চিকিৎসা পেশা-নৈতিকতা নিয়ে আরও কিছু কথা by এ কে আজাদ খান ও ফরিদ কবির
যা কিছু নৈতিক তার প্রায় সবই আইনসংগত। কিন্তু যা কিছু আইনসংগত তার সব নৈতিক নাও হতে পারে। যেমন সারা পৃথিবীতেই এমন অনেক পণ্য পাওয়া যায় যা মূল ব্র্যান্ড নয়, ব্র্যান্ডের ক্লোন মাত্র। যিনি কেনেন তাঁকে দেখে নিতে হয় সেটা আসল ব্র্যান্ড, নাকি ক্লোন। এই বাংলাদেশেও এমন অনেক পণ্যসামগ্রী পাওয়া যায় যা আসল ব্র্যান্ড নয়, ব্র্যান্ডের ক্লোন।
কিন্তু ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে গিয়ে সব সময় বলেন না যে সেগুলো আসল ব্র্যান্ড নয়। হয়তো তাদের এই পদ্ধতি বাংলাদেশের মতো অনেক দেশে আইনত দণ্ডনীয় নয়, কিন্তু নৈতিক দিক থেকে তা সঠিক কি না এই প্রশ্ন রয়েই যায়।
চিকিৎসা শুধু সেবার মাধ্যমই নয়, এটি একজন ডাক্তারের জীবিকাও। ফলে অর্থের সঙ্গে এর একটি সম্পর্ক আছেই। আর কে না জানেন, অর্থই অনর্থের মূল। যে চিকিৎসক নিজের চেম্বারে বসেন সেখানে নিজস্ব কোনো ওষুধের দোকান থাকলে তাঁর স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি ওষুধ প্রেসক্রাইব করার প্রবণতা জন্মাতে পারে! নিজের উপার্জন বাড়াতে কোনো চিকিৎসক যদি এ ধরনের কাজ করেন তবে তা অবশ্যই অনৈতিক।
গত দুই দশকে এই ঢাকা শহরেই এমন অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে যেখানে চিকিৎসকদের বিনা ভাড়ায় ‘ওয়েল ফারনিশড’ চেম্বার দেওয়া হয়। অনেক চিকিৎসক সেখানে বসেন। এসব ক্ষেত্রে সেসব চিকিৎসকের মধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে রোগীকে বেশি টেস্ট বা ইনভেস্টিগেশন দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে যাঁরা রোগী দেখেন তাঁদের কেউ রোগীকে প্রয়োজনীয় টেস্ট দিলেও রোগীর মধ্যে এই সংশয় জাগা অস্বাভাবিক নয় যে চিকিৎসক বেশি কমিশন পাওয়ার আশায় তাঁকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টেস্ট দিয়েছেন কি না! এ ধরনের সংশয় বা সন্দেহ চিকিৎসকদের প্রতি রোগীর যে আস্থা তার অনেকটাই নষ্ট করে দেয়।
এটা আজ এতটাই ওপেনসিক্রেট যে রোগীরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বুঝতে পারেন, কোন কোন চিকিৎসক টেস্ট বা ইনভেস্টিগেশন লেখার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন পান! তাঁদের এই সংশয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়তো অমূলক নয়। আর, এর ফলে একজন রোগীর কাছে চিকিৎসকের যে রকম ভাবমূর্তি থাকা দরকার তা নষ্ট হয়ে যায়।
বর্তমান সমাজে মানুষের মূল্যবোধের যথেষ্ট অবক্ষয় হয়েছে। এ থেকে চিকিৎসকেরাও হয়তো মুক্ত নন। ফলে কখনো কখনো এমন অভিযোগ আসে যে কোনো কোনো চিকিৎসক চিকিৎসার নামে রোগীর কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন! সার্জারির প্রয়োজন না থাকলেও সার্জারি করেন! এ রকম দুএকজন চিকিৎসকের কারণে আজ মানুষের কাছে তাঁদের ভাবমূর্তি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তাই, আজকাল চিকিৎসাকালে কোনো রোগী মারা গেলে প্রায়ই দেখা যায় রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করেন বা হাসপাতালে হামলা করেন। এর বড় কারণ চিকিৎসকদের প্রতি রোগীর অনাস্থা। আর এ অনাস্থা যেন দিন দিন বাড়ছেই। অথচ এমন তো হওয়ার কথা নয়। এ দেশে রোগীর কাছে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি ছিল অনেক উঁচুতে। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা ছিলেন অনেকটাই ফেরেশতাতুল্য! শুধু চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্যাপারেই নয়, জীবনের যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকেরাই হতেন মানুষের শেষ ভরসাস্থল। আজ সাধারণ মানুষ যে চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না, তাঁদের ভাবমূর্তি যে চরম সংকটে পড়েছে তার জন্য তাঁরা নিজেরাই অনেকাংশে দায়ী। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রোগীর মধ্যে চিকিৎসকদের প্রতি অনাস্থা তৈরি করতে পারে (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট)। আর এ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে না পারলে তাঁদের প্রতি রোগীর সংশয় ও সন্দেহ যেমন বাড়বে, তেমনি রোগীর অনাস্থাও বাড়তেই থাকবে।
কাজেই চিকিৎসককেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে, কোন কোন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে রোগী তাঁর প্রতি আস্থা হারাতে পারেন! যেমন নিজের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ওষুধের দোকানে তাঁর না বসাই ভালো।
আজ চিকিৎসক-রোগী যে সম্পর্ক, তার মধ্যে অনাস্থার বীজ যেটুকু আছে তার পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখছে কিছু সংখ্যক চিকিৎসকের অর্থলোভ, তাঁদের বাণিজ্যিক মনোভাব ও অনৈতিক কার্যক্রম। একজন চিকিৎসককে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে পেশা হিসেবে চিকিৎসা অন্য পেশাগুলোর মতো নয়। এটির মূল ভিত্তিই চিকিৎসকের নৈতিকতা। অন্য পেশার একজন মানুষ তার শত্রুর কাছে কোনো পণ্য বিক্রি নাও করতে পারে। কিন্তু একজন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাকালে শত্রু-মিত্র বলে কিছু নেই। তাঁর কাছে সবার একটাই পরিচয়—রোগী। রোগীকে সহমর্মিতার সঙ্গে সেবা দেওয়াই তাঁর কাজ। রোগীকে সুস্থ করে তোলাই শুধু নয়, রোগীর গোপন বিষয়গুলো অন্যদের কাছে গোপন রাখাও তাঁর দায়িত্ব। কোনো রোগীর প্রতি রাগ বা অভিমান করার সুযোগ তাঁর নেই। যুদ্ধক্ষেত্রে আহত শত্রুকেও একজন চিকিৎসক বাঁচিয়ে তোলারই চেষ্টা করেন। আর এসব বিষয়ই এ পেশাকে এক অনন্য ও মহান পেশায় পরিণত করেছে।
কাজেই এই মহান পেশার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার জন্য শুধু চিকিৎসককেই নয়, সমাজের সচেতন সব মহলকেই এগিয়ে আসতে হবে। যেসব চিকিৎসক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেন তাঁরাই যে অপরাধী তা-ই নয়, যাঁরা তাঁদের কমিশন দেন সমান অপরাধী তাঁরাও। সমাজের স্বার্থে, সুষ্ঠু চিকিৎসাব্যবস্থার স্বার্থে সচেতন মানুষেরও উচিত তাঁদের বয়কট করা, তাঁদের ব্যাপারে সচেতন থাকা, অন্যদেরও সচেতন করা। মিডিয়ারও যথেষ্ট দায়িত্ব আছে এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে তোলার, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের ওপর চাপ তৈরি করার, যাতে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তাঁরা সরে আসেন।
আজকাল যে মধ্যবিত্ত লোকেরাও চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চলে যাচ্ছেন, তার একটা বড় কারণ, ডাক্তারদের প্রতি তাঁদের আস্থার অভাব। কাজেই, চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক যত তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা যায়, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য তা ততই মঙ্গল।
অধ্যাপক এ কে আজাদ খান: চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী। সভাপতি, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।
ফরিদ কবির: কবি ও প্রাবন্ধিক। যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।
চিকিৎসা শুধু সেবার মাধ্যমই নয়, এটি একজন ডাক্তারের জীবিকাও। ফলে অর্থের সঙ্গে এর একটি সম্পর্ক আছেই। আর কে না জানেন, অর্থই অনর্থের মূল। যে চিকিৎসক নিজের চেম্বারে বসেন সেখানে নিজস্ব কোনো ওষুধের দোকান থাকলে তাঁর স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি ওষুধ প্রেসক্রাইব করার প্রবণতা জন্মাতে পারে! নিজের উপার্জন বাড়াতে কোনো চিকিৎসক যদি এ ধরনের কাজ করেন তবে তা অবশ্যই অনৈতিক।
গত দুই দশকে এই ঢাকা শহরেই এমন অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে যেখানে চিকিৎসকদের বিনা ভাড়ায় ‘ওয়েল ফারনিশড’ চেম্বার দেওয়া হয়। অনেক চিকিৎসক সেখানে বসেন। এসব ক্ষেত্রে সেসব চিকিৎসকের মধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে রোগীকে বেশি টেস্ট বা ইনভেস্টিগেশন দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে যাঁরা রোগী দেখেন তাঁদের কেউ রোগীকে প্রয়োজনীয় টেস্ট দিলেও রোগীর মধ্যে এই সংশয় জাগা অস্বাভাবিক নয় যে চিকিৎসক বেশি কমিশন পাওয়ার আশায় তাঁকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টেস্ট দিয়েছেন কি না! এ ধরনের সংশয় বা সন্দেহ চিকিৎসকদের প্রতি রোগীর যে আস্থা তার অনেকটাই নষ্ট করে দেয়।
এটা আজ এতটাই ওপেনসিক্রেট যে রোগীরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বুঝতে পারেন, কোন কোন চিকিৎসক টেস্ট বা ইনভেস্টিগেশন লেখার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন পান! তাঁদের এই সংশয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়তো অমূলক নয়। আর, এর ফলে একজন রোগীর কাছে চিকিৎসকের যে রকম ভাবমূর্তি থাকা দরকার তা নষ্ট হয়ে যায়।
বর্তমান সমাজে মানুষের মূল্যবোধের যথেষ্ট অবক্ষয় হয়েছে। এ থেকে চিকিৎসকেরাও হয়তো মুক্ত নন। ফলে কখনো কখনো এমন অভিযোগ আসে যে কোনো কোনো চিকিৎসক চিকিৎসার নামে রোগীর কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন! সার্জারির প্রয়োজন না থাকলেও সার্জারি করেন! এ রকম দুএকজন চিকিৎসকের কারণে আজ মানুষের কাছে তাঁদের ভাবমূর্তি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তাই, আজকাল চিকিৎসাকালে কোনো রোগী মারা গেলে প্রায়ই দেখা যায় রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করেন বা হাসপাতালে হামলা করেন। এর বড় কারণ চিকিৎসকদের প্রতি রোগীর অনাস্থা। আর এ অনাস্থা যেন দিন দিন বাড়ছেই। অথচ এমন তো হওয়ার কথা নয়। এ দেশে রোগীর কাছে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি ছিল অনেক উঁচুতে। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা ছিলেন অনেকটাই ফেরেশতাতুল্য! শুধু চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্যাপারেই নয়, জীবনের যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকেরাই হতেন মানুষের শেষ ভরসাস্থল। আজ সাধারণ মানুষ যে চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না, তাঁদের ভাবমূর্তি যে চরম সংকটে পড়েছে তার জন্য তাঁরা নিজেরাই অনেকাংশে দায়ী। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রোগীর মধ্যে চিকিৎসকদের প্রতি অনাস্থা তৈরি করতে পারে (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট)। আর এ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে না পারলে তাঁদের প্রতি রোগীর সংশয় ও সন্দেহ যেমন বাড়বে, তেমনি রোগীর অনাস্থাও বাড়তেই থাকবে।
কাজেই চিকিৎসককেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে, কোন কোন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে রোগী তাঁর প্রতি আস্থা হারাতে পারেন! যেমন নিজের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ওষুধের দোকানে তাঁর না বসাই ভালো।
আজ চিকিৎসক-রোগী যে সম্পর্ক, তার মধ্যে অনাস্থার বীজ যেটুকু আছে তার পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখছে কিছু সংখ্যক চিকিৎসকের অর্থলোভ, তাঁদের বাণিজ্যিক মনোভাব ও অনৈতিক কার্যক্রম। একজন চিকিৎসককে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে পেশা হিসেবে চিকিৎসা অন্য পেশাগুলোর মতো নয়। এটির মূল ভিত্তিই চিকিৎসকের নৈতিকতা। অন্য পেশার একজন মানুষ তার শত্রুর কাছে কোনো পণ্য বিক্রি নাও করতে পারে। কিন্তু একজন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাকালে শত্রু-মিত্র বলে কিছু নেই। তাঁর কাছে সবার একটাই পরিচয়—রোগী। রোগীকে সহমর্মিতার সঙ্গে সেবা দেওয়াই তাঁর কাজ। রোগীকে সুস্থ করে তোলাই শুধু নয়, রোগীর গোপন বিষয়গুলো অন্যদের কাছে গোপন রাখাও তাঁর দায়িত্ব। কোনো রোগীর প্রতি রাগ বা অভিমান করার সুযোগ তাঁর নেই। যুদ্ধক্ষেত্রে আহত শত্রুকেও একজন চিকিৎসক বাঁচিয়ে তোলারই চেষ্টা করেন। আর এসব বিষয়ই এ পেশাকে এক অনন্য ও মহান পেশায় পরিণত করেছে।
কাজেই এই মহান পেশার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার জন্য শুধু চিকিৎসককেই নয়, সমাজের সচেতন সব মহলকেই এগিয়ে আসতে হবে। যেসব চিকিৎসক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেন তাঁরাই যে অপরাধী তা-ই নয়, যাঁরা তাঁদের কমিশন দেন সমান অপরাধী তাঁরাও। সমাজের স্বার্থে, সুষ্ঠু চিকিৎসাব্যবস্থার স্বার্থে সচেতন মানুষেরও উচিত তাঁদের বয়কট করা, তাঁদের ব্যাপারে সচেতন থাকা, অন্যদেরও সচেতন করা। মিডিয়ারও যথেষ্ট দায়িত্ব আছে এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে তোলার, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের ওপর চাপ তৈরি করার, যাতে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তাঁরা সরে আসেন।
আজকাল যে মধ্যবিত্ত লোকেরাও চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চলে যাচ্ছেন, তার একটা বড় কারণ, ডাক্তারদের প্রতি তাঁদের আস্থার অভাব। কাজেই, চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক যত তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা যায়, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য তা ততই মঙ্গল।
অধ্যাপক এ কে আজাদ খান: চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী। সভাপতি, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।
ফরিদ কবির: কবি ও প্রাবন্ধিক। যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।
No comments