গল্প অন্তরাল-অমিত হাসান ওয়াদা পূরণ করেছেন
এ সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে শাহীন-সুমনের চলচ্চিত্র 'কে আপন কে পর'। আজ অন্তরালের গল্প বলেছেন এ ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাস।\আমি ব্যাংকক যাওয়ার আগেই শুনেছিলাম 'কে আপন কে পর' ছবিটি ২ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে। ফলে একটু টেনশন নিয়েই দেশ ছেড়েছিলাম। অনেকদিন পর আবার দর্শক আমাকে শাকিব ছাড়া দেখবেন। তাঁরা কিভাবে নেবেন সেটিই ছিল মূল চিন্তা। ভেবেছিলাম ছবি মুক্তির অন্তত দুই সপ্তাহ আগে দেশে ফিরব। তখন দরকার হলে
শাকিবকে সঙ্গে নিয়েই ছবিটির প্রচারণায় অংশ নেব। কিন্তু ওখানে গিয়ে ক্যামেরা নষ্ট হওয়ায় এমন ঝামেলায় পড়লাম যে শিডিউল টাইমে কাজ শেষ হলো না। কাজেই ফোনে অমিত হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তিনি আমাকে নিশ্চিন্তে থাকতে বললেন। জানালেন ছবিটির প্রতি প্রদর্শকদের যথেষ্ট আগ্রহ আছে। দেশে ফিরে শুনলাম ২১টি প্রিন্ট নিয়েই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। ভালো লাগল। একসঙ্গে এত প্রেক্ষাগৃহ! তাহলে বোধ হয় ছবিটি ভালোই হয়েছে। সত্যিই, অমিত যে কষ্ট করেছেন এর ফলও পেয়েছেন। সব জায়গায়ই ছবিটি ভালো যাচ্ছে। এখন নাকি দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্যও প্রিন্টগুলো অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে। আসলে ছবিটি নিয়ে শুধু অমিত নয়, আমরা সবাই অনেক কষ্ট করেছি। ছবির একটি গানে তো কমপক্ষে অর্ধশত চলচ্চিত্রশিল্পী অভিনয় করেছেন। সেখানে শাকিবও ছিলেন। সবাইকে ম্যানেজ করা, সেভাবে কস্টিউম ব্যবহার, সেট ডিজাইন_কত কি না করতে হয়েছে। একটা বিষয় মনে হয়েছে, নায়ক অমিতের চেয়ে প্রযোজক অমিত অনেক দায়িত্ববান। তিনি এখান থেকে কয়েক বছর আগে যখন ছবিটি নিয়ে প্রথম আমার সঙ্গে কথা বলেন, আমি তখনই বিষয়টি বুঝেছিলাম। গল্প থেকে শুরু করে লোকেশন, সেট, কস্টিউম, গান সব ক্ষেত্রেই তিনি বৈচিত্র্য রাখার ওয়াদা করেছিলেন এবং সে ওয়াদা পূরণও করেছেন। এই তো গত বছরের কথা, শফিক তুহিনের 'এর বেশি ভালোবাসা যায় না' গানটি যখন হিট হলো, তখন একদিন অমিত আমাকে ফোন করলেন। আমি বেশ অবাক হলাম। কারণ শুটিং, ডাবিং তত দিনে শেষ। ভাবলাম কী ব্যাপার, আবার কোনো ঝামেলা হলো না তো! ইতস্তত করে ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে তিনি বললেন, 'অপু, আমাকে আর দুই দিন শিডিউল দিতে হবে ভাইয়া।' আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? তিনি বললেন, 'এর বেশি ভালোবাসা যায় না গানটি শুনেছ? ওইটি আমার ছবিতে রাখতে চাচ্ছি।' শুনেই ভালো লাগল। আমি শিডিউল দিলাম। আসলে ভালো করার এই চেষ্টাটাই বেশি প্রয়োজন। আরেকটা বিষয়ও খুব ভালো লাগছে ভেবে, আমরা অমিতের মতো একজন ভালো প্রযোজক পেলাম।
অনু লিখন : সুদীপ কুমার দীপ
অনু লিখন : সুদীপ কুমার দীপ
No comments