খালেদাকে মনমোহনের আশ্বাস-টিপাইমুখে ক্ষতিকর কিছু হবে না
টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে খালেদা জিয়ার দেওয়া চিঠির জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের পাঠানো চিঠির বক্তব্য প্রকাশ করেছে বিএনপি। গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চিঠির বক্তব্য প্রকাশ করেন। ড. মনমোহন টিপাইমুখে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু না হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ফখরুল
ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওই চিঠিতে মনমোহন সিং বিএনপি চেয়ারপারসনকে বলেছেন, টিপাইমুখ বাঁধ কোনো সেচ প্রকল্প নয়। এটা মূলত বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পে ভারত সরকার এমন কিছু করবে না যার কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি হতে পারে। চিঠিতে মনমোহন আরো বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল ভারত সরকারের আমন্ত্রণে টিপাইমুখ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিদলকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে, টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশের কোনো এলাকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তবে চিঠির কোনো অনুলিপি সাংবাদিকদের দেওয়া হয়নি।
ফখরুল ইসলাম জানান, গত ২২ নভেম্বর খালেদা জিয়া টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেন। ড. মনমোহন ওই চিঠির জবাব গত ২৪ নভেম্বর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে পাঠান। হাইকমিশন গত ২৬ নভেম্বর খালেদা জিয়ার কাছে চিঠি পেঁঁৗছে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও দলের সহ-সভাপতি মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১০ জেলার প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা, কৃষি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নৌ-চলাচল, মৎস্য সম্পদ, পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রকল্পটি এতই ক্ষতিকর হবে যে, এর বিরুদ্ধে ভারতের মণিপুর ও মিজোরামের জনগণই ৪০ বছর ধরে আন্দোলন করছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পানিবিশেষজ্ঞদের কারিগরি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য স্পষ্ট।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল অভিযোগ করেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আওয়ামী লীগ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প বন্ধের জন্য আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তারা যৌথ নদী কমিশনের সভায় টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে প্রতিবাদ করেনি। যৌথ কারিগরি সমীক্ষা প্রণয়নের জন্য কোনো তাগিদ দেয়নি। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে একটি সংসদীয় দল টিপাইমুখ বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন না করেই ফিরে আসে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এমনকি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসে ফিরতি বৈঠকও করেন। কিন্তু টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি সরকার। এ কারণে সুফল বলে কিছুই হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ অবস্থায় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটি যৌথ বিশেষজ্ঞ দল টিপাইমুখে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। অথচ বিরোধী দলের নয়, জাতীয় স্বার্থে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিকা পালনের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সরকার সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা দিলি্ল সফর করে প্রকল্পের বিরোধিতা তো দূরের কথা, কোনো প্রতিবাদও জানাতে পারেনি। সরকারের জোরালো কোনো প্রতিবাদ নেই বলেই দেশের জনগণ টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমরা জাতীয় স্বার্থে সে আন্দোলন সমর্থন করছি।' টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গঠনের আহ্বান জানান ফখরুল ইসলাম।
আবদুল মঈন খান বলেন, ওয়ার্ল্ড কমিশন অন ড্যাম ইতিমধ্যে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে শুধু ভারতেরই ১২ হাজার বর্গমাইল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে তারা বলেছে, বাংলাদেশে চার ভাগের এক ভাগ এলাকার তিন কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, কখনো যদি ভূমিকম্পে এই বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট শহর আট ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
ফখরুল ইসলাম জানান, গত ২২ নভেম্বর খালেদা জিয়া টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেন। ড. মনমোহন ওই চিঠির জবাব গত ২৪ নভেম্বর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে পাঠান। হাইকমিশন গত ২৬ নভেম্বর খালেদা জিয়ার কাছে চিঠি পেঁঁৗছে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও দলের সহ-সভাপতি মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১০ জেলার প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা, কৃষি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নৌ-চলাচল, মৎস্য সম্পদ, পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রকল্পটি এতই ক্ষতিকর হবে যে, এর বিরুদ্ধে ভারতের মণিপুর ও মিজোরামের জনগণই ৪০ বছর ধরে আন্দোলন করছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পানিবিশেষজ্ঞদের কারিগরি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য স্পষ্ট।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল অভিযোগ করেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আওয়ামী লীগ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প বন্ধের জন্য আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তারা যৌথ নদী কমিশনের সভায় টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে প্রতিবাদ করেনি। যৌথ কারিগরি সমীক্ষা প্রণয়নের জন্য কোনো তাগিদ দেয়নি। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে একটি সংসদীয় দল টিপাইমুখ বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন না করেই ফিরে আসে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এমনকি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসে ফিরতি বৈঠকও করেন। কিন্তু টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি সরকার। এ কারণে সুফল বলে কিছুই হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ অবস্থায় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটি যৌথ বিশেষজ্ঞ দল টিপাইমুখে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। অথচ বিরোধী দলের নয়, জাতীয় স্বার্থে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিকা পালনের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সরকার সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা দিলি্ল সফর করে প্রকল্পের বিরোধিতা তো দূরের কথা, কোনো প্রতিবাদও জানাতে পারেনি। সরকারের জোরালো কোনো প্রতিবাদ নেই বলেই দেশের জনগণ টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমরা জাতীয় স্বার্থে সে আন্দোলন সমর্থন করছি।' টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গঠনের আহ্বান জানান ফখরুল ইসলাম।
আবদুল মঈন খান বলেন, ওয়ার্ল্ড কমিশন অন ড্যাম ইতিমধ্যে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে শুধু ভারতেরই ১২ হাজার বর্গমাইল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে তারা বলেছে, বাংলাদেশে চার ভাগের এক ভাগ এলাকার তিন কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, কখনো যদি ভূমিকম্পে এই বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট শহর আট ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
No comments