পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ-ঘন কুয়াশার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলছে লঞ্চ
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে প্রায় প্রতিদিনই ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে দিন-রাতের অনেকটা সময়। কিন্তু এর মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চ। এতে করে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত শুক্রবার কুয়াশার মধ্যে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পাটুরিয়ার কাছে যমুনা নদীতে ডুবে যায় এমভি আরাফাত নামে একটি লঞ্চ। ওই স্থানে নদীর গভীরতা কম হওয়ায় বেঁচে যায় যাত্রীরা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে এমভি আরাফাত লঞ্চটি পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঘাট থেকে ২৫০ গজ যাওয়ার পর পাটুরিয়া চ্যানেলে মাটি খননের কাজে নিয়োজিত ড্রেজারের পাইপের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে লঞ্চটির তলদেশ ফেটে যায়। ফাটা অংশ দিয়ে পানি উঠতে থাকলে মাস্টার (লঞ্চের চালক) লঞ্চটিকে চ্যানেলের পাশে চরের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেন। চরের কাছাকাছি যাওয়ার আগেই পানি উঠে লঞ্চটির অর্ধেক নিমজ্জিত হয়ে ডুবোচরে আটকে যায়। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে যানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে চালক পথ দেখতে না পেয়ে ড্রেজারের পাইপের ওপর দিয়ে লঞ্চটি তুলে দেন। এ সময় প্রচণ্ড শব্দে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে ওঠে। তবে লঞ্চটির তলদেশ ডুবোচরে আটকে যাওয়ায় যাত্রীরা ছাদে উঠে উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকে। খবর পেয়ে পাটুরিয়া ঘাট থেকে অপর একটি লঞ্চ নিয়ে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখা হলেও ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ চলাচল করে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে লঞ্চগুলো। তবে বড় কোনো ঘটনা না ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহিম খান দাবি করেন, কুয়াশার মধ্যে কোনো লঞ্চ চলাচল করে না। এমভি আরাফাত যখন ছেড়ে যায়, তখন কুয়াশা কম ছিল। ছাড়ার পরপরই হঠাৎ কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘন কুয়াশার মধ্যে লঞ্চটি কেন ছাড়া হলো জানতে চাইলে আরিচা নৌবন্দরের উপপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে যানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে চালক পথ দেখতে না পেয়ে ড্রেজারের পাইপের ওপর দিয়ে লঞ্চটি তুলে দেন। এ সময় প্রচণ্ড শব্দে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে ওঠে। তবে লঞ্চটির তলদেশ ডুবোচরে আটকে যাওয়ায় যাত্রীরা ছাদে উঠে উদ্ধারের অপেক্ষায় থাকে। খবর পেয়ে পাটুরিয়া ঘাট থেকে অপর একটি লঞ্চ নিয়ে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখা হলেও ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ চলাচল করে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে লঞ্চগুলো। তবে বড় কোনো ঘটনা না ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহিম খান দাবি করেন, কুয়াশার মধ্যে কোনো লঞ্চ চলাচল করে না। এমভি আরাফাত যখন ছেড়ে যায়, তখন কুয়াশা কম ছিল। ছাড়ার পরপরই হঠাৎ কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘন কুয়াশার মধ্যে লঞ্চটি কেন ছাড়া হলো জানতে চাইলে আরিচা নৌবন্দরের উপপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments