আবার চট্টগ্রাম, আবার আশা কিন্তু...
চট্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধি : এ শহরের বাতাসে কিছু আছে। কিছু একটা আছে হয়তো এখানকার মাটিতেও। নইলে এখানে এলেই কেন মনে হবে, বাংলাদেশ জিতবে!হ্যাঁ, চট্টগ্রামের কথাই বলা হচ্ছে। বিশ্বাস হচ্ছে না? স্মৃতির ভেলায় ভেসে চলুন মাস দশেক আগে ফিরে যাই। বিশ্বকাপ চলছে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের ক্ষতের ওপর কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। কিন্তু পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লজ্জাজনক হার যেন
সব প্রলেপ তুলে আবারও ক্ষত-বিক্ষত করে দিল সমর্থকদের হৃদয়। হারের যন্ত্রণা যতটা না বেশি তার চেয়ে বেশি ৫৮ রানে অল আউট হওয়ার লজ্জা! হতাশায় ডুবানো ব্যাটিং, তারপর নিজেদের ক্রিকেটার ভেবে প্রতিপক্ষের টিম বাসে ঢিল ছোড়া, তখনকার অধিনায়কের বাড়িতে হামলা_কী হয়নি সে ম্যাচের পরে! ড্রেসিংরুমের ভেতরে-বাইরে যেন শ্মশানের নীরবতা। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশ দল ঘুরে দাঁড়িয়েছিল চট্টগ্রামে এসে। এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে পাওয়া অসাধারণ জয়টা শুধু তার আগের ম্যাচের যন্ত্রণাই ভুলিয়ে দেয়নি কিছুদিন জাগিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার আশাও!
পরের স্মৃতিটা খুব বেশি পুরনো নয়। এই তো কিছুদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ঢাকায় পরপর দুই ওয়ানডেতে হেরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামে এসে সেই ছবিটাই বদলে গেল। সাকিব-তামিম আর নাসিররা ৮ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে শুধু ঘুরে দাঁড়ালেন না, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১ রানে অল আউট করে দিয়ে শোধ নিলেন বিশ্বকাপের সেই ম্যাচেরও! এত মধুর স্মৃতি যে মাঠে সেখানে এসে আশাবাদী না হয়ে থাকা যায়? আগের দিন অনুশীলন করতে এসে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহও যেন নস্টালজিক হলেন সেই স্মৃতিতে, 'সবাই বলে চট্টগ্রাম আমাদের জন্য সৌভাগ্যের মাঠ। আমাদের বিশ্বাসটাও ওরকম হয়ে গেছে। তবে শুধু বিশ্বাস করলে তো হবে না, মাঠে সেরাটা দিতেও হবে।' আর মাঠে সেরাটা কখন দেয় বাংলাদেশ? যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আগের দুবার পরিস্থিতি এমনই ছিল। ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটো ম্যাচেই লজ্জাজনকভাবে হারার পর এবারও কি কিছুটা এমন নয়?
তাই তো! বেহিসাবি মন নিজের মতো হিসাব মিলিয়ে বলে দিচ্ছে এবার বাংলাদেশের জেতার কথা। কিন্তু সমর্থকদের মনের সঙ্গে যে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের চিরস্থায়ী শত্রুতা! এবার যেটা দেখা যাচ্ছে উইকেটের সঙ্গেও। চট্টগ্রামের উইকেটের রহস্যময় আচরণ নিয়ে নানা কথা আছে, কিন্তু দিন শেষে সেটা স্পিনবান্ধব এবং বাংলাদেশের স্পিনাররাও বরাবরই সেই সুবিধা পেয়ে আসছেন। সেই আশাতেই হয়তো এবার ঢাকার উইকেটও একরকম চট্টগ্রামের মতোই রাখা হয়েছে এবং তাতে ফল হয়েছে উল্টো। যে সুবিধাটা বাংলাদেশের স্পিনাররা নেওয়ার কথা সেটা নিচ্ছেন পাকিস্তানের বোলাররা এবং তাতেই আগের দুটো ম্যাচে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। এই মাঠেও যে তারই পুনরাবৃত্তি হবে না সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? কিউরেটর জাহির রেজা বাবুর কাছ থেকে কিছুটা আগাম পূর্বাভাস পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে কোড অব কন্ডাক্টের দোহাই শুনে।
তার পরেও চট্টগ্রাম বলেই স্বপ্ন দেখায় বাড়াবাড়ি, বাড়াবাড়ি ক্রিকেটার-সমর্থক সবার চাওয়াতেও।
ভাগ্যদেবী যেন এখানে মুশফিক-মাহমুদ উল্লাহদের নিরাশ করতে চান না। এবার কেন করবেন?
পরের স্মৃতিটা খুব বেশি পুরনো নয়। এই তো কিছুদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ঢাকায় পরপর দুই ওয়ানডেতে হেরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামে এসে সেই ছবিটাই বদলে গেল। সাকিব-তামিম আর নাসিররা ৮ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে শুধু ঘুরে দাঁড়ালেন না, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১ রানে অল আউট করে দিয়ে শোধ নিলেন বিশ্বকাপের সেই ম্যাচেরও! এত মধুর স্মৃতি যে মাঠে সেখানে এসে আশাবাদী না হয়ে থাকা যায়? আগের দিন অনুশীলন করতে এসে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহও যেন নস্টালজিক হলেন সেই স্মৃতিতে, 'সবাই বলে চট্টগ্রাম আমাদের জন্য সৌভাগ্যের মাঠ। আমাদের বিশ্বাসটাও ওরকম হয়ে গেছে। তবে শুধু বিশ্বাস করলে তো হবে না, মাঠে সেরাটা দিতেও হবে।' আর মাঠে সেরাটা কখন দেয় বাংলাদেশ? যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আগের দুবার পরিস্থিতি এমনই ছিল। ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটো ম্যাচেই লজ্জাজনকভাবে হারার পর এবারও কি কিছুটা এমন নয়?
তাই তো! বেহিসাবি মন নিজের মতো হিসাব মিলিয়ে বলে দিচ্ছে এবার বাংলাদেশের জেতার কথা। কিন্তু সমর্থকদের মনের সঙ্গে যে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের চিরস্থায়ী শত্রুতা! এবার যেটা দেখা যাচ্ছে উইকেটের সঙ্গেও। চট্টগ্রামের উইকেটের রহস্যময় আচরণ নিয়ে নানা কথা আছে, কিন্তু দিন শেষে সেটা স্পিনবান্ধব এবং বাংলাদেশের স্পিনাররাও বরাবরই সেই সুবিধা পেয়ে আসছেন। সেই আশাতেই হয়তো এবার ঢাকার উইকেটও একরকম চট্টগ্রামের মতোই রাখা হয়েছে এবং তাতে ফল হয়েছে উল্টো। যে সুবিধাটা বাংলাদেশের স্পিনাররা নেওয়ার কথা সেটা নিচ্ছেন পাকিস্তানের বোলাররা এবং তাতেই আগের দুটো ম্যাচে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। এই মাঠেও যে তারই পুনরাবৃত্তি হবে না সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? কিউরেটর জাহির রেজা বাবুর কাছ থেকে কিছুটা আগাম পূর্বাভাস পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে কোড অব কন্ডাক্টের দোহাই শুনে।
তার পরেও চট্টগ্রাম বলেই স্বপ্ন দেখায় বাড়াবাড়ি, বাড়াবাড়ি ক্রিকেটার-সমর্থক সবার চাওয়াতেও।
ভাগ্যদেবী যেন এখানে মুশফিক-মাহমুদ উল্লাহদের নিরাশ করতে চান না। এবার কেন করবেন?
No comments