটি পেলেই তোমাকে দেখতে চলে আসে।’
‘আ...র রহিমার মা?’
‘ও, ও তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়, বিছানা ঠিক করে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়।’
সবকিছু শুনে ছোট্ট মেয়েটি সন্তুষ্ট হয়ে বলবে, ‘তাহলে তো আম্মু ঠিকই বলেছে। এ বাসায় একমাত্র তুমিই কোনো কাজের না।’
বিপরীতে হিত
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে জ্যাক দেখল, বিছানার সাইড টেবিলে একটা চিরকুট। তার বউ রেখে গেছে। সেখানে লেখা—প্রিয়তম, রান্নাঘরে তোমার জন্য নাশতা তৈরি আছে। তুমি উঠে নাশতা সেরে নিয়ো। আমি বাজার থেকে ফিরে দুপুরের জন্য রান্না করব। দুপুরে আমরা আজ একটু ভালো-মন্দ খাব।
জ্যাক ভালো করে চোখ কচলে গতকাল থেকে কী কী ঘটেছে তা মনে করার চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই তার কিছু মনে পড়ল না। শুধু এইটুকু মনে আছে, গতকাল একটা ক্লাবে পার্টি ছিল। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে প্রচুর আনন্দ করেছে। ড্রিংক করেছে। এরপর আর কিছুই মনে নেই তার। হ্যাংওভার হয়েছিল!
তখন সে বাসার কাজের ছেলেটাকে ডাকল। ‘এই বল তো, গতকাল রাতে কী হয়েছিল?’
‘আপনি তো পার্টি থেকে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বাসায় ফেরেন। আপনার তখন কোনো হুঁশ-জ্ঞান ছিল না। ভাবি আপনাকে টেনে গোসল করানোর জন্য বাথরুমে নিয়ে যান। ভাবি যখন আপনার শার্টের বোতাম খুলছিলেন তখন আপনি ধমকের সুরে বলছিলেন, এই দেখো ভালো হবে না কিন্তু। আমি বিবাহিত। বাসায় আমার বিবাহিত স্ত্রী আছে। এরপর আমার গায়ে কেউ হাত দিলে ওই হাত আমি কেটে ফেলব।’
তারপর?
তারপর আর কী! এরপর থেকে দেখি ভাবি মহাখুশি!
প্রশংসা
মশার বাচ্চা প্রথমবারের মতো উড়তে বের হয়েছে। সারা রাত উড়ে সকালের দিকে বাসায় আসার পর মশার বাবা জিজ্ঞেস করল—‘তো বাবা, উড়ে কেমন মজা পেলে?’
মশার বাচ্চাটি উত্তর দিল, ‘উড়ে অনেক মজা বাবা। কী বলব আর সে কথা। যত মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে, সবাই কত হাততালি দিল!’
ফোনবিল
এক মাসে বাসার ফোনবিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি এল। বাসায় জরুরি মিটিং বসল।
বাবা বলল, ‘আমি গত মাসে বাসার ফোনটা একবারও ধরিনি। আমি সব ফোন করেছি অফিসের ফোন থেকে।’
তখন মা এসে বলল, ‘আমিও গত মাসে কোনো ফোন বাসা থেকে করেছি বলে মনে হয় না। আমার সমিতির অফিসের ফোনটাই আমি ব্যবহার করি।’
একমাত্র ছেলে এসে বলল, ‘আমার তো বাসা থেকে ফোন করার প্রশ্নই আসে না। কোম্পানি আমাকে মোবাইল বিল দেয়। আমি অফিসের সেই মোবাইল ব্যবহার করি।’
এরপর বাসার কাজের মেয়ে এসে বলল, ‘তাহলে তো কোনো সমস্যাই দেখি না। আমরা সবাই যার যার অফিসের ফোন ব্যবহার করি!’
কৌতূহল
সেদিন এক লোক সিঙ্গাপুরের রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। একটা সিগন্যাল অতিক্রম করার সময় সে দেখল, রাস্তার পাশে রাখা ক্যামেরা তার ছবি তুলেছে। লোকটা তড়িঘড়ি করে স্পিডমিটার চেক করল। কিন্তু না, সবই ঠিক আছে। তাহলে ছবি তুলল কেন? লোকটার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না। সে ভাবল, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। তাই সে বিষয়টা আরেকটু পরীক্ষা করার জন্য একটু ঘুরে আবার ওই রাস্তায় এল। আবারও ক্যামেরা তার ছবি তুলল। এবার গাড়ির গতি গতবারের চেয়ে কম ছিল। তার কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সে ভাবল, নিশ্চয় কোথাও কোনো বড় রকমের ঝামেলা হয়েছে। এভাবে সে আরও তিনবার একই সিগন্যাল অতিক্রম করল। প্রতিবার গতি আগেরবারের চেয়ে কমিয়ে দিয়ে। কিন্তু ক্যামেরা প্রতিবারই তার ছবি তুলল।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর লোকটার ঠিকানায় তার নামে পাঁচটা চিঠি এল। সিটবেল্ট না বেঁধে ড্রাইভিং করার অপরাধে পাঁচটা চিঠিতেই তাকে জরিমানা করা হয়েছে!
‘অবশ্যই! দাদুভাই তোমাকে গল্প শোনায়। তোমার জন্য সুন্দর সুন্দর গিফট, চকলেট নিয়ে আসে।’
‘আর দাদুমণি?’
‘দাদুমণিও।’
‘আর ফুপি?’
‘ফুপি তো তোমার জন্য পাগল। ছুটি পেলেই তোমাকে দেখতে চলে আসে।’
‘আ...র রহিমার মা?’
‘ও, ও তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়, বিছানা ঠিক করে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়।’
সবকিছু শুনে ছোট্ট মেয়েটি সন্তুষ্ট হয়ে বলবে, ‘তাহলে তো আম্মু ঠিকই বলেছে। এ বাসায় একমাত্র তুমিই কোনো কাজের না।’
বিপরীতে হিত
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে জ্যাক দেখল, বিছানার সাইড টেবিলে একটা চিরকুট। তার বউ রেখে গেছে। সেখানে লেখা—প্রিয়তম, রান্নাঘরে তোমার জন্য নাশতা তৈরি আছে। তুমি উঠে নাশতা সেরে নিয়ো। আমি বাজার থেকে ফিরে দুপুরের জন্য রান্না করব। দুপুরে আমরা আজ একটু ভালো-মন্দ খাব।
জ্যাক ভালো করে চোখ কচলে গতকাল থেকে কী কী ঘটেছে তা মনে করার চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই তার কিছু মনে পড়ল না। শুধু এইটুকু মনে আছে, গতকাল একটা ক্লাবে পার্টি ছিল। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে প্রচুর আনন্দ করেছে। ড্রিংক করেছে। এরপর আর কিছুই মনে নেই তার। হ্যাংওভার হয়েছিল!
তখন সে বাসার কাজের ছেলেটাকে ডাকল। ‘এই বল তো, গতকাল রাতে কী হয়েছিল?’
‘আপনি তো পার্টি থেকে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বাসায় ফেরেন। আপনার তখন কোনো হুঁশ-জ্ঞান ছিল না। ভাবি আপনাকে টেনে গোসল করানোর জন্য বাথরুমে নিয়ে যান। ভাবি যখন আপনার শার্টের বোতাম খুলছিলেন তখন আপনি ধমকের সুরে বলছিলেন, এই দেখো ভালো হবে না কিন্তু। আমি বিবাহিত। বাসায় আমার বিবাহিত স্ত্রী আছে। এরপর আমার গায়ে কেউ হাত দিলে ওই হাত আমি কেটে ফেলব।’
তারপর?
তারপর আর কী! এরপর থেকে দেখি ভাবি মহাখুশি!
প্রশংসা
মশার বাচ্চা প্রথমবারের মতো উড়তে বের হয়েছে। সারা রাত উড়ে সকালের দিকে বাসায় আসার পর মশার বাবা জিজ্ঞেস করল—‘তো বাবা, উড়ে কেমন মজা পেলে?’
মশার বাচ্চাটি উত্তর দিল, ‘উড়ে অনেক মজা বাবা। কী বলব আর সে কথা। যত মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে, সবাই কত হাততালি দিল!’
ফোনবিল
এক মাসে বাসার ফোনবিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি এল। বাসায় জরুরি মিটিং বসল।
বাবা বলল, ‘আমি গত মাসে বাসার ফোনটা একবারও ধরিনি। আমি সব ফোন করেছি অফিসের ফোন থেকে।’
তখন মা এসে বলল, ‘আমিও গত মাসে কোনো ফোন বাসা থেকে করেছি বলে মনে হয় না। আমার সমিতির অফিসের ফোনটাই আমি ব্যবহার করি।’
একমাত্র ছেলে এসে বলল, ‘আমার তো বাসা থেকে ফোন করার প্রশ্নই আসে না। কোম্পানি আমাকে মোবাইল বিল দেয়। আমি অফিসের সেই মোবাইল ব্যবহার করি।’
এরপর বাসার কাজের মেয়ে এসে বলল, ‘তাহলে তো কোনো সমস্যাই দেখি না। আমরা সবাই যার যার অফিসের ফোন ব্যবহার করি!’
কৌতূহল
সেদিন এক লোক সিঙ্গাপুরের রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। একটা সিগন্যাল অতিক্রম করার সময় সে দেখল, রাস্তার পাশে রাখা ক্যামেরা তার ছবি তুলেছে। লোকটা তড়িঘড়ি করে স্পিডমিটার চেক করল। কিন্তু না, সবই ঠিক আছে। তাহলে ছবি তুলল কেন? লোকটার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না। সে ভাবল, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। তাই সে বিষয়টা আরেকটু পরীক্ষা করার জন্য একটু ঘুরে আবার ওই রাস্তায় এল। আবারও ক্যামেরা তার ছবি তুলল। এবার গাড়ির গতি গতবারের চেয়ে কম ছিল। তার কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সে ভাবল, নিশ্চয় কোথাও কোনো বড় রকমের ঝামেলা হয়েছে। এভাবে সে আরও তিনবার একই সিগন্যাল অতিক্রম করল। প্রতিবার গতি আগেরবারের চেয়ে কমিয়ে দিয়ে। কিন্তু ক্যামেরা প্রতিবারই তার ছবি তুলল।
এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর লোকটার ঠিকানায় তার নামে পাঁচটা চিঠি এল। সিটবেল্ট না বেঁধে ড্রাইভিং করার অপরাধে পাঁচটা চিঠিতেই তাকে জরিমানা করা হয়েছে!
No comments