কাগজ আমদানি-দেশীয় শিল্পের ওপর কুঠারাঘাত
দেশীয় শিল্পের বিকাশে সরকারের নানা মহল থেকে গুরুত্বারোপ করা হলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে বিপরীত চিত্র। ১৮ ডিসেম্বর, ২০১১ কালের কণ্ঠের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, শুল্ক সুবিধার অপব্যবহার করে বিদেশি কাগজ আমদানির ফলে দেশের কাগজশিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। দেশে উৎপাদিত কাগজ যেখানে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে, সেখানে শুল্ক সুবিধা দিয়ে কাগজ আমদানির বিষয়টি প্রশ্নবোধক।
আমদানিকৃত কাগজের মানও নিম্ন। অথচ একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এই কাগজ আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করার ফলে কাগজশিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশের কাগজকলগুলোর বর্তমান উৎপাদন প্রায় ৯ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। দেশে সব ধরনের কাগজের মোট চাহিদা রয়েছে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন। দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৬০টি কাগজকল কাগজ উৎপাদন করছে এবং সব ধরনের কাগজই উৎপাদন তালিকায় রয়েছে। শুল্ক সুবিধার অপব্যবহার করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কাগজ আমদানি করে বক্রপথে নিজেদের পকেট স্ফীত করছে এবং দেশীয় শিল্পের ওপর এ অপক্রিয়া কুঠারাঘাতের শামিল। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাগজ উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনহীন কাগজ আমদানি করা হচ্ছে কেন, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল খতিয়ে দেখছে না! এর ফলে শুধু বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাই বাইরে চলে যাচ্ছে না, স্থানীয় উদ্যোক্তা শ্রেণীর অস্তিত্বও পড়েছে হুমকির মুখে। কাগজ ও গুণগত মানসম্পন্ন কাগজজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুনাম কুড়ালেও ব্যাক টু ব্যাক সুবিধার আড়ালে অসাধু মহল দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে অপক্রিয়ায় লিপ্ত। এর ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিও হচ্ছে বিপুল। নিকট অতীতে অবৈধভাবে পাঁচ কনটেইনার ভর্তি আর্ট পেপারের একটি চালান শুল্ক কর্মকর্তাদের হাতে আটক না হলে সরকার প্রায় ৪০ লাখ টাকার রাজস্ব হারাত। এটা একটা মাত্র দৃষ্টান্ত। হাত গলে এমন চালান যে দেশের বাজারে অতীতে ঢুকে পড়েনি কিংবা এখনো পড়ছে না, এর কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? এসব ব্যাপারে বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের যৌক্তিক কিছু দাবি দীর্ঘদিন ধরে উত্থাপিত হলেও তা আমলেই নেওয়া হচ্ছে না!
জাতীয় স্বার্থে বিদেশি কাগজের অবৈধ আমদানি বন্ধ করে দেশে উৎপাদিত কাগজের বাজার সুনিশ্চিত করা অতি জরুরি। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতকে উৎসাহদানের পাশাপাশি তাদের পথ মসৃণ করার ব্যবস্থাও করতে হবে। দেশের বেসরকারি খাতে কাগজ উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে কাগজ তৈরির মিলের সংখ্যা ১০টি। পরিবেশবান্ধব কার্বনলেস পেপার, আর্ট পেপার, এ-ফোর পেপার উৎপাদন করে এই গ্রুপ নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা আগে আমদানি করতে হতো। বসুন্ধরা গ্রুপের কাগজ কলগুলোতে অত্যাধুনিক মেশিনে উৎপাদিত উন্নতমানের কাগজ ও কাগজজাত পণ্য ভোক্তাদের কাছে সমাদৃত। পাশাপাশি টি কে পেপার প্রোডাকশন লিমিটেড, সোনালি পেপারস মিলস লিমিটেড, ইউনুস পেপার মিলস লিমিটেড, ক্যাপিটাল বোর্ড মিলস লিমিটেডসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও কাগজ উৎপাদন করছে। বন্ডেড ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে কাগজ আমদানি করে দেশের বাজারে বিক্রি বন্ধ করার পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত কাগজের মূল্য নির্ধারণে সরকারের নীতিমালা তৈরির বিষয়টি জরুরি। দেশীয় পণ্যের জন্য বাজারব্যবস্থা মসৃণ করার পাশাপাশি দেশীয় শিল্প রক্ষায় জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার কালবিলম্ব না করে। এ ব্যাপারে কোনো রকম উদাসীনতা কাম্য নয়।
বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশের কাগজকলগুলোর বর্তমান উৎপাদন প্রায় ৯ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। দেশে সব ধরনের কাগজের মোট চাহিদা রয়েছে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন। দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৬০টি কাগজকল কাগজ উৎপাদন করছে এবং সব ধরনের কাগজই উৎপাদন তালিকায় রয়েছে। শুল্ক সুবিধার অপব্যবহার করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কাগজ আমদানি করে বক্রপথে নিজেদের পকেট স্ফীত করছে এবং দেশীয় শিল্পের ওপর এ অপক্রিয়া কুঠারাঘাতের শামিল। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাগজ উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনহীন কাগজ আমদানি করা হচ্ছে কেন, তা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল খতিয়ে দেখছে না! এর ফলে শুধু বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাই বাইরে চলে যাচ্ছে না, স্থানীয় উদ্যোক্তা শ্রেণীর অস্তিত্বও পড়েছে হুমকির মুখে। কাগজ ও গুণগত মানসম্পন্ন কাগজজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুনাম কুড়ালেও ব্যাক টু ব্যাক সুবিধার আড়ালে অসাধু মহল দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে অপক্রিয়ায় লিপ্ত। এর ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিও হচ্ছে বিপুল। নিকট অতীতে অবৈধভাবে পাঁচ কনটেইনার ভর্তি আর্ট পেপারের একটি চালান শুল্ক কর্মকর্তাদের হাতে আটক না হলে সরকার প্রায় ৪০ লাখ টাকার রাজস্ব হারাত। এটা একটা মাত্র দৃষ্টান্ত। হাত গলে এমন চালান যে দেশের বাজারে অতীতে ঢুকে পড়েনি কিংবা এখনো পড়ছে না, এর কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? এসব ব্যাপারে বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের যৌক্তিক কিছু দাবি দীর্ঘদিন ধরে উত্থাপিত হলেও তা আমলেই নেওয়া হচ্ছে না!
জাতীয় স্বার্থে বিদেশি কাগজের অবৈধ আমদানি বন্ধ করে দেশে উৎপাদিত কাগজের বাজার সুনিশ্চিত করা অতি জরুরি। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতকে উৎসাহদানের পাশাপাশি তাদের পথ মসৃণ করার ব্যবস্থাও করতে হবে। দেশের বেসরকারি খাতে কাগজ উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে কাগজ তৈরির মিলের সংখ্যা ১০টি। পরিবেশবান্ধব কার্বনলেস পেপার, আর্ট পেপার, এ-ফোর পেপার উৎপাদন করে এই গ্রুপ নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা আগে আমদানি করতে হতো। বসুন্ধরা গ্রুপের কাগজ কলগুলোতে অত্যাধুনিক মেশিনে উৎপাদিত উন্নতমানের কাগজ ও কাগজজাত পণ্য ভোক্তাদের কাছে সমাদৃত। পাশাপাশি টি কে পেপার প্রোডাকশন লিমিটেড, সোনালি পেপারস মিলস লিমিটেড, ইউনুস পেপার মিলস লিমিটেড, ক্যাপিটাল বোর্ড মিলস লিমিটেডসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও কাগজ উৎপাদন করছে। বন্ডেড ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে কাগজ আমদানি করে দেশের বাজারে বিক্রি বন্ধ করার পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত কাগজের মূল্য নির্ধারণে সরকারের নীতিমালা তৈরির বিষয়টি জরুরি। দেশীয় পণ্যের জন্য বাজারব্যবস্থা মসৃণ করার পাশাপাশি দেশীয় শিল্প রক্ষায় জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার কালবিলম্ব না করে। এ ব্যাপারে কোনো রকম উদাসীনতা কাম্য নয়।
No comments