রাজশাহী ডিগ্রি কলেজ-ছাত্রমৈত্রী ক্যাডারের হামলায় শিক্ষক গুরুতর আহত
চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করেছেন রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রমৈত্রীর দুই ক্যাডার। হামলার শিকার কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টার সময় কলেজের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রমৈত্রীর কলেজ শাখার সভাপতি কাওসার আলী ও তাঁর সহযোগী অনিককে গ্রেপ্তার ও শাস্তি এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কলেজ শিক্ষক পরিষদ গতকাল বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. গোলাম হোসেন প্রামাণিকসহ অন্য শিক্ষকরা জানান, দুপুর ১টার দিকে শিক্ষক ড. আজিজুর রহমান প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজ করছিলেন। এ সময় ছাত্রমৈত্রী কলেজ শাখার সভাপতি কাওসার আলী ও তাঁর সহযোগী অনিক তাঁকে কক্ষের বাইরে ডেকে নিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই শিক্ষক চাঁদা দিতে অস্বীকার করে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হবে জানালে কাওসার ও অনিক তাঁকে কিল-ঘুষি ও লাথির পাশাপাশি বৈদ্যুতিক তারের ছড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আজিজুর রহমানের চিৎকারে অন্য শিক্ষকরা ছুটে গেলে কাওসার ও অনিক দেয়াল টপকে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই কলেজের শিক্ষক পরিষদের জরুরি সভা উপাধ্যক্ষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষকরা সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, শিক্ষকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট থানায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, কাওসারের বিরুদ্ধে কলেজে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর কাওসারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কলেজ উপাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ছাড়া গত ২৮ আগস্ট কাওসারের কাছ থেকে ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও কিছুদিন আগে তিনি জামিনে ছাড়া পান। রাজপাড়া থানার ওসি মোকাররম হোসেন খান জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কাওসার কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষ ও অনিক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. গোলাম হোসেন প্রামাণিকসহ অন্য শিক্ষকরা জানান, দুপুর ১টার দিকে শিক্ষক ড. আজিজুর রহমান প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজ করছিলেন। এ সময় ছাত্রমৈত্রী কলেজ শাখার সভাপতি কাওসার আলী ও তাঁর সহযোগী অনিক তাঁকে কক্ষের বাইরে ডেকে নিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই শিক্ষক চাঁদা দিতে অস্বীকার করে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হবে জানালে কাওসার ও অনিক তাঁকে কিল-ঘুষি ও লাথির পাশাপাশি বৈদ্যুতিক তারের ছড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আজিজুর রহমানের চিৎকারে অন্য শিক্ষকরা ছুটে গেলে কাওসার ও অনিক দেয়াল টপকে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই কলেজের শিক্ষক পরিষদের জরুরি সভা উপাধ্যক্ষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষকরা সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, শিক্ষকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট থানায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, কাওসারের বিরুদ্ধে কলেজে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর কাওসারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কলেজ উপাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ছাড়া গত ২৮ আগস্ট কাওসারের কাছ থেকে ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও কিছুদিন আগে তিনি জামিনে ছাড়া পান। রাজপাড়া থানার ওসি মোকাররম হোসেন খান জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কাওসার কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষ ও অনিক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
No comments