বিরোধী দল বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে জাতীয় সংসদে যায় না কেন?-সমকালীন প্রসঙ্গ by বদরুদ্দীন উমর
যে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে হরতাল, ধর্মঘট জনগণের ও শ্রমিকদের আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর হাতিয়ার। কাজেই হরতাল, ধর্মঘট নিষিদ্ধ অথবা হরতাল, ধর্মঘট করলে হরতালি ও ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দেওয়ার কাজ যারা করে তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির কোনো ধার ধারে না। সাধারণ জনগণের ওপর পুলিশকে দিয়ে লাঠি হামলা, কাঁদানে গ্যাস আক্রমণ ও ক্ষেত্রবিশেষে গুলি চালানোর কাজ যারা করে তারা যে জনগণের বন্ধু নয়,
এটা এ দেশের জনগণের ভালোভাবেই জানা আছে। অন্যদিকে হরতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক হাতিয়ার যারা ঘন ঘন ও সামান্য কারণে ব্যবহার করে তাদের সঙ্গেও জনগণের ও জনস্বার্থের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণের অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারার কারণেই হরতালের ডাক দিয়ে হরতাল সফল করার জন্য হরতালের দু'একদিন আগে থেকে 'হরতাল হরতাল' বলে স্লোগান দিয়ে তারা রাস্তাঘাট গরম করে। ঘন ঘন এভাবে হরতাল আহ্বান করে সংসদীয় বিরোধী দলের এই কার্যকলাপ কোনো বিশেষ দলের নয়। এ জন্য এরশাদকে হটিয়ে দিয়ে ১৯৯১ সালে এরশাদ-উত্তর প্রথম নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে সংসদীয় বিরোধী দল সংসদ অধিবেশন বর্জন এবং সামান্য কারণে ঢাকা শহরে ও প্রায়ই সারাদেশে হরতাল আহ্বান করে এবং বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করে। ১৯৯১ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগ এবং ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে বিএনপি উভয়েই একইভাবে হরতাল আহ্বান করে আসছে। এখানে লক্ষ্য করার বিষয়, এভাবে ঘন ঘন হরতাল আহ্বান করলেও শিল্প-কারখানায় ধর্মঘটের জন্য এরা কেউই আহ্বান জানায় না। কাজেই বিরোধী দলের হরতালের সময় শিল্প-কারখানা অঞ্চলে কাজ বন্ধ হয় না। ধর্মঘট করলে মালিকের ক্ষতি হবে, এই বিবেচনা থেকেই তারা অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শ্রমিক এলাকায় হরতাল বা ধর্মঘটের ডাক দেয় না। উভয়েই মালিক শ্রেণীর প্রতিনিধি হিসেবে হরতালে মালিক শ্রেণীর স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে। হরতালের সময় শ্রমিক ধর্মঘট করে মালিকদের কোনো গুরুতর ক্ষতি না হলেও এতে ক্ষতির বোঝা জনগণের কাঁধের ওপর কীভাবে পড়ে এটা বুঝিয়ে বলার কোনো প্রয়োজন নেই; কারণ জনগণই এর ভুক্তভোগী।
ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ উভয়েই হরতালের ঘোর বিরোধী হয়। হরতালের ফলে দেশ কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার একটা ফিরিস্তি এরা দেয়। এরা হরতালের বিরুদ্ধে পুলিশ ও নিজেদের দলীয় গুণ্ডাপাণ্ডাকে মাঠে নামায়। লাঠিসোটা থেকে বন্দুক পর্যন্ত নিয়ে এরা হরতালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর কোনো ব্যতিক্রম আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। আগে কোনো দল হরতাল করলে হরতালিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পিকেটিং করত। সে সময় পুলিশ তাদের কাউকে কাউকে গ্রেফতার করত, আবার ছেড়ে দিত। কিন্তু এখন যা ঘটে তা আগে কোনোদিন দেখা যায়নি। হরতাল সফল করার জন্য যেমন বিরোধী দল রাস্তায় মিছিল করতে নামে, তেমনি সরকারি দল নিজেদের পোষা গুণ্ডাপাণ্ডাদের নিয়ে মিছিল করে এবং পুলিশ ও এই গুণ্ডাপাণ্ডারা হরতালিদের মিছিলে আক্রমণ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ফ্যাসিস্টসুলভ কাজ হলো, বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরও এরা রেহাই দেয় না। তাদের গ্রেফতার করলে তাতে বলার কিছু থাকত না। কিন্তু বিরোধী দলের গণ্যমান্য নেতা-নেত্রীদেরও পুলিশ ও সরকারি দলের গুণ্ডাপাণ্ডারা শারীরিকভাবে যে আক্রমণ করে, তাদের অপমান করে সেটা বাংলাদেশ হওয়ার আগে ব্রিটিশ বা পাকিস্তানি আমলে দেখা যেত না।
এখন অবস্থা দাঁড়িয়েছে অন্য রকম। সে কারণে দেখা গেছে, বিরোধী দলের গণ্যমান্য, বিশিষ্ট ও পরিচিত নেতা-নেত্রীদের কাপড়চোপড় পর্যন্ত তারা খুলে ফেলে। এদিক দিয়ে পুরুষ ও মহিলা বাছবিচার তাদের থাকে না। কাপড় ছেঁড়া অবস্থা এবং প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় মিছিলকারী নেতা-নেত্রীদের ছবিও সংবাদপত্রে ছাপা হয়। মাটিতে ফেলে নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করার দৃশ্যও টেলিভিশনে দেখা যায়। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে বিএনপির ডাকা হরতালের সময়ও এই একই ব্যাপার ঘটেছে। একটা রাজধানী শহরের মেয়র যথেষ্ট গণ্যমান্য লোক। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী এবং অন্য নেতারাও হরতালের সময় উপস্থিত ছিলেন। এসব ব্যক্তির ওপর পুলিশ লাঠি চালায়। তাদের কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে।
বিরোধী দল, সে আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি যে-ই হোক, হরতালের সময় রাস্তায় নামে বিভিন্ন ইস্যুতে। কিন্তু যে জাতীয় সংসদ এসব বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্র এবং এ কাজ করার জন্যই জনগণ তাদের ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে পাঠায়; এদিক দিয়ে জনগণের এই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কিছুই করেন না। এসব দেখে মনে হয় ক্ষমতাসীন দল মনে করে, জনগণ তাদের স্বৈরাচারী জমিদার হিসেবে ক্ষমতাসীন করেছে এবং এই জমিদারিতে তারা যা ইচ্ছা করতে পারে। অন্যদিকে বিরোধী দলও ঠিক তা-ই মনে করে। তাদেরও ধারণা, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সরকার গঠন করেছে তারা ৫ বছরের মেয়াদে জমিদারির মালিক হয়েছে। তারা সামান্য কারণে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বর্জন করে যেভাবে বসে থাকে, তার থেকে রাজনৈতিক নীতিহীনতা ও দায়িত্বহীনতার কাজ সংসদীয় রাজনীতিতে আর কী হতে পারে? কাজেই তিস্তার পানি বণ্টন, টিপাইমুখ বাঁধ ইত্যাদি নিয়ে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন! যে সময় এই চিঠি দেওয়া হয়েছিল তখন জাতীয় সংসদের অধিবেশনও চলছিল। সেই অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা দাবি করার চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ ক্ষেত্রে তাদের ছিল না। কারণ সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা হতে না দিলে এ উপলক্ষে সংসদ বর্জন করে বেরিয়ে এসে যে কাজে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া, মোটর গাড়িতে চড়ে লংমার্চ করা, হরতাল আহ্বান করা ইত্যাদি থেকে হতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর। তাদের বোঝার কোনো ক্ষমতাই নেই যে, তারা যেসব কাজ করছে আন্দোলনের নামে তার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসূ ব্যাপার ছিল জাতীয় সংসদে গিয়ে এসব বিষয়ে আলোচনার চেষ্টা করা। সরকার যদি সে আলোচনা করতে দিত তাতেও লাভ হতো, যদি করতে না দিত তাতেও লাভ হতো। কিন্তু এই সামান্য বোধবুদ্ধিও বিএনপির নেতা-নেত্রীদের নেই। এর থেকেই বোঝা যায়, বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে সমস্ত পরিস্থিতির মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে এটা মনে করা রাজনৈতিক মূঢ়তা ছাড়া আর কিছু নয়। এখানে অবশ্যই বলা দরকার, ক্ষমতায় যেতে না পেরে জাতীয় সংসদ একটানাভাবে বর্জন করে এলেও নিজেদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও তার সঙ্গে হাজার রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হওয়ার জন্য তারা জাতীয় সংসদে গিয়ে নিজেদের উপস্থিতি রেকর্ড করে আসে! বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান এদিক দিয়ে একই ধরনের। গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অকেজো করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের এই কাজ যে চরম সুবিধাবাদী এবং হীন রাজনৈতিক ব্যাপার এতে আর সন্দেহ কী?
৫.১২.২০১১
ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ উভয়েই হরতালের ঘোর বিরোধী হয়। হরতালের ফলে দেশ কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার একটা ফিরিস্তি এরা দেয়। এরা হরতালের বিরুদ্ধে পুলিশ ও নিজেদের দলীয় গুণ্ডাপাণ্ডাকে মাঠে নামায়। লাঠিসোটা থেকে বন্দুক পর্যন্ত নিয়ে এরা হরতালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর কোনো ব্যতিক্রম আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। আগে কোনো দল হরতাল করলে হরতালিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পিকেটিং করত। সে সময় পুলিশ তাদের কাউকে কাউকে গ্রেফতার করত, আবার ছেড়ে দিত। কিন্তু এখন যা ঘটে তা আগে কোনোদিন দেখা যায়নি। হরতাল সফল করার জন্য যেমন বিরোধী দল রাস্তায় মিছিল করতে নামে, তেমনি সরকারি দল নিজেদের পোষা গুণ্ডাপাণ্ডাদের নিয়ে মিছিল করে এবং পুলিশ ও এই গুণ্ডাপাণ্ডারা হরতালিদের মিছিলে আক্রমণ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ফ্যাসিস্টসুলভ কাজ হলো, বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরও এরা রেহাই দেয় না। তাদের গ্রেফতার করলে তাতে বলার কিছু থাকত না। কিন্তু বিরোধী দলের গণ্যমান্য নেতা-নেত্রীদেরও পুলিশ ও সরকারি দলের গুণ্ডাপাণ্ডারা শারীরিকভাবে যে আক্রমণ করে, তাদের অপমান করে সেটা বাংলাদেশ হওয়ার আগে ব্রিটিশ বা পাকিস্তানি আমলে দেখা যেত না।
এখন অবস্থা দাঁড়িয়েছে অন্য রকম। সে কারণে দেখা গেছে, বিরোধী দলের গণ্যমান্য, বিশিষ্ট ও পরিচিত নেতা-নেত্রীদের কাপড়চোপড় পর্যন্ত তারা খুলে ফেলে। এদিক দিয়ে পুরুষ ও মহিলা বাছবিচার তাদের থাকে না। কাপড় ছেঁড়া অবস্থা এবং প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় মিছিলকারী নেতা-নেত্রীদের ছবিও সংবাদপত্রে ছাপা হয়। মাটিতে ফেলে নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করার দৃশ্যও টেলিভিশনে দেখা যায়। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে বিএনপির ডাকা হরতালের সময়ও এই একই ব্যাপার ঘটেছে। একটা রাজধানী শহরের মেয়র যথেষ্ট গণ্যমান্য লোক। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী এবং অন্য নেতারাও হরতালের সময় উপস্থিত ছিলেন। এসব ব্যক্তির ওপর পুলিশ লাঠি চালায়। তাদের কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে।
বিরোধী দল, সে আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি যে-ই হোক, হরতালের সময় রাস্তায় নামে বিভিন্ন ইস্যুতে। কিন্তু যে জাতীয় সংসদ এসব বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্র এবং এ কাজ করার জন্যই জনগণ তাদের ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে পাঠায়; এদিক দিয়ে জনগণের এই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কিছুই করেন না। এসব দেখে মনে হয় ক্ষমতাসীন দল মনে করে, জনগণ তাদের স্বৈরাচারী জমিদার হিসেবে ক্ষমতাসীন করেছে এবং এই জমিদারিতে তারা যা ইচ্ছা করতে পারে। অন্যদিকে বিরোধী দলও ঠিক তা-ই মনে করে। তাদেরও ধারণা, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সরকার গঠন করেছে তারা ৫ বছরের মেয়াদে জমিদারির মালিক হয়েছে। তারা সামান্য কারণে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বর্জন করে যেভাবে বসে থাকে, তার থেকে রাজনৈতিক নীতিহীনতা ও দায়িত্বহীনতার কাজ সংসদীয় রাজনীতিতে আর কী হতে পারে? কাজেই তিস্তার পানি বণ্টন, টিপাইমুখ বাঁধ ইত্যাদি নিয়ে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন! যে সময় এই চিঠি দেওয়া হয়েছিল তখন জাতীয় সংসদের অধিবেশনও চলছিল। সেই অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা দাবি করার চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ ক্ষেত্রে তাদের ছিল না। কারণ সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা হতে না দিলে এ উপলক্ষে সংসদ বর্জন করে বেরিয়ে এসে যে কাজে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া, মোটর গাড়িতে চড়ে লংমার্চ করা, হরতাল আহ্বান করা ইত্যাদি থেকে হতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর। তাদের বোঝার কোনো ক্ষমতাই নেই যে, তারা যেসব কাজ করছে আন্দোলনের নামে তার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসূ ব্যাপার ছিল জাতীয় সংসদে গিয়ে এসব বিষয়ে আলোচনার চেষ্টা করা। সরকার যদি সে আলোচনা করতে দিত তাতেও লাভ হতো, যদি করতে না দিত তাতেও লাভ হতো। কিন্তু এই সামান্য বোধবুদ্ধিও বিএনপির নেতা-নেত্রীদের নেই। এর থেকেই বোঝা যায়, বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে সমস্ত পরিস্থিতির মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে এটা মনে করা রাজনৈতিক মূঢ়তা ছাড়া আর কিছু নয়। এখানে অবশ্যই বলা দরকার, ক্ষমতায় যেতে না পেরে জাতীয় সংসদ একটানাভাবে বর্জন করে এলেও নিজেদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও তার সঙ্গে হাজার রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হওয়ার জন্য তারা জাতীয় সংসদে গিয়ে নিজেদের উপস্থিতি রেকর্ড করে আসে! বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান এদিক দিয়ে একই ধরনের। গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অকেজো করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের এই কাজ যে চরম সুবিধাবাদী এবং হীন রাজনৈতিক ব্যাপার এতে আর সন্দেহ কী?
৫.১২.২০১১
No comments