পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা-আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাশাপাশি এবার ছাত্রদল কর্মীরাও পুলিশের ওপর হামলা, বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা জানিয়েছে সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতুর পশ্চিমে কোনাবাড়ীতে একটি যাত্রীবাহী বাসেও অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবারের এসব ঘটনায় একজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালই একাত্তরের
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ ও কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়ার দিন ধার্য ছিল এবং সকাল ১০টার দিকে তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। যদিও ট্রাইব্যুনাল পুনরায় আগামী ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন। এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসেও যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ এবং আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে শিবিরকর্মীরা রাজধানীর বিজয়নগর, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় পুলিশের ওপর কমান্ডো স্টাইলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল এবং ২০টি গাড়ি ও ১৬টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ আরো কিছু জায়গায়ও অনুরূপ হামলা চালানো হয়েছিল। কুমিল্লায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তিন কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
টিভি চ্যানেল, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে মতিঝিল, বিজয়নগর, ফকিরেরপুল, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেয় ও ককটেল হামলা চালায়। এ সময় মতিঝিলে ককটেল হামলায় একজন মারা যায়।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবি এ দেশের একটি গণদাবি। সেই বিচার ঠেকানো, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাঁচানোর জন্য এ ধরনের অপচেষ্টা কেন? তার পরও যদি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানাতে হয়, রাস্তায় নামতে হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক উপায়েই তা করা উচিত। রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ করে, মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করে দাবি জানানো কোনোভাবেই কোনো গণতান্ত্রিক দলের আন্দোলনের কৌশল হতে পারে না। আর আমাদের পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এত নিষ্ক্রিয় কেন? তাদের অবস্থা দেখে মনে হয়, পূর্বপরিকল্পিত এসব হামলা সম্পর্কে আগে থেকে তারা কিছু জানতে পারে না। সারা দেশে গুপ্তহত্যা, রাজনৈতিক হত্যা, গুম-খুনের অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তাঁরা গুম-খুন ও গুপ্তহত্যার খবরে ঘুম থেকে জেগেছেন মাত্র। জননিরাপত্তা আজ যেভাবে বিঘি্নত হচ্ছে, তা চেয়ে দেখা ছাড়া সরকারের কি করার কিছুই নেই? তাহলে তাঁরা প্রকাশ্যে তাঁদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেই পারেন। পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটার আগেই এ ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আমরা দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি দেখতে চাই। সে কারণে সরকারি এবং বিরোধী দল উভয়ের কাছেই আমরা সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা আশা করি। আন্দোলন, বিক্ষোভ, এমনকি হরতাল দেওয়াটাও বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বোমাবাজি, সহিংসতা, যাত্রীবাহী বাসে অগি্নসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর_এসব করার কোনো অধিকার তাদের নেই। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতি মেনেই পরিচালিত হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে স্বাধীন ও দলনিরপেক্ষভাবে জননিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর হতে হবে এবং তাদের সেভাবেই কাজ করতে দিতে হবে।
টিভি চ্যানেল, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে মতিঝিল, বিজয়নগর, ফকিরেরপুল, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেয় ও ককটেল হামলা চালায়। এ সময় মতিঝিলে ককটেল হামলায় একজন মারা যায়।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবি এ দেশের একটি গণদাবি। সেই বিচার ঠেকানো, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাঁচানোর জন্য এ ধরনের অপচেষ্টা কেন? তার পরও যদি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানাতে হয়, রাস্তায় নামতে হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক উপায়েই তা করা উচিত। রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ করে, মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করে দাবি জানানো কোনোভাবেই কোনো গণতান্ত্রিক দলের আন্দোলনের কৌশল হতে পারে না। আর আমাদের পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এত নিষ্ক্রিয় কেন? তাদের অবস্থা দেখে মনে হয়, পূর্বপরিকল্পিত এসব হামলা সম্পর্কে আগে থেকে তারা কিছু জানতে পারে না। সারা দেশে গুপ্তহত্যা, রাজনৈতিক হত্যা, গুম-খুনের অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তাঁরা গুম-খুন ও গুপ্তহত্যার খবরে ঘুম থেকে জেগেছেন মাত্র। জননিরাপত্তা আজ যেভাবে বিঘি্নত হচ্ছে, তা চেয়ে দেখা ছাড়া সরকারের কি করার কিছুই নেই? তাহলে তাঁরা প্রকাশ্যে তাঁদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেই পারেন। পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটার আগেই এ ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আমরা দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি দেখতে চাই। সে কারণে সরকারি এবং বিরোধী দল উভয়ের কাছেই আমরা সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা আশা করি। আন্দোলন, বিক্ষোভ, এমনকি হরতাল দেওয়াটাও বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বোমাবাজি, সহিংসতা, যাত্রীবাহী বাসে অগি্নসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর_এসব করার কোনো অধিকার তাদের নেই। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতি মেনেই পরিচালিত হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে স্বাধীন ও দলনিরপেক্ষভাবে জননিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর হতে হবে এবং তাদের সেভাবেই কাজ করতে দিতে হবে।
No comments