আফগানিস্তান বিষয়ক সম্মেলন-আরও এক দশক আন্তর্জাতিক সহায়তা চান কারজাই
সেনা প্রত্যাহারের পর কমপক্ষে আরও এক দশক পশ্চিমা সহায়তার নিশ্চয়তা চাইলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। গতকাল সোমবার জার্মানির বন শহরে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ বিষয়ক এক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর : এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।পশ্চিমা বাহিনী প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়টি আলোচনার জন্য সোমবার বনে দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়। এতে বিশ্বের শতাধিক
দেশের অন্তত এক হাজার প্রতিনিধি যোগ দেন। তবে তালেবান ও প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান সম্মেলন বর্জন করায় এর সাফল্য নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ২০১৪ সালে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পরও দেশের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, তার সরকার দুর্নীতি ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে, তবে এ জন্য শক্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রথম বন সম্মেলনের ১০ বছর পর নতুন করে এ সম্মেলন হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান পরিস্থিতির যে অগ্রগতি হয়েছে তার প্রশংসা করেন কারজাই। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ অগ্রগতি নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। বন সম্মেলন ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের ভিত্তি আরও মজবুত করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন কারজাই।
পশ্চিমা দেশগুলো চায় তাদের বাহিনী প্রত্যাহারের পরও আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী পশ্চিমাপন্থি সরকার থাকুক যারা বিরোধী পক্ষকে মোকাবেলা করতে পারবে। বন সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইদো ভেস্টারভেলে বলেন, আমরা ঐতিহাসিক ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে দিতে পারি না। ২০১৪ সালই আফগানিস্তানে আমাদের উপস্থিতির শেষ নয়। এরপর আমরা আফগানিস্তানকে ভুলে যাব না। সেখানে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে।
তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সাংঘর্ষিক সম্পর্কও আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ২০১৪ সালে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পরও দেশের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, তার সরকার দুর্নীতি ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে, তবে এ জন্য শক্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রথম বন সম্মেলনের ১০ বছর পর নতুন করে এ সম্মেলন হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান পরিস্থিতির যে অগ্রগতি হয়েছে তার প্রশংসা করেন কারজাই। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ অগ্রগতি নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। বন সম্মেলন ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের ভিত্তি আরও মজবুত করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন কারজাই।
পশ্চিমা দেশগুলো চায় তাদের বাহিনী প্রত্যাহারের পরও আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী পশ্চিমাপন্থি সরকার থাকুক যারা বিরোধী পক্ষকে মোকাবেলা করতে পারবে। বন সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইদো ভেস্টারভেলে বলেন, আমরা ঐতিহাসিক ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে দিতে পারি না। ২০১৪ সালই আফগানিস্তানে আমাদের উপস্থিতির শেষ নয়। এরপর আমরা আফগানিস্তানকে ভুলে যাব না। সেখানে আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে।
তবে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সাংঘর্ষিক সম্পর্কও আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে।
No comments