সরকারের রণনীতি, রণকৌশল ও সময়োচিত পদক্ষেপ by গাজীউল হাসান খান

রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলোকে সামলানোর জন্য ক্ষমতাসীনদের একটি রণনীতি এবং রণকৌশল থাকে। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই সে রণনীতি ও রণকৌশল নির্ধারিত হয়ে থাকে। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা এবং সর্বোপরি স্থিতিশীলতা বজায় না থাকলে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ কিংবা রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে কোনো অগ্রগতিই সাধিত হতে পারে না।


সে ক্ষেত্রে যত উচ্চাভিলাষী বাজেট, বিভিন্ন মেয়াদে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচিই গ্রহণ করা হোক না কেন। সব কিছুই ভেস্তে যাবে ওপরে উলি্লখিত নীতি ও কৌশলের সুদক্ষ প্রয়োগের অভাবে। উৎপাদন, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, উন্নয়ন এবং দেশীয় অর্থনীতি গতি হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে বিরোধী শিবিরের অসন্তোষ, লাগাতার আন্দোলন, হরতাল, বিক্ষোভ ইত্যাদি কারণে। এটিই এ দেশে স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রায় ৪০ বছরের অর্জিত অভিজ্ঞতা। এ কথা বললে অন্যায় হবে না যে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ত্যাগের আদর্শ ও পরমতসহিষ্ণুতার পরিবর্তে একে অপরকে অনৈক্য, হানাহানি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে প্রতিহিংসা ও ধ্বংসযজ্ঞ শিখিয়েছে। এ দায় সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা যাবে না। দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি' প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আন্দোলনের সেকাল ও একাল_এ দুটি দৃশ্যপট পর্যালোচনা করলেই সমগ্র চিত্র সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
একে অপরের প্রতি বিশ্বাসহীনতার কারণেই একদিন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছিল। বহু আন্দোলন, জ্বালাও-পোড়াও এবং ধ্বংসযজ্ঞের পর শেষ পর্যন্ত যেভাবেই হোক সেদিন তা প্রতিষ্ঠিতও হয়েছিল। কিন্তু আজ তা একতরফাভাবে বাতিল করা হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট সে পদ্ধতি বাতিলের পাশাপাশি অন্তত সামনের দুটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে যে সুযোগ রেখেছিলেন পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করার সময় তাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে এ পরিবর্তন? আগাগোড়া বিরোধী দলগুলোর বিরোধিতার মুখে কেন তা করা হলো? এ ব্যাপারে বর্তমান মহাজোট সরকার গঠিত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বিশেষ করে সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অতীতে বলেছিলেন, সংবিধান সংশোধন করা হলেও তাঁরা 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি'র বিষয়টিতে হাত দেবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরই সংবিধান সংশোধনীর নেতারা ভোল পাল্টে ফেললেন। এ ব্যাপারে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু তাঁদের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেছেন, যা থেকে কমিটির মত পরিবর্তনের বিষয়টি বোঝা যায়।
ক্ষমতাসীন সরকার হিসেবে সংবিধানে মর্জিমাফিক যাবতীয় সংশোধনী সম্পন্ন করে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির পরিবর্তে নির্বাচনকালে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি যেন সংসদে গিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য তাদের ফর্মুলা পেশ করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ কয়েকটি বিরোধী দল ইতিমধ্যে দুবার হরতাল ডেকেছে। জাতীয় সংসদে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সরকার তা ঠেকাতে পারেনি। দলীয় সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন বিএনপি কেন, জনগণের একটি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশও বিশ্বাস করে না। বিরোধী দলগুলো মনে করে, গত আড়াই বছরে তাদের মতে, যেভাবে প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে, তাতে একটি শক্তিশালী ও দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কেউই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেও দলীয় রাজনীতিকদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে না। আস্থার সংকট যখন এমনই একটি পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, তখন সব নীতিবাক্যই অসার মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সুতরাং সংসদে ফিরে গিয়ে সম্ভাব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি ফর্মুলা তুলে ধরা বিএনপির কাছে আপাতত অযৌক্তিক মনে হয়। যেমনটা ১৯৯৫-৯৬তে মনে হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের নেতাদের কাছে। তাঁরাও কোনো প্রশ্নেই সেদিন সংসদে যাননি। যার ফলে বিএনপির ক্ষণিকের সরকারকে ১৯৯৬-এর ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর একতরফাভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হয়েছিল, যা বিশ্বের কোনো সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সম্পূর্ণ বাতিলের বিষয়টি বিরোধী দলকে সক্রিয় করে তোলার ব্যাপারে যথেষ্ট ছিল। শুধু তা-ই নয়, পাশাপাশি সংবিধান থেকে সব বিষয় মহান আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাসের বিষয়টি তুলে দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীতে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' এবং 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের' সঙ্গে মশকারা করা হলো। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, 'বর্তমান পঞ্চদশ সংশোধনীতে তাঁরা অনেকেই খুশি নন। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে তাঁরা আবার বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওযার চেষ্টা করবেন।' তাহলে সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠে, এবার কি তাঁরা সংবিধান সংশোধনীর নামে জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছেন? সংশোধনীর নামে সংবিধানের বিভিন্ন অংশে যে সাংঘর্ষিক বিষয়কে স্থান করে দেওয়া হয়েছে, তা কাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে? পুঁজিবাদ বা মুক্তবাজার না সমাজতান্ত্রিক কর্তৃত্বের (কমান্ড) অর্থনীতির? জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে নৃ-গোষ্ঠীগুলোর সত্তাকে একরকম অস্বীকারই করা হয়েছে। সব মানুষের ধর্মচর্চার সমান অধিকারের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতার ট্যাবলেটটি। কিন্তু কার স্বার্থে? উলি্লখিত বিষয়গুলো বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যেও যথেষ্ট ক্ষোভের সঞ্চার করছে।
উলি্লখিত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এখই বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, এ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের মতে, লাগাতার আন্দোলন ও হরতালে অচল করে দেওয়া হবে দেশ। কিন্তু তাহলে প্রশ্ন ওঠে সে অবস্থায় কী হাল হবে অর্থমন্ত্রী ঘোষিত উচ্চাভিলাষী বাজেটটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে? দেশ অচল হয়ে গেলে রাজস্ব আসবে কোত্থেকে? অবকাঠামোগত বিনির্মাণ, কৃষি সম্প্রসারণ, শিল্পায়ন, উন্নত প্রযুক্তিসহ কারিগরি দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে আধুনিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কিভাবে চালু করা হবে? এ বিশাল ঘাটতির বাজেটের লক্ষ্য অর্জন দূরে থাকুক, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক খরচ চালানোই সরকারের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।
বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অঙ্গনে ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় একটি কথা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে আর তা হলো_রাজনীতিতে সময় এক বিরাট উপাদান (Time is a great factor in Politics।
যেকোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া কিংবা এমনকি সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও সময় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন জরুরি ব্যাপারে সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা এবং অপর দিকে কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে গিয়ে বর্তমান মহাজোট সরকারের যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তা নয়। বরং বিভ্রান্তি বেড়েছে অনেক। ক্ষুব্ধ হয়েছে বিরোধী দল এবং জনগণের একটি বিরাট অংশ। এমনকি বিভ্রান্ত হয়েছেন ভারতের প্রাজ্ঞ রাজনীতিক ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করা হলেও উপমহাদেশের গণমাধ্যম এবং সচেতন জনগণের মধ্যে তা যথেষ্ট কৌতূহলের উদ্রেক করেছে। গত ২৯ জুন নয়াদিলি্লতে কয়েকজন সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি আমাদের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলি নিয়ে বলেছিলেন যে 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাবলি যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারে।' অর্থাৎ যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে রাজনৈতিক দৃশ্যপট। তিনি বিএনপির কথা উল্লেখ না করলেও জামায়াতের কথা বলেছেন। এ সবই হয়তো বর্তমান রাজনৈতিক বিক্ষোভ ও আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তিনি ধারণা করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরে বলা হয়েছে_গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারের স্থিতিশীলতাকে ভারত স্বীকার করে এবং সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারে ভারত সংকল্পবদ্ধ।
বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য ছোট ছোট ইসলামী দলের সাম্প্রতিক গণবিক্ষোভ ও হরতাল এবং রোজা-পরবর্তী বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কি উচিত নয়, তাদের সঙ্গে প্রথমে নিজ উদ্যোগে কথা বলা? আগামী সাধারণ নির্বাচনকে কিভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায় তা নিয়ে সংসদে গিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে ফর্মুলা দেওয়ার আগে সার্বিক পরিস্থিতিটিকে কি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রথম কিছুটা সহজ করে নেওয়া যায় না? ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বাধীন জোট অংশ নেয়নি। তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিএনপি সরকারকেই সংশোধনী আনতে হয়েছিল সংবিধানে। আওয়ামী লীগ কি চায় সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহাল করার দাবিতে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ না নিক এবং আওয়ামী লীগ সংসদে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দেশ শাসন করবে? তাহলে ধরে নিতে হবে যে আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা এক দিবাস্বপ্ন দেখছেন। তাঁদের সে স্বপ্ন কোনো দিনই বাস্তবায়িত হবে না। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা তেমন কোনো স্বপ্ন নিয়ে নির্বাচন করতে গেলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধ দেখা দেবে এবং আবার ওয়ান-ইলেভেনের মতো একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ দুটি জোটের মধ্যে যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে নিরসন হওয়ার নয়। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা বর্তমান বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপিকে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করবে কিভাবে? আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের একটার পর একটা রাজনৈতিক আক্রমণের মুখে বিএনপি বর্তমানে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত মামলা থেকে শুরু করে মুদ্রা পাচার ও তার নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাও সাজানো হচ্ছে অতি কৌশলে। বিএনপি এটাকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে মনে করে। তাদের ধারণা, রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যই আওয়ামী লীগের এ সার্বিক আয়োজন, যা পূর্বপরিকল্পিত। সুতরাং এসব কাটিয়ে উঠতে রাজনৈতিক সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। আর এ ক্ষেত্রে উদ্যোগটা আসতে হবে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের দিক থেকেই। নতুবা শান্তিকামী এবং উৎপাদন ও উন্নয়নকামী মানুষের পক্ষে এ দেশে স্বস্তিতে বসবাস করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। পাশাপাশি দেশের দুটো প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতি সাধারণ মানুষ ক্রমেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
e-mail : gayiulhkhan@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.