উভয় পক্ষকেই সংযত ও দায়িত্বশীল হতে হবে-১২ মার্চ নিয়ে উত্তাপ
সমাবেশ-মহাসমাবেশের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি বাংলাদেশে নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু এর পরও আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ঘোষিত কর্মসূচির মাস খানেক আগেই সরকারি দলের নেতাদের এ নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য ও বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
মহাসমাবেশের মতো একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক বা সংঘাতের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হোক, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই এ ব্যাপারে সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক আচরণ প্রত্যাশিত।
বিএনপি ১২ মার্চ যে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে, তাতে তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই লোক জমায়েত করতে চাইবে, নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চাইবে। পল্টন ময়দানে মহাসমাবেশের আয়োজন করার অনুমতি চেয়েছে দলটি। সেটা না মিললে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সাধারণভাবে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকারি দল বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাল্টা কর্মসূচি না নিলেও বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বিবেচনায় নিয়ে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিরোধী দল বা সরকারি দল—উভয় পক্ষেরই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে, কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতি সংঘাত বা সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি করে। আমাদের উদ্বেগ সেখানেই।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকার যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ধরনের অবনতির আশঙ্কা করে থাকে, তবে সেটা মোকাবিলা করার দায়িত্ব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে বিরোধী দলের এই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনে সহায়তা করা। তা করতে ব্যর্থ হলে দায়টা সরকারের ওপর এসেই পড়বে। এখন বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে সরকারি দলের লোকজন যদি মাঠে থাকে, তবে তা স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়াবে। সংঘাত- সহিংসতার আশঙ্কাও থাকবে। সরকারি দল কেন এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। আর এ ধরনের পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি গণতান্ত্রিক আচার-আচরণ ও রীতিনীতির সঙ্গেও বেমানান।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বিএনপির গণমিছিলের দিনও সরকারি দলের তরফে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি কর্মসূচিটি তখন এক দিন পিছিয়ে দিয়েছিল। সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলের কর্মসূচির সময় পাল্টা কর্মসূচি দেওয়াকে একটি কৌশল হিসেবে নিয়েছে সরকারি দল। এই কৌশল আর যা-ই হোক, গণতান্ত্রিক হতে পারে না।
আমরা আশা করব, আগামী ১২ মার্চ বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হবে এবং সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো মূল্যে তা নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে নিজেদের কর্মসূচি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে বিএনপিকেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। একটি মহাসমাবেশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে আগাম রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে সব পক্ষই এগিয়ে আসবে, এটাই প্রত্যাশিত।
বিএনপি ১২ মার্চ যে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে, তাতে তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই লোক জমায়েত করতে চাইবে, নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চাইবে। পল্টন ময়দানে মহাসমাবেশের আয়োজন করার অনুমতি চেয়েছে দলটি। সেটা না মিললে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সাধারণভাবে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকারি দল বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাল্টা কর্মসূচি না নিলেও বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বিবেচনায় নিয়ে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিরোধী দল বা সরকারি দল—উভয় পক্ষেরই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে, কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতি সংঘাত বা সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি করে। আমাদের উদ্বেগ সেখানেই।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকার যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ধরনের অবনতির আশঙ্কা করে থাকে, তবে সেটা মোকাবিলা করার দায়িত্ব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে বিরোধী দলের এই রাজনৈতিক কর্মসূচিকে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনে সহায়তা করা। তা করতে ব্যর্থ হলে দায়টা সরকারের ওপর এসেই পড়বে। এখন বিরোধী দলের কর্মসূচির দিনে সরকারি দলের লোকজন যদি মাঠে থাকে, তবে তা স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়াবে। সংঘাত- সহিংসতার আশঙ্কাও থাকবে। সরকারি দল কেন এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। আর এ ধরনের পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি গণতান্ত্রিক আচার-আচরণ ও রীতিনীতির সঙ্গেও বেমানান।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বিএনপির গণমিছিলের দিনও সরকারি দলের তরফে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি কর্মসূচিটি তখন এক দিন পিছিয়ে দিয়েছিল। সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলের কর্মসূচির সময় পাল্টা কর্মসূচি দেওয়াকে একটি কৌশল হিসেবে নিয়েছে সরকারি দল। এই কৌশল আর যা-ই হোক, গণতান্ত্রিক হতে পারে না।
আমরা আশা করব, আগামী ১২ মার্চ বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হবে এবং সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো মূল্যে তা নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে নিজেদের কর্মসূচি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে বিএনপিকেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। একটি মহাসমাবেশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে আগাম রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে সব পক্ষই এগিয়ে আসবে, এটাই প্রত্যাশিত।
No comments