সূচক ও লেনদেন সামান্য কমেছে
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আবারও পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বাজারে দরপতন ঘটে। এর ফলে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক নেমে এসেছে চার হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে। যদিও গতকাল লেনদেনের শুরু থেকেই ঢাকার বাজারে মূল্যসূচকের উত্থান-পতন ছিল। অবশ্য গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় মতিঝিলে ডিএসই ভবনের অদূরে সড়কে বোমা
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক ব্যক্তি নিহত হন। দিনের লেনদেন শুরুর আগেই বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরাও এই আতঙ্কের বাইরে ছিলেন না।
এই অবস্থায় বেলা ১১টায় দরপতন দিয়েই শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তা ঊর্ধ্বমুখী হয়। এভাবে বেশ কয়েক দফা উত্থান-পতন চলে। দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় চার পয়েন্ট কমে, পাশাপাশি লেনদেনও সামান্য হ্রাস পায়।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রথম আলোকে বলেন, বাজারের আচরণ পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে, ধীরে ধীরে এটি একটি ভিত্তি পেতে যাচ্ছে। বিনিয়োগের পরিমাণও ধীরে ধীরে বাড়ছে। যেহেতু ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি আর্থিক বছর শেষের হিসাব-নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত, তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
হাফিজ আরও বলেন, বিগত বছরগুলোয় ডিসেম্বরে এসে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিক্রির চাপ বাড়ত। কিন্তু এ বছর খুব একটা বিক্রির চাপ নেই। এটি বাজারের জন্য ইতিবাচক। এ ছাড়া কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে হলেও বাজারে সক্রিয় রয়েছে।
এদিকে, গতকালও তালিকাভুক্ত কোম্পানির একাধিক পরিচালক শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। উদ্যোক্তা পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের প্রভাব গতকালও লেনদেনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ও এককভাবে ২ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে, সেগুলোই লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।
ঢাকার বাজারে গতকাল ২৫৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮টির আর কমেছেও ১১৮টির। দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৮টির দাম। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২১০ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় সাত কোটি টাকা কম।
তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক দিন শেষে প্রায় চার পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া ১৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৯৬টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে চার কোটি টাকা কম।
এই অবস্থায় বেলা ১১টায় দরপতন দিয়েই শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তা ঊর্ধ্বমুখী হয়। এভাবে বেশ কয়েক দফা উত্থান-পতন চলে। দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় চার পয়েন্ট কমে, পাশাপাশি লেনদেনও সামান্য হ্রাস পায়।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রথম আলোকে বলেন, বাজারের আচরণ পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে, ধীরে ধীরে এটি একটি ভিত্তি পেতে যাচ্ছে। বিনিয়োগের পরিমাণও ধীরে ধীরে বাড়ছে। যেহেতু ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি আর্থিক বছর শেষের হিসাব-নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত, তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
হাফিজ আরও বলেন, বিগত বছরগুলোয় ডিসেম্বরে এসে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিক্রির চাপ বাড়ত। কিন্তু এ বছর খুব একটা বিক্রির চাপ নেই। এটি বাজারের জন্য ইতিবাচক। এ ছাড়া কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে হলেও বাজারে সক্রিয় রয়েছে।
এদিকে, গতকালও তালিকাভুক্ত কোম্পানির একাধিক পরিচালক শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। উদ্যোক্তা পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের প্রভাব গতকালও লেনদেনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ও এককভাবে ২ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে, সেগুলোই লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।
ঢাকার বাজারে গতকাল ২৫৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮টির আর কমেছেও ১১৮টির। দিন শেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৮টির দাম। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২১০ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় সাত কোটি টাকা কম।
তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক দিন শেষে প্রায় চার পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া ১৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৯৬টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে চার কোটি টাকা কম।
No comments