আফগানবিষয়ক সম্মেলনে কারজাই-দশকব্যাপী বিদেশি সহায়তা চাই
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল রাখতে ২০১৪ সালের পরেও অন্তত এক দশক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য-সহযোগিতার দরকার রয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে নিয়োজিত সব বিদেশি সেনার দেশ ত্যাগ করার কথা।গতকাল সোমবার জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিত আফগানিস্তানবিষয়ক এক দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে
যাবে আফগান সরকার। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখতে হবে।এদিকে আফগানিস্তানের উন্নয়ন তহবিলের স্থগিত করা অর্থ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বন সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭০ কোটি মার্কিন ডলার।
আফগানিস্তানবিষয়ক এ সম্মেলনে ১০০ দেশের প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। ১০ বছর আগে এই বন শহরেরই আফগানিস্তানবিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নাইন-ইলেভেন পরবর্তী প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে কারজাইকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী আফগান সরকার গঠন করা হয়েছিল।
তবে এবারের সম্মেলনে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা আনার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র পাকিস্তান যোগ দেয়নি। গত ২৬ নভেম্বর ন্যাটোর বিমান হামলায় দেশটির ২৪ সেনা নিহত হওয়ার জেরে সম্মেলন বর্জন করেছে তারা। গত রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করা সত্ত্বেও সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকে পাকিস্তান। পাশাপাশি তালেবানরাও এ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ায় আফগানিস্তানের সত্যিকারের উন্নয়নের ব্যাপারে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছে না অনেকেই।
সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে কারজাই বলেন, 'বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পরও এক দশক আপনাদের দৃঢ় সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে আমাদের।' তিনি বলেন, আফগানিস্তান কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বোঝা হতে চায় না। দরকারের বেশি এক দিনও তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নেবে না বলেও উল্লেখ করেন কারজাই।
যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হিলারি বলেন, 'আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের খাতিরে প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।'
সম্মেলনের আয়োজক দেশ জার্মানিও জোর দিয়ে বলেছে, আফগানিস্তান থেকে সাহায্যের হাত গুটিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তড়িঘড়ি করা হবে না। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইদো ভেস্টারভেলে বলেন, 'আফগান জনগণকে আমাদের স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে, আমরা আপনাদের একা ফেলে যাব না। আপনারা একা হবেন না।' অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে হিলারি বলেন, 'আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আফগানিস্তানের পুনর্গঠনসংক্রান্ত আফগান তহবিলের (এআরটিএফ) জন্য বরাদ্দ অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে অন্য সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।' মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাবুল ব্যাংক কেলেঙ্কারির কারণে গত জুন থেকে ঋণ অনুমোদন বন্ধ করে দেয় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও বার্ষিক ৭০ কোটি ডলার দেওয়া স্থগিত করে। আর্থিক খাতে আফগান সরকারের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বসংস্থাটি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও এআরটিএফের বার্ষিক তহবিলে অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
আফগানিস্তানবিষয়ক এ সম্মেলনে ১০০ দেশের প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। ১০ বছর আগে এই বন শহরেরই আফগানিস্তানবিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নাইন-ইলেভেন পরবর্তী প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে কারজাইকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী আফগান সরকার গঠন করা হয়েছিল।
তবে এবারের সম্মেলনে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা আনার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র পাকিস্তান যোগ দেয়নি। গত ২৬ নভেম্বর ন্যাটোর বিমান হামলায় দেশটির ২৪ সেনা নিহত হওয়ার জেরে সম্মেলন বর্জন করেছে তারা। গত রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করা সত্ত্বেও সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকে পাকিস্তান। পাশাপাশি তালেবানরাও এ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ায় আফগানিস্তানের সত্যিকারের উন্নয়নের ব্যাপারে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছে না অনেকেই।
সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে কারজাই বলেন, 'বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পরও এক দশক আপনাদের দৃঢ় সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে আমাদের।' তিনি বলেন, আফগানিস্তান কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বোঝা হতে চায় না। দরকারের বেশি এক দিনও তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নেবে না বলেও উল্লেখ করেন কারজাই।
যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হিলারি বলেন, 'আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের খাতিরে প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতার হাত প্রসারিত রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।'
সম্মেলনের আয়োজক দেশ জার্মানিও জোর দিয়ে বলেছে, আফগানিস্তান থেকে সাহায্যের হাত গুটিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তড়িঘড়ি করা হবে না। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইদো ভেস্টারভেলে বলেন, 'আফগান জনগণকে আমাদের স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে, আমরা আপনাদের একা ফেলে যাব না। আপনারা একা হবেন না।' অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে হিলারি বলেন, 'আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আফগানিস্তানের পুনর্গঠনসংক্রান্ত আফগান তহবিলের (এআরটিএফ) জন্য বরাদ্দ অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে অন্য সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।' মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাবুল ব্যাংক কেলেঙ্কারির কারণে গত জুন থেকে ঋণ অনুমোদন বন্ধ করে দেয় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও বার্ষিক ৭০ কোটি ডলার দেওয়া স্থগিত করে। আর্থিক খাতে আফগান সরকারের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বসংস্থাটি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও এআরটিএফের বার্ষিক তহবিলে অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments