হুবহু-জনগণের কাছে আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই জনগণের আশা পূরণের জন্যও এটি গঠিত হয়নি
আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। সম্প্রতি নাগরিক উদ্যোগে সিটিজেন ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (সিডিএইচআর) রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি করেছেন গত ২৮ নভেম্বর। এ সংগঠনটির তিনি সদস্যসচিব, আহ্বায়ক ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম। সংগঠনটির দাবি, তারা রাজনৈতিক সংগঠন, তবে নির্বাচন করবেন না, তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রেশারে (চাপে) রাখবে। যাকে পশ্চিমা তাত্তি্ব্বকরা বলে থাকেন প্রেশার গ্রুপ।
এ সংগঠনটিতে ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক রয়েছেন, যাঁদের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সুশীল সমাজের একটি অংশ তৎকালীন সরকারের সমর্থক ছিল। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, দেশে একটি ওয়ান-ইলেভন অবস্থা বিরাজ করছে। তাই এ ধরনের সংগঠন আগে থেকে ঘর গোছাচ্ছে। এ সংগঠনটি এরই মধ্যে সমাজের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে একই মঞ্চে সভা সমাবেশ করছে, তারই একটি সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর বিকল্প ধারার নেতৃত্বের সম্প্রতি গড়ে ওঠা ব্লু ব্যান্ড কল (বিবিসি)। এই সংগঠনটির সিডিএইচআর সংহতি প্রকাশ করে। সুশীল এই প্রেশার গ্রুপের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না এ ব্যাপারে কথা বলেছেন রাজনীতির সঙ্গে
একটি ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়া সত্ত্বেও আলাদা একটি সুশীল সংঘে যোগ দিতে হলো কেন?
'হয় সমঝোতা, নয় অবসর' রাজনৈতিক দল ও নেতাদের উদ্দেশে এই বার্তা নিয়ে মাঠে নেমেছে 'ব্লু ব্যান্ড কল' নামের একটি সংগঠন। শুক্রবার রাজধানীর বনানী ডিআইটি মাঠে সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করেছে ব্লু ব্যান্ড কল। অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে সংঘাতের রাজনীতি থেকে রাজনীতিবিদদের সরে আসতে বাধ্য করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের জন্ম। এটি মূলত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠিত তরুণরা গঠন করেছে। আমি একটি ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা। তবে যে সংগঠনটি গঠন করা হয়েছে, তা একটি নাগরিক সংগঠন। দুটি আলাদা বিষয়।
অভিযোগ রয়েছে, এ ধরনের সুশীল সংগঠনের আড়ালে সদস্যরা সাম্রাজ্যবাদ ও অগণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আপনাদের স্বচ্ছতার ভিত্তি কোথায়?
এমনটা হতেই পারে। কেউ কেউ ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারে। অনেকেই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এদিক-ওদিক নড়াচড়া করে। আমি কখনো মন্ত্রী হইনি। ক্ষমতার স্বাদ কিভাবে নেওয়া যায়, তাও আমার জানা নেই। তবে আমাদের এ সংগঠনের উদ্দেশ্য তা নয়। আমরা সমাজের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই। এই সংগঠনটির স্লোগান হলো 'রাজনীতিকে ঘৃণা কোরো না।' এই স্লোগানের মাধ্যমে তরুণ সমাজের মধ্যে একটা সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই, যারা রাজনীতিকে নয়, খারাপ রাজনীতিবিদদের ঘৃণা করবে। এর মাধ্যমে আমরা তরুণদের জয় ঘোষণা করছি।
কোন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে আপনারা রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আনতে চাইছেন?
আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার কথা বলিনি। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে সমঝোতার কথা বলছি। এই সমঝোতা ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও টেকসই গণতন্ত্র সম্ভব নয়। স্বাধীনতার ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমার অর্থনৈতিকভাবে এখনো দুর্বল। এখনো অনেক লোক বেকার। সংসদও কার্যকর হতে পারেনি। এ জন্য সংসদীয় সমঝোতার কথা বলছি।
আপনি কি মনে করেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা দেশের বৃহৎ তৃণমূল জনগণের কোনো উপকারে আসবে?
আবশ্যই আসবে। আগামী ১২ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ১৩ জানুয়ারি ৬টা পর্যন্ত টানা ২৪ ঘণ্টা ব্লু ব্যান্ড কলের সদস্যরা সমঝোতার দাবিতে রাজপথে অবস্থান করবেন। এর পরও সমঝোতা না হলে ৪৮ ঘণ্টা, তারপর ৭২ ঘণ্টা রাস্তায় থাকবেন। রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় না এলে রাস্তায় টানা অবস্থান করারও কর্মসূচি আসবে।
এটা তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়, জনগণের কাছে এর দায়বদ্ধতা কোথায়?
জনগণের কাছে আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। জনগণের আশা পূরণের জন্যও এটি গঠিত হয়নি। সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য এই সংগঠন সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা আশা করি, এটি সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারবে।
এ ধরনের সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চাচ্ছেন? সরকার কি ব্যর্থ?
বর্তমান সরকার ব্যর্থ_এ কথা বলার সময় এখনো আসেনি। এ ছাড়া বর্তমান সরকার ব্যর্থও নয়। এ সরকারের অনেক সফলতা আছে। তবে অনেকেই শুধু ব্যর্থতাটাই বড় করে দেখছে। এটা ঠিক নয়। যখন কোনো সরকারের সমালোচনা করা হয় তখন সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই সমালোচনা করা উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। তা ছাড়া নতুন প্রজন্মের অনেকেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গৌরবময় ইতিহাস জানে না। অনেক নেতার অবদানও তাদের জানা নেই। এ জন্য তারা রাজনীতিকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে উচ্চশিক্ষিত যুবকদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তাহলেই রাজনীতির গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। দেশে সংঘাতের রাজনীতি কমে যাবে। মানুষও হবে অধিক সচেতন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে : সফেদ সিরাজ
একটি ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়া সত্ত্বেও আলাদা একটি সুশীল সংঘে যোগ দিতে হলো কেন?
'হয় সমঝোতা, নয় অবসর' রাজনৈতিক দল ও নেতাদের উদ্দেশে এই বার্তা নিয়ে মাঠে নেমেছে 'ব্লু ব্যান্ড কল' নামের একটি সংগঠন। শুক্রবার রাজধানীর বনানী ডিআইটি মাঠে সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করেছে ব্লু ব্যান্ড কল। অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে সংঘাতের রাজনীতি থেকে রাজনীতিবিদদের সরে আসতে বাধ্য করার লক্ষ্যে এই সংগঠনের জন্ম। এটি মূলত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠিত তরুণরা গঠন করেছে। আমি একটি ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা। তবে যে সংগঠনটি গঠন করা হয়েছে, তা একটি নাগরিক সংগঠন। দুটি আলাদা বিষয়।
অভিযোগ রয়েছে, এ ধরনের সুশীল সংগঠনের আড়ালে সদস্যরা সাম্রাজ্যবাদ ও অগণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আপনাদের স্বচ্ছতার ভিত্তি কোথায়?
এমনটা হতেই পারে। কেউ কেউ ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারে। অনেকেই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এদিক-ওদিক নড়াচড়া করে। আমি কখনো মন্ত্রী হইনি। ক্ষমতার স্বাদ কিভাবে নেওয়া যায়, তাও আমার জানা নেই। তবে আমাদের এ সংগঠনের উদ্দেশ্য তা নয়। আমরা সমাজের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই। এই সংগঠনটির স্লোগান হলো 'রাজনীতিকে ঘৃণা কোরো না।' এই স্লোগানের মাধ্যমে তরুণ সমাজের মধ্যে একটা সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই, যারা রাজনীতিকে নয়, খারাপ রাজনীতিবিদদের ঘৃণা করবে। এর মাধ্যমে আমরা তরুণদের জয় ঘোষণা করছি।
কোন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে আপনারা রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আনতে চাইছেন?
আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার কথা বলিনি। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে সমঝোতার কথা বলছি। এই সমঝোতা ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও টেকসই গণতন্ত্র সম্ভব নয়। স্বাধীনতার ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমার অর্থনৈতিকভাবে এখনো দুর্বল। এখনো অনেক লোক বেকার। সংসদও কার্যকর হতে পারেনি। এ জন্য সংসদীয় সমঝোতার কথা বলছি।
আপনি কি মনে করেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা দেশের বৃহৎ তৃণমূল জনগণের কোনো উপকারে আসবে?
আবশ্যই আসবে। আগামী ১২ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ১৩ জানুয়ারি ৬টা পর্যন্ত টানা ২৪ ঘণ্টা ব্লু ব্যান্ড কলের সদস্যরা সমঝোতার দাবিতে রাজপথে অবস্থান করবেন। এর পরও সমঝোতা না হলে ৪৮ ঘণ্টা, তারপর ৭২ ঘণ্টা রাস্তায় থাকবেন। রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় না এলে রাস্তায় টানা অবস্থান করারও কর্মসূচি আসবে।
এটা তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়, জনগণের কাছে এর দায়বদ্ধতা কোথায়?
জনগণের কাছে আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। জনগণের আশা পূরণের জন্যও এটি গঠিত হয়নি। সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য এই সংগঠন সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা আশা করি, এটি সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারবে।
এ ধরনের সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চাচ্ছেন? সরকার কি ব্যর্থ?
বর্তমান সরকার ব্যর্থ_এ কথা বলার সময় এখনো আসেনি। এ ছাড়া বর্তমান সরকার ব্যর্থও নয়। এ সরকারের অনেক সফলতা আছে। তবে অনেকেই শুধু ব্যর্থতাটাই বড় করে দেখছে। এটা ঠিক নয়। যখন কোনো সরকারের সমালোচনা করা হয় তখন সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই সমালোচনা করা উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। তা ছাড়া নতুন প্রজন্মের অনেকেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গৌরবময় ইতিহাস জানে না। অনেক নেতার অবদানও তাদের জানা নেই। এ জন্য তারা রাজনীতিকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে উচ্চশিক্ষিত যুবকদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তাহলেই রাজনীতির গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। দেশে সংঘাতের রাজনীতি কমে যাবে। মানুষও হবে অধিক সচেতন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে : সফেদ সিরাজ
No comments