নির্বাচনে দল জিতলেও ধাক্কা খেলেন পুতিন
রাশিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি জয়লাভ করেছে। তবে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এ ফলাফলকে প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ আগামী বছর এ দল থেকেই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়বেন তিনি। জনপ্রিয়তায় এই ভাটা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত রবিবার রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমা-এর নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়। তবে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিরোধী দলগুলো এবং একমাত্র স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা অভিযোগ করেছে, ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গতকাল সোমবার জানায়, ৯৬ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, ইউনাইটেড রাশিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এ হিসাবে দুমার ৪৫০ আসনের মধ্যে তারা পাবে ২৩৮টি। ২০০৭ সালের নির্বাচনে দলটি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আসন পেয়েছিল ৩১৫টি। এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারলেও দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে পুতিনের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি। এখন সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইলে তাদের অন্য দলের মুখাপেক্ষী হতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রধান ভ্লাদিমির চুরভ জানান, এবার ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির পর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯.২ শতাংশ ভোট পেয়ে তারা ৯২টি আসন জিতেছে। এ ছাড়া ১৩.২ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬৪টি আসন জিতেছে 'জাস্ট রাশিয়া' দল। উগ্র জাতীয়তাবাদী 'লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি' পেয়েছে ৫৬টি আসন।
এবারের নির্বাচনকে পুতিনের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। গত সেপ্টেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থিতার ঘোষণা দেন। এর আগে থেকেই তাঁর দলের জনপ্রিয়তা কমছিল। প্রার্থিতার ঘোষণা পড়তি জনপ্রিয়তায় তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি_সেটাও এবারের নির্বাচনে পরিষ্কার হলো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর মস্কোয় দলের প্রধান প্রচার কার্যালয়ে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, 'এ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আমরা দেশের স্থিতিশীল উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারব।' এ সময় প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ তাঁর পাশে ছিলেন।
কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছে। দলের উপপ্রধান ইভান মেলনিকভ তাঁদের ওয়েবসাইটে বলেন, 'আঞ্চলিক দপ্তরগুলো থেকে আমরা অনিয়ম ও জালিয়াতির হাজার হাজার অভিযোগ পেয়েছি। মনে হচ্ছিল, কোনো যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তারা খবর পাঠাচ্ছে।' নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা গোলোসও একই অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশনে গত রবিবার তারা অন্তত পাঁচ হাজার ৩০০ অভিযোগ করেছে। তাদের ওয়েবসাইটও হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থাটি।
২০০০ সাল থেকে টানা আট বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ২০০৮ সালে মেদভেদেভের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন পুতিন। গত চার বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আগামী মার্চে রাশিয়ায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র : বিবিবি, এএফপি।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গতকাল সোমবার জানায়, ৯৬ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, ইউনাইটেড রাশিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এ হিসাবে দুমার ৪৫০ আসনের মধ্যে তারা পাবে ২৩৮টি। ২০০৭ সালের নির্বাচনে দলটি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আসন পেয়েছিল ৩১৫টি। এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারলেও দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে পুতিনের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি। এখন সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইলে তাদের অন্য দলের মুখাপেক্ষী হতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রধান ভ্লাদিমির চুরভ জানান, এবার ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির পর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯.২ শতাংশ ভোট পেয়ে তারা ৯২টি আসন জিতেছে। এ ছাড়া ১৩.২ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬৪টি আসন জিতেছে 'জাস্ট রাশিয়া' দল। উগ্র জাতীয়তাবাদী 'লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি' পেয়েছে ৫৬টি আসন।
এবারের নির্বাচনকে পুতিনের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। গত সেপ্টেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থিতার ঘোষণা দেন। এর আগে থেকেই তাঁর দলের জনপ্রিয়তা কমছিল। প্রার্থিতার ঘোষণা পড়তি জনপ্রিয়তায় তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি_সেটাও এবারের নির্বাচনে পরিষ্কার হলো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর মস্কোয় দলের প্রধান প্রচার কার্যালয়ে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, 'এ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আমরা দেশের স্থিতিশীল উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারব।' এ সময় প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ তাঁর পাশে ছিলেন।
কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছে। দলের উপপ্রধান ইভান মেলনিকভ তাঁদের ওয়েবসাইটে বলেন, 'আঞ্চলিক দপ্তরগুলো থেকে আমরা অনিয়ম ও জালিয়াতির হাজার হাজার অভিযোগ পেয়েছি। মনে হচ্ছিল, কোনো যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তারা খবর পাঠাচ্ছে।' নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা গোলোসও একই অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশনে গত রবিবার তারা অন্তত পাঁচ হাজার ৩০০ অভিযোগ করেছে। তাদের ওয়েবসাইটও হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থাটি।
২০০০ সাল থেকে টানা আট বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ২০০৮ সালে মেদভেদেভের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন পুতিন। গত চার বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আগামী মার্চে রাশিয়ায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র : বিবিবি, এএফপি।
No comments