সাক্ষাৎকার-আস্থার অভাবেই স্থিতিশীল হচ্ছে না পুঁজিবাজার : ড. তৌফিক-'ব্যাংকের মতোই পুঁজিবাজারেও আস্থা রাখতে হবে' by নাজমুল আলম শিশির
সর্বশেষ গুচ্ছ প্রণোদনা ঘোষণার পরও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। সাধারণবিনিয়োগকরীদের আস্থার অভাবই এর মূল কারণ। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে সরকার তখনই যদি কিছু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিত, তাহলে শেয়ারবাজারে মানুষের আস্থা ফিরে আসত, সরকারের এত প্রণোদনা ঘোষণার দরকার হতো না।\শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ মহলের উদ্যোগের কার্যকর প্রতিফলন বাজারে না পড়া প্রসঙ্গে কথাগুলো
বললেন শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার পুরোটাই আস্থার ওপর নির্ভর করে। যখন বাজারে ধস হলো তখন আমরা তদন্ত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলাম। 'সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের ১০ ফোঁড়' প্রবাদ বাক্য টেনে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার সময় যে পরিবেশ ছিল তখন যদি আমাদের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হতো, তাহলে হয়তো বাজার ভালো হয়ে যেত। প্রণোদনাসহ এত বেশি কিছুর প্রয়োজন হতো না। এখন তো অনেক কিছু করার পরও লোকজনের আস্থা ফিরে আসছে না। বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণীর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হবে। কোনো প্রকার প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগের বিষয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সুযোগ দেওয়ার পরও কালো টাকার মালিকরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবেন বলে আমার মনে হচ্ছে না। তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন এখন কোনো প্রশ্ন না করলেও পরে করতে পারে। এই আতঙ্কের কারণে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ ছাড়া কালো টাকা বিনিয়োগের আরো কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। তার পরও হয়তো সরকার ধারণা করছে, সুযোগ দিলে কালো টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হবে।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক ড. তৌফিক বলেন, ব্যাংকগুলো এরই মধ্যে বেশ তারল্য চাপে রয়েছে। তার পরও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অ্যাডভান্স ক্রেডিট রেশিও, সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার লিমিটসহ বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে। এর পরও ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর টাকা নেই, যা নিয়ে তাঁরা পুঁজিবাজারে আসবেন।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংকের টাকা এলে সাময়িকভাবে হয়তো শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল করার জন্য শেয়ারের জোগান বাড়াতে হবে।
অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যখন তদন্ত কমিটিতে কাজ করছিলাম তখন সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার কথা ছিল। শুধু চাহিদা দিয়ে বাজার টিকবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, চাহিদা যখন বাড়বে তখন সঙ্গে সঙ্গে জোগান বাড়াতে হবে। পুঁজিবাজার নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কারসাজির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছিল। সেই বিষয়ে ড. তৌফিক বলেন, 'আমরা যা বলার তখন বলেছিলাম। এর বাইরে তো আমাদের কিছু করার নেই। আসলে এখানেই আস্থার বিষয়টি জড়িত। কেবল পুঁজিবাজার নয়, আমরা আর্থিক বাজার বলতে যা বুঝি তার পুরোটাই আসলে আস্থার ওপর নির্ভর করে।' তিনি বলেন, ব্যাংকের মতোই পুঁজিবাজারেও আস্থা রাখতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফিরিয়ে আনতে সময় লেগে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার এত প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে, শেয়ারবাজার নিয়ে এত এত ঘোষণা দিচ্ছে, তার পরও তো বিনিয়োগকারীরা আস্থায় ফিরছেন না। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও টাকার অভাবে বিনিয়োগ করতে পারছেন না। তার পরও আমি মনে করি, যদি আস্থা ফেরানো যায়, তাহলে টাকা কোনো সমস্যা হবে না। প্রথমেই যদি সরকার কিছু শাস্তির ব্যবস্থা করত, তাহলে হয়তো বাজারে এতটা আস্থার সংকট হতো না।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার পুরোটাই আস্থার ওপর নির্ভর করে। যখন বাজারে ধস হলো তখন আমরা তদন্ত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলাম। 'সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের ১০ ফোঁড়' প্রবাদ বাক্য টেনে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার সময় যে পরিবেশ ছিল তখন যদি আমাদের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হতো, তাহলে হয়তো বাজার ভালো হয়ে যেত। প্রণোদনাসহ এত বেশি কিছুর প্রয়োজন হতো না। এখন তো অনেক কিছু করার পরও লোকজনের আস্থা ফিরে আসছে না। বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণীর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হবে। কোনো প্রকার প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগের বিষয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সুযোগ দেওয়ার পরও কালো টাকার মালিকরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবেন বলে আমার মনে হচ্ছে না। তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন এখন কোনো প্রশ্ন না করলেও পরে করতে পারে। এই আতঙ্কের কারণে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ ছাড়া কালো টাকা বিনিয়োগের আরো কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। তার পরও হয়তো সরকার ধারণা করছে, সুযোগ দিলে কালো টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হবে।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক ড. তৌফিক বলেন, ব্যাংকগুলো এরই মধ্যে বেশ তারল্য চাপে রয়েছে। তার পরও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অ্যাডভান্স ক্রেডিট রেশিও, সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার লিমিটসহ বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে। এর পরও ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর টাকা নেই, যা নিয়ে তাঁরা পুঁজিবাজারে আসবেন।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংকের টাকা এলে সাময়িকভাবে হয়তো শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল করার জন্য শেয়ারের জোগান বাড়াতে হবে।
অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যখন তদন্ত কমিটিতে কাজ করছিলাম তখন সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার কথা ছিল। শুধু চাহিদা দিয়ে বাজার টিকবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, চাহিদা যখন বাড়বে তখন সঙ্গে সঙ্গে জোগান বাড়াতে হবে। পুঁজিবাজার নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কারসাজির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছিল। সেই বিষয়ে ড. তৌফিক বলেন, 'আমরা যা বলার তখন বলেছিলাম। এর বাইরে তো আমাদের কিছু করার নেই। আসলে এখানেই আস্থার বিষয়টি জড়িত। কেবল পুঁজিবাজার নয়, আমরা আর্থিক বাজার বলতে যা বুঝি তার পুরোটাই আসলে আস্থার ওপর নির্ভর করে।' তিনি বলেন, ব্যাংকের মতোই পুঁজিবাজারেও আস্থা রাখতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফিরিয়ে আনতে সময় লেগে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার এত প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে, শেয়ারবাজার নিয়ে এত এত ঘোষণা দিচ্ছে, তার পরও তো বিনিয়োগকারীরা আস্থায় ফিরছেন না। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও টাকার অভাবে বিনিয়োগ করতে পারছেন না। তার পরও আমি মনে করি, যদি আস্থা ফেরানো যায়, তাহলে টাকা কোনো সমস্যা হবে না। প্রথমেই যদি সরকার কিছু শাস্তির ব্যবস্থা করত, তাহলে হয়তো বাজারে এতটা আস্থার সংকট হতো না।
No comments