হরতালের দিন গ্রেপ্তার করা সাতজন রিমান্ডে
বিএনপির ডাকা হরতালে কোতোয়ালি থানার দ্রুত বিচার মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রতিবাদে ডাকা হরতালে গত রবিবার ঢাকার আদালতপাড়ায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ায় কোতোয়ালি থানায় দণ্ডবিধি ও দ্রুত বিচার আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম এ এম জুলফিকার হায়াত তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে তিন দিনের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দ্রুত বিচার আইনের এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ গতকাল একই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করে। দুই মামলাতেই একই ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন হলেন এরশাদ আলী, মো. জাকির, মো. পাপ্পু, জালাল আকমল, নুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মো. সোহাগ। গ্রেপ্তার করা সাতজনকে গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। দ্রুত বিচার আইনের মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ভীতিকর পরিবেশ ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশের পিকআপ ও মোটরসাইকেল অগি্নসংযোগ এবং ভাঙচুরে সহায়তা করার অপরাধ সংঘটন করেন। মামলার এজাহারে ৩৬ জনকে আসামি করা হয়। একই সঙ্গে ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছে। ওই মামলায় পুলিশের পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার মো. হাসান আল মামুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক পলাশ হোসেন তাঁদের অন্যান্য সহযোগী এবং অপরাপর আসামিদের নাম-ঠিকানা ও তথ্য জানার জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে ঢাকার মহানগর হাকিম শামীমা পারভীন দণ্ডবিধি আইনের মামলায় তাঁদের জামিন ও রিমান্ড উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন।
দণ্ডবিধি আইনের মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা একই উদ্দেশ্যে অবৈধ জনতাবদ্ধ হয়ে সরকারি কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করতে কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান ও ক্ষতিসাধন করেন। এজাহারে আরো বলা হয়, এজাহার নামীয় ৩৬ জন ছাড়া আরো ১৫০-২০০ জন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী, দলীয় নেতা-কর্মী ও অস্ত্রধারী ক্যাডাররা লোহার রড, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হরতালের পক্ষ নিয়ে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। ওই সময় তাদের আক্রমণে কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদ মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামি এরশাদ আলীর হাতে থাকা ছোরার আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরীফ বিন আলম তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ড আবেদন করেন। মহানগর হাকিম শুনানি শেষে তাঁদের রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদন নাকচ করেন।
আসামিদের পক্ষে আদালতে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ইকবাল হোসেন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আবদুল খালেক মিলন, নুরুজ্জামান তপন, কালাম খান, নেহায়েল হোসেন ফারুক, আইয়ুব আলী মজুমদার প্রমুখ আইনজীবী।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ গতকাল একই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করে। দুই মামলাতেই একই ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন হলেন এরশাদ আলী, মো. জাকির, মো. পাপ্পু, জালাল আকমল, নুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মো. সোহাগ। গ্রেপ্তার করা সাতজনকে গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। দ্রুত বিচার আইনের মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ভীতিকর পরিবেশ ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশের পিকআপ ও মোটরসাইকেল অগি্নসংযোগ এবং ভাঙচুরে সহায়তা করার অপরাধ সংঘটন করেন। মামলার এজাহারে ৩৬ জনকে আসামি করা হয়। একই সঙ্গে ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছে। ওই মামলায় পুলিশের পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার মো. হাসান আল মামুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক পলাশ হোসেন তাঁদের অন্যান্য সহযোগী এবং অপরাপর আসামিদের নাম-ঠিকানা ও তথ্য জানার জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে ঢাকার মহানগর হাকিম শামীমা পারভীন দণ্ডবিধি আইনের মামলায় তাঁদের জামিন ও রিমান্ড উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন।
দণ্ডবিধি আইনের মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা একই উদ্দেশ্যে অবৈধ জনতাবদ্ধ হয়ে সরকারি কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করতে কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান ও ক্ষতিসাধন করেন। এজাহারে আরো বলা হয়, এজাহার নামীয় ৩৬ জন ছাড়া আরো ১৫০-২০০ জন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী, দলীয় নেতা-কর্মী ও অস্ত্রধারী ক্যাডাররা লোহার রড, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হরতালের পক্ষ নিয়ে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। ওই সময় তাদের আক্রমণে কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদ মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামি এরশাদ আলীর হাতে থাকা ছোরার আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরীফ বিন আলম তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ড আবেদন করেন। মহানগর হাকিম শুনানি শেষে তাঁদের রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদন নাকচ করেন।
আসামিদের পক্ষে আদালতে রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ইকবাল হোসেন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আবদুল খালেক মিলন, নুরুজ্জামান তপন, কালাম খান, নেহায়েল হোসেন ফারুক, আইয়ুব আলী মজুমদার প্রমুখ আইনজীবী।
No comments