নিজের শহরে আজ তামিমের পরীক্ষাও by কামরুল হাসান,
জিইসি মোড় থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। খুব বেশি দূরের পথ নয়, অথচ এরই মধ্যে অন্তত তিনবার চোখে পড়ল তাঁর ছবি। কোথাও বিশাল বিল বোর্ডে হয়তো কোনো বিজ্ঞাপনে, কোথাও আবার ভক্তদের ভালোবাসায় টানানো ব্যানারে। পেছনের ইতিহাস যদি নাও জানা থাকে তাহলেও যে কেউ বলতে পারবে_এ শহরের সঙ্গে ছবির ছেলেটার কোথাও না কোথাও গভীর সম্পর্ক আছে।
ছেলেটা তামিম ইকবাল। মুম্বাইয়ের যেমন শচীন টেন্ডুলকার, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর যেমন ব্রায়ান লারা আমাদের তেমন চট্টগ্রামের তামিম। মুম্বাইয়ের লোকেরা টেন্ডুলকারকে যতটা ভালোবাসে কিংবা হায়দরাবাদের লোকজন ভিভিএস লক্ষ্মণকে, আমাদের চট্টগ্রামের মানুষজন তামিমকে তার চেয়ে একটুও কম ভালোবাসেন না। এটা তাঁর শহর। এখানে তিনি বারবার ফিরে আসেন রূপকথার গল্পের রাজকুমার হয়ে। ব্যাটটাকে সোনার কাঠি বানিয়ে! এবার কিন্তু পটভূমিটা একটু অন্য রকম। মানুষের মন রাঙানোর আগে নিজেকে ফিরে পাওয়া। কোচের সঙ্গে গোলমালের খবরের সঙ্গে টানা ব্যর্থতায় ক্যারিয়ারে এই প্রথম চাপের মুখে। নিজের শহরে আজ তাই চাপমুক্তিরও লড়াই।
পাহাড় আর সমুদ্রের এই শহরে যখনই বাংলাদেশ খেলতে আসে তখন তাই আর সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন তামিম। প্রতিপক্ষ যেই হোক, পরিস্থিতি যেমনই হোক ব্যাট হাতে তামিম সব জয় করে নেবেন_প্রত্যাশাটা যেন এমনই আকাশচুম্বী। ম্যাচ কাভার করতে বাইরে থেকে আসা সাংবাদিকরাও বরাবরই এখানকার মানুষদের এ প্রতিক্রিয়া দেখে অভ্যস্ত। এবার কি একটু কম মনে হচ্ছে? কাকডাকা ভোরে চট্টগ্রামের মাটিতে পা দিয়ে হঠাৎ দেখা বিল বোর্ডে বিশাল ছবিটাতে তামিমের নিজের হাসিটাও কেমন ম্লান! নাকি ভোরের কুয়াশায় দৃষ্টিভ্রম? হতে পারে। কিন্তু সকাল গড়িয়ে বিকেল হতে হতেই সত্যি সত্যি মনে হতে লাগল নিজের শহরে তামিমকে নিয়ে উন্মাদনাটা এবার আসলেই একটু কম এবং এর কারণও তামিম নিজেই!
ফর্ম খারাপ যাচ্ছে এটা একটা বড় ব্যাপার। ঢাকায় হওয়া সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডেতে তাঁর রান ০ ও ৪। ভালোবাসার নায়ককে মানুষ কখনো ব্যর্থ দেখতে চায় না। ক্রমাগত ব্যর্থতা একসময় গভীর ভালোবাসাতেও কিছুটা খাদ জুড়ে দেয়। তামিম ব্যর্থ হচ্ছেন। সুতরাং তাঁকে ঘিরে সমর্থকদের যে প্রত্যাশা সেটা ফিকে হয়ে এলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না। তার ওপর সিরিজ শুরুর আগে কোচের সঙ্গে বাদানুবাদের খবর, রহস্যময় ইনজুরি! সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের নায়ককে ঘিরে স্বপ্নের মায়াজাল বোনাতে যেন কেউ একটু লাগাম টেনে ধরে রেখেছে। সঙ্গে বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফরম্যান্সটা তো আছেই। অন্য সিরিজগুলোতে যেমন দল ব্যর্থ হলেও চট্টগ্রামে এলে অন্তত লাইম লাইটটা তাঁর ওপর থাকে। এবার সেটাও সরে গেছে নাসির হোসেন নামে এক তরুণের কারণে। আগের দুটো ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে কিন্তু দুটোতেই দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার ২০ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার। প্রথমটিতে ২১, দ্বিতীয়টিতে অসাধারণ সেঞ্চুরি (১০০)। টপ অর্ডারের নিদারুণ ব্যর্থতায় এই দুই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি নাসির হোসেনের ব্যাটিং। গত আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া নাসির মাত্র ৯ ওয়ানডে খেলেই নিজেকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া আজকের ম্যাচে লাইম লাইট আর তামিমের ওপর নয়, তাঁর ওপর! ভিড়-বাট্টা ঠেলে ম্যাচের টিকিট কেনা চট্টগ্রাম আইডিয়াল কলেজের ছাত্র শিহাবের কথাই শুনুন, 'নাসিরের খেলা দেখতে টিকিট কেটেছি। ও যদি আগের ম্যাচগুলোর মতো ভালো খেলতে পারে তাহলে আমাদের সম্ভাবনা আছে জেতার।' তখনই পাশ থেকে শিহাবের বন্ধু আসিফ যোগ করলেন, 'শুধু নাসির ভালো খেললে আসলে হবে না। আমাদের তামিমেরও কিছু করতে হবে। চট্টগ্রামের মাঠে আমরা ওর সেঞ্চুরি দেখতে চাই।'
আমাদের তামিম! বাহ্, তার মানে উন্মাদনা কম কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। সেটাকেও আবার আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারেন কেবল তামিম। এটা ভাবতে ভাবতেই আসিফের কথাটা কানে বাজল। তাই তো! চট্টগ্রামে এখনো কোনো সেঞ্চুরি নেই তামিমের। এত প্রত্যাশা আর এত স্বপ্ন যাঁকে ঘিরে তাঁর কাছে তো একটা সেঞ্চুরি কবেই পাওনা হয়ে গেছে চট্টগ্রামের মানুষের।
সেই পাওনা কি আজ শোধ করতে পারবেন তামিম?
পাহাড় আর সমুদ্রের এই শহরে যখনই বাংলাদেশ খেলতে আসে তখন তাই আর সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন তামিম। প্রতিপক্ষ যেই হোক, পরিস্থিতি যেমনই হোক ব্যাট হাতে তামিম সব জয় করে নেবেন_প্রত্যাশাটা যেন এমনই আকাশচুম্বী। ম্যাচ কাভার করতে বাইরে থেকে আসা সাংবাদিকরাও বরাবরই এখানকার মানুষদের এ প্রতিক্রিয়া দেখে অভ্যস্ত। এবার কি একটু কম মনে হচ্ছে? কাকডাকা ভোরে চট্টগ্রামের মাটিতে পা দিয়ে হঠাৎ দেখা বিল বোর্ডে বিশাল ছবিটাতে তামিমের নিজের হাসিটাও কেমন ম্লান! নাকি ভোরের কুয়াশায় দৃষ্টিভ্রম? হতে পারে। কিন্তু সকাল গড়িয়ে বিকেল হতে হতেই সত্যি সত্যি মনে হতে লাগল নিজের শহরে তামিমকে নিয়ে উন্মাদনাটা এবার আসলেই একটু কম এবং এর কারণও তামিম নিজেই!
ফর্ম খারাপ যাচ্ছে এটা একটা বড় ব্যাপার। ঢাকায় হওয়া সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডেতে তাঁর রান ০ ও ৪। ভালোবাসার নায়ককে মানুষ কখনো ব্যর্থ দেখতে চায় না। ক্রমাগত ব্যর্থতা একসময় গভীর ভালোবাসাতেও কিছুটা খাদ জুড়ে দেয়। তামিম ব্যর্থ হচ্ছেন। সুতরাং তাঁকে ঘিরে সমর্থকদের যে প্রত্যাশা সেটা ফিকে হয়ে এলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না। তার ওপর সিরিজ শুরুর আগে কোচের সঙ্গে বাদানুবাদের খবর, রহস্যময় ইনজুরি! সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের নায়ককে ঘিরে স্বপ্নের মায়াজাল বোনাতে যেন কেউ একটু লাগাম টেনে ধরে রেখেছে। সঙ্গে বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফরম্যান্সটা তো আছেই। অন্য সিরিজগুলোতে যেমন দল ব্যর্থ হলেও চট্টগ্রামে এলে অন্তত লাইম লাইটটা তাঁর ওপর থাকে। এবার সেটাও সরে গেছে নাসির হোসেন নামে এক তরুণের কারণে। আগের দুটো ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে কিন্তু দুটোতেই দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার ২০ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার। প্রথমটিতে ২১, দ্বিতীয়টিতে অসাধারণ সেঞ্চুরি (১০০)। টপ অর্ডারের নিদারুণ ব্যর্থতায় এই দুই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি নাসির হোসেনের ব্যাটিং। গত আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া নাসির মাত্র ৯ ওয়ানডে খেলেই নিজেকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া আজকের ম্যাচে লাইম লাইট আর তামিমের ওপর নয়, তাঁর ওপর! ভিড়-বাট্টা ঠেলে ম্যাচের টিকিট কেনা চট্টগ্রাম আইডিয়াল কলেজের ছাত্র শিহাবের কথাই শুনুন, 'নাসিরের খেলা দেখতে টিকিট কেটেছি। ও যদি আগের ম্যাচগুলোর মতো ভালো খেলতে পারে তাহলে আমাদের সম্ভাবনা আছে জেতার।' তখনই পাশ থেকে শিহাবের বন্ধু আসিফ যোগ করলেন, 'শুধু নাসির ভালো খেললে আসলে হবে না। আমাদের তামিমেরও কিছু করতে হবে। চট্টগ্রামের মাঠে আমরা ওর সেঞ্চুরি দেখতে চাই।'
আমাদের তামিম! বাহ্, তার মানে উন্মাদনা কম কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। সেটাকেও আবার আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারেন কেবল তামিম। এটা ভাবতে ভাবতেই আসিফের কথাটা কানে বাজল। তাই তো! চট্টগ্রামে এখনো কোনো সেঞ্চুরি নেই তামিমের। এত প্রত্যাশা আর এত স্বপ্ন যাঁকে ঘিরে তাঁর কাছে তো একটা সেঞ্চুরি কবেই পাওনা হয়ে গেছে চট্টগ্রামের মানুষের।
সেই পাওনা কি আজ শোধ করতে পারবেন তামিম?
No comments