১০ প্রশ্নের মুখোমুখি-ফৌজা সিং
যেন শতবর্ষী তরুণ! গত এপ্রিলে বয়সের সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ফৌজা সিং এখনো দৌড়ে চলেছেন। ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ম্যারাথনার সম্প্রতি নাড়ির টানে গিয়েছিলেন ভারতের পাঞ্জাবে। সেখানেই ১০ প্রশ্নের মুখোমুখি
আপনি দৌড়ান কেন?
আপনি দৌড়ান কেন?
ফৌজা সিং: দৌড়ই স্ত্রী ও সন্তান হারানোর দুঃখ ভুলিয়ে রাখে আমাকে। যখন দৌড়াই, মনে হয় ঈশ্বরের সান্নিধ্যেই আছি আমি। এতে ভালো ও ফিট আছি।
দৌড়ানোটা কী নিত্য রুটিনেরই অংশ?
ফৌজা সিং: আমি যদি না-ও দৌড়াই, দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করি।
ম্যারাথনের জন্য অনুশীলন করা কতটা কঠিন?
ফৌজা সিং: আমার ওজন ৫৫ কেজি। ট্রেনারের অধীনে অনুশীলন শুরুর পর আমি এটাকে ৫২ কেজিতে নামিয়ে এনেছিলাম। অনুশীলনটা কঠিন হলেও আমার গাঁটে গাঁটে যে ব্যথা ছিল, সেটা এতে দূর হয়েছে।
এই বয়সেও আপনি এত স্লিম। কী খান?
ফৌজা সিং: মূল খাবার হিসেবে সামান্য ডালের সঙ্গে একটা রুটি। গরমের সময় প্রচুর আম খাই। আর প্রতিদিন একটা করে লাড্ডু।
আপনার ফিটনেসে ডাক্তাররাও বিস্মিত...
ফৌজা সিং: পাঁচ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমি হাঁটতে পারিনি। আমার পা শক্ত হয়েছে ১৫ বছর বয়সে। এখন ডাক্তাররা দেখছেন, সেই পা দুটোই এ বয়সেও আমার দৌড়ানোর বড় শক্তি।
যাঁরা ম্যারাথন দৌড়াতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
ফৌজা সিং: বাজে চিন্তা এবং বাজে লোকের সঙ্গ এড়িয়ে সবকিছু উপভোগ করো।
পাঞ্জাব সরকার আপনার অর্জনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এতে ব্যথিত হননি?
ফৌজা সিং: আমি যা করছি, সেটা স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়। পাঞ্জাব আমার জন্মভূমি—এর জন্য ভালোবাসা আছে আমার।
প্রতিবছরই পাঞ্জাবে আসেন। কী পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
ফৌজা সিং: যা হচ্ছে, সেটা অবিচার। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা বলে কিছু নেই। বাড়ির বাইরে বেরোতে চাইলে পরিবারের লোকজন মানিব্যাগ এবং ঘড়ি আমার কাছ থেকে নিয়ে রাখে। কারণ, বাইরে বেরোলেই মাদকাসক্ত লোকজনের হাতে সেগুলো খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ দৌড়বিদ হিসেবে গিনেস বুক আপনাকে স্বীকৃতি দেয়নি। এ নিয়ে কিছু বলবেন?
ফৌজা সিং: এতে কী আসে-যায়? আমি তাদের কাছে যাব না। তারাই আসবে আমার কাছে।
যা আয় করেন, তা খরচ করেন কীভাবে?
ফৌজা সিং: বয়স্কভাতা হিসেবে আমি সপ্তাহে ১৩০ পাউন্ড পাই। এক কানাকড়িও নিজের কাছে রাখি না। জমিজমা কিংবা অন্য কোনো সম্পদও নেই আমার। ইংল্যান্ডে থাকি ছেলের সঙ্গে। খরচও নেই বললেই চলে। এই শীতে ভারতে এসেছি দেড় লাখ রুপি নিয়ে। ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার আগে কিছু বাঁচলে খেলাধুলা করার জন্য গ্রামবাসীকে দিয়ে যাব।বিদেশি সাময়িকী থেকে ভাষান্তর
দৌড়ানোটা কী নিত্য রুটিনেরই অংশ?
ফৌজা সিং: আমি যদি না-ও দৌড়াই, দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করি।
ম্যারাথনের জন্য অনুশীলন করা কতটা কঠিন?
ফৌজা সিং: আমার ওজন ৫৫ কেজি। ট্রেনারের অধীনে অনুশীলন শুরুর পর আমি এটাকে ৫২ কেজিতে নামিয়ে এনেছিলাম। অনুশীলনটা কঠিন হলেও আমার গাঁটে গাঁটে যে ব্যথা ছিল, সেটা এতে দূর হয়েছে।
এই বয়সেও আপনি এত স্লিম। কী খান?
ফৌজা সিং: মূল খাবার হিসেবে সামান্য ডালের সঙ্গে একটা রুটি। গরমের সময় প্রচুর আম খাই। আর প্রতিদিন একটা করে লাড্ডু।
আপনার ফিটনেসে ডাক্তাররাও বিস্মিত...
ফৌজা সিং: পাঁচ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমি হাঁটতে পারিনি। আমার পা শক্ত হয়েছে ১৫ বছর বয়সে। এখন ডাক্তাররা দেখছেন, সেই পা দুটোই এ বয়সেও আমার দৌড়ানোর বড় শক্তি।
যাঁরা ম্যারাথন দৌড়াতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
ফৌজা সিং: বাজে চিন্তা এবং বাজে লোকের সঙ্গ এড়িয়ে সবকিছু উপভোগ করো।
পাঞ্জাব সরকার আপনার অর্জনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এতে ব্যথিত হননি?
ফৌজা সিং: আমি যা করছি, সেটা স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়। পাঞ্জাব আমার জন্মভূমি—এর জন্য ভালোবাসা আছে আমার।
প্রতিবছরই পাঞ্জাবে আসেন। কী পরিবর্তন লক্ষ করছেন?
ফৌজা সিং: যা হচ্ছে, সেটা অবিচার। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা বলে কিছু নেই। বাড়ির বাইরে বেরোতে চাইলে পরিবারের লোকজন মানিব্যাগ এবং ঘড়ি আমার কাছ থেকে নিয়ে রাখে। কারণ, বাইরে বেরোলেই মাদকাসক্ত লোকজনের হাতে সেগুলো খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ দৌড়বিদ হিসেবে গিনেস বুক আপনাকে স্বীকৃতি দেয়নি। এ নিয়ে কিছু বলবেন?
ফৌজা সিং: এতে কী আসে-যায়? আমি তাদের কাছে যাব না। তারাই আসবে আমার কাছে।
যা আয় করেন, তা খরচ করেন কীভাবে?
ফৌজা সিং: বয়স্কভাতা হিসেবে আমি সপ্তাহে ১৩০ পাউন্ড পাই। এক কানাকড়িও নিজের কাছে রাখি না। জমিজমা কিংবা অন্য কোনো সম্পদও নেই আমার। ইংল্যান্ডে থাকি ছেলের সঙ্গে। খরচও নেই বললেই চলে। এই শীতে ভারতে এসেছি দেড় লাখ রুপি নিয়ে। ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার আগে কিছু বাঁচলে খেলাধুলা করার জন্য গ্রামবাসীকে দিয়ে যাব।বিদেশি সাময়িকী থেকে ভাষান্তর
No comments