পবিত্র কোরআনের আলো-নামাজ, জাকাত, রাসুলের আনুগত্য ও উত্তম ঋণদান-এগুলো হলো অঙ্গীকার
১০. ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়া কায্যাবূ বিআইয়াতিনা উলায়িকা আস্হাবুল জাহীম। ১১. ইয়া-আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানুয্ কুরূ নি'মাতাল্লাহি আ'লাইকুম ইয্ হাম্মা ক্বাওমুন আইঁয়্যাবছুতূ ইলাইকুম আইদিইয়াহুম ফাকাফ্ফা আইদিইয়াহুম আ'নকুম; ওয়াত্তাক্বুল্লাহা ওয়া আ'লাল্লাহি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মু'মিনূন।
১২. ওয়া লাক্বাদ আখাযাল্লাহু মীছাক্বা বানি ইছরায়ীলা ওয়া বাআ'ছনা মিনহুমু-ছ্না আ'শারা নাক্বীবা-; ওয়া ক্বালাল্লাহু ইন্নী মাআ'কুম; লায়িন আক্বামতুমুস্ সালাতা ওয়া আতাইতুমুয্ যাকাতা ওয়া আমানতুম বিরুসুলী ওয়া আ'য্যারতুমূহুম ওয়া আক্বরাদ্বতুমুল্লাহা ক্বারদ্বান হাছানা-ল্লাউকাফ্ফিরান্না আন'কুম ছায়্যিআ-তিকুম ওয়া লাউদ্খিলান্নাকুম জান্নাতিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু ফামান কাফারা বা'দা যালিকা মিনকুম ফাক্বাদ দ্বাল্লা ছাওয়া-আচ্ছাবীল। [সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ১০-১২]
অনুবাদ : ১০. যারা অবাধ্য হয়েছে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা বলেছে, এরা সবাই জাহান্নামের বাসিন্দা।
১১. হে ইমানদাররা, তোমরা তোমাদের প্রতি দান করা আল্লাহর নিয়ামতগুলোর কথা স্মরণ করো, যখন একটা জাতি তোমাদের বিরুদ্ধে হাত উঠাতে উদ্যত হয়েছিল, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের সেই উদ্যত হাতকে তোমাদের জন্য সংযত করে দিয়েছিলেন। তোমরা আল্লাহর প্রতি দায়িত্বনিষ্ঠ থাকো, মুমিনদের তো আল্লাহর ওপরই ভরসা করা উচিত।
১২. আল্লাহ তায়ালা বনি ইসরাইলদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর আমি তাদের মধ্য থেকে ১২ জন নেতা পাঠিয়েছিলাম। আল্লাহ তাদের বললেন, অবশ্যই আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমরা যদি নামাজ প্রতিষ্ঠা করো, জাকাত আদায় করো, আমার রাসুলের ওপর ইমান আনো এবং তাঁদের সাহায্য-সহযোগিতা করো, আর আল্লাহ তায়ালার জন্য উত্তম ঋণ দান করো_তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের পাপ মোচন করে দেব এবং এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার তলদেশ দিয়ে নদী বয়ে গেছে। এরপর যদি তোমাদের মধ্য থেকে কোনো ব্যক্তি অবাধ্য হয়, তবে সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে।
ব্যাখ্যা : ১১ নম্বর আয়াতে একটা জাতি তোমাদের ওপর হাত উঠাতে উদ্যত হয়েছিল বলতে কোরাইশ সম্প্রদায়ের কাফিরদেরই বোঝানো হয়েছে। ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় মুসলমানরা সংখ্যায় ও শক্তিতে খুবই দুর্বল ছিল। তাদের তুলনায় কাফির কোরাইশ সর্দারদের শক্তি-সামর্থ্য, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও বিত্ত-বৈভব ছিল অনেক বেশি। সেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ একপর্যায়ে দুর্বল মুসলমানদের একেবারে পিষে মারার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। তারা রাসুলকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল এবং মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে একেবারে নির্মূল করে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল। এ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা তাদের রক্ষা করেছিলেন। এরপর মুসলমানরা শক্তি সঞ্চয় করে কাফিরদের মোকাবিলা করতে শুরু করেছিল এবং এ ক্ষেত্রে সাফল্যও অর্জন করেছিল। বদরের যুদ্ধে কাফিররা সম্পূর্ণ পরাজিত হয়েছিল এবং ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানরা সাময়িক পরাজয় বরণ করলেও প্রকৃতপক্ষে মুসলমানরা অপরাজেয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের ক্রমবিকাশের এই ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের ওপর দান করা আল্লাহর নিয়ামতের কথা স্মরণ করার উপদেশ দিচ্ছেন।
১২ নম্বর আয়াতে বনি ইসরাইলদের ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বনি ইসরাইলের কাছ থেকে আল্লাহ তায়ালা কতগুলো ভালো কাজের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন। সে কাজগুলো হলো_নামাজ, জাকাত, রাসুলের আনুগত্য ও কর্জে হাসানা প্রদান। কথিত আছে, নবী মুসা (আ.)-এর শেষ বয়সে ইসরাইলিদের কাছ থেকে এই ওয়াদা লওয়া হয়েছিল। অনুরূপভাবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই আয়াত নাজিল করে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আমরাও যেন অনুরূপ কাজগুলোর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকি। এটাও উম্মতে মুহাম্মদীর অঙ্গীকারবদ্ধতা। এ অঙ্গীকারগুলো থেকে যারা সরে যাবে, তারা আল্লাহ প্রদর্শিত সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ১০. যারা অবাধ্য হয়েছে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা বলেছে, এরা সবাই জাহান্নামের বাসিন্দা।
১১. হে ইমানদাররা, তোমরা তোমাদের প্রতি দান করা আল্লাহর নিয়ামতগুলোর কথা স্মরণ করো, যখন একটা জাতি তোমাদের বিরুদ্ধে হাত উঠাতে উদ্যত হয়েছিল, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের সেই উদ্যত হাতকে তোমাদের জন্য সংযত করে দিয়েছিলেন। তোমরা আল্লাহর প্রতি দায়িত্বনিষ্ঠ থাকো, মুমিনদের তো আল্লাহর ওপরই ভরসা করা উচিত।
১২. আল্লাহ তায়ালা বনি ইসরাইলদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন। অতঃপর আমি তাদের মধ্য থেকে ১২ জন নেতা পাঠিয়েছিলাম। আল্লাহ তাদের বললেন, অবশ্যই আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। তোমরা যদি নামাজ প্রতিষ্ঠা করো, জাকাত আদায় করো, আমার রাসুলের ওপর ইমান আনো এবং তাঁদের সাহায্য-সহযোগিতা করো, আর আল্লাহ তায়ালার জন্য উত্তম ঋণ দান করো_তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের পাপ মোচন করে দেব এবং এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার তলদেশ দিয়ে নদী বয়ে গেছে। এরপর যদি তোমাদের মধ্য থেকে কোনো ব্যক্তি অবাধ্য হয়, তবে সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে।
ব্যাখ্যা : ১১ নম্বর আয়াতে একটা জাতি তোমাদের ওপর হাত উঠাতে উদ্যত হয়েছিল বলতে কোরাইশ সম্প্রদায়ের কাফিরদেরই বোঝানো হয়েছে। ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় মুসলমানরা সংখ্যায় ও শক্তিতে খুবই দুর্বল ছিল। তাদের তুলনায় কাফির কোরাইশ সর্দারদের শক্তি-সামর্থ্য, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও বিত্ত-বৈভব ছিল অনেক বেশি। সেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ একপর্যায়ে দুর্বল মুসলমানদের একেবারে পিষে মারার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। তারা রাসুলকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল এবং মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে একেবারে নির্মূল করে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল। এ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা তাদের রক্ষা করেছিলেন। এরপর মুসলমানরা শক্তি সঞ্চয় করে কাফিরদের মোকাবিলা করতে শুরু করেছিল এবং এ ক্ষেত্রে সাফল্যও অর্জন করেছিল। বদরের যুদ্ধে কাফিররা সম্পূর্ণ পরাজিত হয়েছিল এবং ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানরা সাময়িক পরাজয় বরণ করলেও প্রকৃতপক্ষে মুসলমানরা অপরাজেয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের ক্রমবিকাশের এই ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের ওপর দান করা আল্লাহর নিয়ামতের কথা স্মরণ করার উপদেশ দিচ্ছেন।
১২ নম্বর আয়াতে বনি ইসরাইলদের ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বনি ইসরাইলের কাছ থেকে আল্লাহ তায়ালা কতগুলো ভালো কাজের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন। সে কাজগুলো হলো_নামাজ, জাকাত, রাসুলের আনুগত্য ও কর্জে হাসানা প্রদান। কথিত আছে, নবী মুসা (আ.)-এর শেষ বয়সে ইসরাইলিদের কাছ থেকে এই ওয়াদা লওয়া হয়েছিল। অনুরূপভাবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই আয়াত নাজিল করে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আমরাও যেন অনুরূপ কাজগুলোর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকি। এটাও উম্মতে মুহাম্মদীর অঙ্গীকারবদ্ধতা। এ অঙ্গীকারগুলো থেকে যারা সরে যাবে, তারা আল্লাহ প্রদর্শিত সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments