ডিএসই সূচক আবার পাঁচ হাজার পয়েন্টের ঘরে

মতে কমতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক আবারও পাঁচ হাজার পয়েন্টে নেমে এসেছে। গতকাল সোমবারের দর পতনের মধ্য দিয়ে ডিএসই সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫২ পয়েন্টে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। এদিকে টানা দর পতনে গতকাল দুপুরে আবারও ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের অবস্থানের কারণে ডিএসইর সামনের


সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।আগের দিনের মতো সূচকের সামান্য ঊর্ধগতি নিয়ে লেনদেন শুরু হয়ে গতকালও পতন দিয়ে তা শেষ হয়েছে। ডিএসইতে প্রথম পাঁচ মিনিটে সাধারণ মূল্য সূচক ৪ পয়েন্ট বাড়ে। ষষ্ঠ মিনিট থেকেই শুরু হয় দর পতন। দিনের কোনো সময়েই বাজার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দিন শেষে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৭ ভাগ কোম্পানি শেয়ারের দর হারিয়েছে। সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে দুই শতাংশের বেশি। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে প্রায় দুই শতাংশ। আর ৯২ শতাংশ কোম্পানি শেয়ারের দর হারিয়েছে।
বিশেল্গষকদের মতে, প্রণোদনা প্যাকেজের পরও আস্থা ও তারল্য সংকট কাটেনি বাজারে। এর মধ্যে নতুন নতুন উপসর্গ যোগ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলের সফর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, উদ্যোক্তাদের শেয়ারের পরিমাণ ৩০ শতাংশের কম এমন কোম্পানির উদ্যোক্তাদের ছয় মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় শেয়ার কেনার কথা। কিন্তু এই নির্দেশনাটি দুই বছর আগে জারি করা অপর এক নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসইসি চাইলে আগের নির্দেশনার প্রয়োগ স্থগিত করতে পারে, অথবা সংশিল্গষ্ট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের ছাড় দিতে পারে, কিন্তু সংস্থাটি এখনও এই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছে না। এই অস্পষ্ট অনিশ্চয়তা উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে তেমন নতুন বিনিয়োগ করছে না। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ এখন পর্যবেক্ষণে আছেন। কোন পর্যায়ে গিয়ে বাজার স্থিতিশীল হয় তা দেখে তারা বিনিয়োগ করতে চান। এভাবে সূচকের নিম্নসীমার অপেক্ষায় থাকার কারণেও বিনিয়োগ কমে গেছে। যা শেয়ারের দাম ও সূচককে নিচে ঠেলে দিচ্ছে।
সোমবার ডিএসইতে ২৪৬ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ২১৩টির দাম। আর ৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত। ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ১০৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫১ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এই বাজারে কাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৩ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩ কোটি দুই লাখ টাকা বেশি।

সিএসইতে সোমবার লেনদেনে অংশ নিয়েছে ১৬৭ কোম্পানি। এদের মধ্যে ১৫৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ১০টির দাম। সিএসইতে সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ২৯০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩২ কোটি টাকা।

No comments

Powered by Blogger.