এমন মৃত্যুতে সবার টনক নড়া উচিত-শাবিপ্রবির দুই ছাত্রের মৃত্যু
আমিনবাজারে ছাত্রহত্যা হয়েছিল পুলিশের প্রশ্রয়ে গণপিটুনিতে; সিলেটে হলো সন্ত্রাসীদের হাতে। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে আহত করে নদীতে ফেলে হত্যা করা হয়। ঘাতকেরাও তরুণ। বিনা কারণে তরুণের হাতে তরুণের এমন মৃত্যু তিক্ত ও মর্মান্তিক। দুই বিশ্ববিদ্যালয়-ছাত্রের এমন মৃত্যু কেবল তাঁদের পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতিই নয়, সবার জন্যই শোকের। আমরা ওই দুই ছাত্রের পরিবার এবং তাঁদের
সহপাঠীদের শোকের সঙ্গে একাত্ম। দ্রুত অপরাধীদের আটক করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই এখন সিলেটের পুলিশের দায়িত্ব।
শিক্ষার্থীরা বেড়াতে বেরোবে, এটা স্বাভাবিক। তার এমন পরিণতি কি কল্পনা করা যায়? কিন্তু অকল্পনীয় সব ঘটনাই এখন ঘটতে শুরু করেছে। সিলেটের সুরমা নদীর শাখা চেঙ্গেরখালে নৌকা ভাড়া করে তাঁরা বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু ফেরার পথে আরেকটি নৌকায় করে একদল সন্ত্রাসী তাঁদের ওপর হামলা করে। তাঁদের মোবাইল ফোন, টাকা ইত্যাদি ছিনিয়ে নিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি, সঙ্গী তিন ছাত্রীকেও তারা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। দীপঙ্কর ও খায়রুল এতে বাধা দিলে তাঁদের মাথায় লাঠির বাড়ি মেরে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ধারা থেকে পরিষ্কার যে হামলাটি পরিকল্পিত। দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করা পুলিশের জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।
হয়তো সন্ত্রাসীদের বাধা না দিলে, হয়তো সহপাঠিনীদের বাঁচাতে সাহসী হয়ে না উঠলে এমন মৃত্যু তাঁদের হতো না। কিন্তু আক্রান্তকে বাঁচাতে এগিয়ে আসাই তো তারুণ্যের ধর্ম। দুই ছাত্রের এ মৃত্যু তাই মহিমান্বিত। আমরা তাঁদের অভিবাদন জানাই।
কিন্তু তরুণদের আরেকটি অংশ কী পরিমাণ অনৈতিক ও নৃশংস মানসিকতা লালন করে, তারও প্রমাণ এ মৃত্যু। যে তরুণেরা ছাত্রদের নৌকায় হামলা করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা কীভাবে এমন মানসিকতা অর্জন করল? দেশের যাবতীয় দুর্বৃত্ত কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক দল বা প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়া পেয়ে থাকে—এটা সবার জানা। তাদের অব্যাহত প্রশ্রয় ও আশ্রয়ে তরুণদের একটি অংশ অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় কর্তাব্যক্তিদের টনক নড়লেই হয়!
শিক্ষার্থীরা বেড়াতে বেরোবে, এটা স্বাভাবিক। তার এমন পরিণতি কি কল্পনা করা যায়? কিন্তু অকল্পনীয় সব ঘটনাই এখন ঘটতে শুরু করেছে। সিলেটের সুরমা নদীর শাখা চেঙ্গেরখালে নৌকা ভাড়া করে তাঁরা বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু ফেরার পথে আরেকটি নৌকায় করে একদল সন্ত্রাসী তাঁদের ওপর হামলা করে। তাঁদের মোবাইল ফোন, টাকা ইত্যাদি ছিনিয়ে নিয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি, সঙ্গী তিন ছাত্রীকেও তারা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। দীপঙ্কর ও খায়রুল এতে বাধা দিলে তাঁদের মাথায় লাঠির বাড়ি মেরে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ধারা থেকে পরিষ্কার যে হামলাটি পরিকল্পিত। দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করা পুলিশের জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়।
হয়তো সন্ত্রাসীদের বাধা না দিলে, হয়তো সহপাঠিনীদের বাঁচাতে সাহসী হয়ে না উঠলে এমন মৃত্যু তাঁদের হতো না। কিন্তু আক্রান্তকে বাঁচাতে এগিয়ে আসাই তো তারুণ্যের ধর্ম। দুই ছাত্রের এ মৃত্যু তাই মহিমান্বিত। আমরা তাঁদের অভিবাদন জানাই।
কিন্তু তরুণদের আরেকটি অংশ কী পরিমাণ অনৈতিক ও নৃশংস মানসিকতা লালন করে, তারও প্রমাণ এ মৃত্যু। যে তরুণেরা ছাত্রদের নৌকায় হামলা করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা কীভাবে এমন মানসিকতা অর্জন করল? দেশের যাবতীয় দুর্বৃত্ত কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক দল বা প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়া পেয়ে থাকে—এটা সবার জানা। তাদের অব্যাহত প্রশ্রয় ও আশ্রয়ে তরুণদের একটি অংশ অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় কর্তাব্যক্তিদের টনক নড়লেই হয়!
No comments