কুমিল্লা সিটি নির্বাচন-সেনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হলেও নারী ভোটার কমে যাবে-কালের কণ্ঠকে মনিরুল হক সাক্কু by বিপ্লব রহমান ও আবুল কাশেম হৃদয়,
সেনাবাহিনী মোতায়েন না হলেও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করেন জেলা নাগরিক কমিটি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। তবে এতে নারী ভোটারের উপস্থিতি অনেকটা কমে যাবে। সেনা মোতায়েন হলে নারী ভোটাররা স্বস্তিবোধ করতেন। আর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে রয়েছে তাঁর স্পষ্ট আপত্তি। তাঁর মতে, ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের আগে থেকে অবহিত করা হলে এর ব্যবহার যুক্তিযুক্ত হতো।
গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে সদ্য সাবেক পৌর মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির এই সদস্য এসব কথা বলেন।
আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ আফজল খানের সঙ্গে মনিরুল হক সাক্কুর জোর লড়াই হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। এর পরই রয়েছেন আরেক মেয়র পদপ্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহমেদ সেলিম। আর সেনা মোতায়েন না করা ও ইভিএম প্রশ্নে আপত্তি তুলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজি আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করার সরকারি সিদ্ধান্তে গোলযোগের আশঙ্কা আছে কি না_জানতে চাইলে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, 'তেমন আশঙ্কা এখনো নেই। আমি ৬৪টি ভোটকেন্দ্রই ঘুরে দেখেছি। কোনো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে তা রিটার্নিং অফিসারকে জানাব। তবে এ নির্বাচনে মহিলা ভোটারের সংখ্যাই বেশি। তাই নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করা হলে মহিলা ভোটাররা স্বস্তি বোধ করতেন। ভোটকেন্দ্রে তাঁদের উপস্থিতির হারও হতো অনেক বেশি। সেনা মোতায়েন না করার সিদ্ধান্তে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।'
সাক্কু বলেন, 'কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ, নগরবাসী আমাকে পৌর মেয়র হিসেবে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছে। ওই সময় আমি কুমিল্লা সিটিকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তারা আমার কর্মকাণ্ড ও কর্মপরিকল্পনায় খুশি। তাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমার সঙ্গে রয়েছে।'
পৌর মেয়র হিসেবে সফলতার কথা উল্লেখ করে সাক্কু বলেন, 'অল্প সময় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলেও এ সময়ের মধ্যেই আমি নিউ মার্কেট নির্মাণের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ করতে পেরেছি। রাজগঞ্জ কাঁচাবাজার নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে শেষ করতে পারিনি। এ ছাড়া ধর্মসাগর দীঘির পাড়ে একটি শিশুপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। নকশাও অনুমোদিত হয়ে আছে। কিন্তু এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলে ইনশা আল্লাহ আমি এসব অসমাপ্ত কাজ অগ্রাধিকারভিত্তিতে সমাপ্ত করব।'
মনিরুল হক সাক্কু আরো বলেন, 'কুমিল্লা সিটির একটি বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথমেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজে হাত দেব। এমনভাবে কাজ করব_যেন তা শুধু পাঁচ বছর নয়, আগামী ৫০ বছর টিকে থাকে।'
এক প্রশ্নের জবাবে সাক্কু বলেন, 'চোরাচালান, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ হলেও সিটি মেয়র নির্বাচিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই নগর জীবনের সমস্যা দূরীকরণে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা দেব।'
এক লাখ ৬৯ হাজার ভোটারের উদ্দেশে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, 'আপনারা আমাকে আরেকবার নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ দিন। আমি আপনাদেরকে সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী কুমিল্লা সিটি উপহার দেব।'
আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ আফজল খানের সঙ্গে মনিরুল হক সাক্কুর জোর লড়াই হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। এর পরই রয়েছেন আরেক মেয়র পদপ্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহমেদ সেলিম। আর সেনা মোতায়েন না করা ও ইভিএম প্রশ্নে আপত্তি তুলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজি আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করার সরকারি সিদ্ধান্তে গোলযোগের আশঙ্কা আছে কি না_জানতে চাইলে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, 'তেমন আশঙ্কা এখনো নেই। আমি ৬৪টি ভোটকেন্দ্রই ঘুরে দেখেছি। কোনো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে তা রিটার্নিং অফিসারকে জানাব। তবে এ নির্বাচনে মহিলা ভোটারের সংখ্যাই বেশি। তাই নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করা হলে মহিলা ভোটাররা স্বস্তি বোধ করতেন। ভোটকেন্দ্রে তাঁদের উপস্থিতির হারও হতো অনেক বেশি। সেনা মোতায়েন না করার সিদ্ধান্তে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।'
সাক্কু বলেন, 'কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ, নগরবাসী আমাকে পৌর মেয়র হিসেবে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছে। ওই সময় আমি কুমিল্লা সিটিকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তারা আমার কর্মকাণ্ড ও কর্মপরিকল্পনায় খুশি। তাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমার সঙ্গে রয়েছে।'
পৌর মেয়র হিসেবে সফলতার কথা উল্লেখ করে সাক্কু বলেন, 'অল্প সময় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলেও এ সময়ের মধ্যেই আমি নিউ মার্কেট নির্মাণের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ করতে পেরেছি। রাজগঞ্জ কাঁচাবাজার নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে শেষ করতে পারিনি। এ ছাড়া ধর্মসাগর দীঘির পাড়ে একটি শিশুপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। নকশাও অনুমোদিত হয়ে আছে। কিন্তু এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলে ইনশা আল্লাহ আমি এসব অসমাপ্ত কাজ অগ্রাধিকারভিত্তিতে সমাপ্ত করব।'
মনিরুল হক সাক্কু আরো বলেন, 'কুমিল্লা সিটির একটি বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথমেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজে হাত দেব। এমনভাবে কাজ করব_যেন তা শুধু পাঁচ বছর নয়, আগামী ৫০ বছর টিকে থাকে।'
এক প্রশ্নের জবাবে সাক্কু বলেন, 'চোরাচালান, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ হলেও সিটি মেয়র নির্বাচিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই নগর জীবনের সমস্যা দূরীকরণে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা দেব।'
এক লাখ ৬৯ হাজার ভোটারের উদ্দেশে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, 'আপনারা আমাকে আরেকবার নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ দিন। আমি আপনাদেরকে সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী কুমিল্লা সিটি উপহার দেব।'
No comments