মন্ত্রীর ছেলেকে সন্ত্রাসীদের বাধা, দুই প্রকৌশলী বদলি, সংসদে দরপত্র কেলেঙ্কারি by আশিস সৈকত
সংসদের অধিবেশন কক্ষের জন্য কার্পেট কেনার দরপত্র জমা দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন আইনমন্ত্রীর ছেলে। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাত-আটজন যুবকের হুমকির কারণে আরও কয়েকজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিতে পারেননি বলে জানা যায়। বিদেশি এই কার্পেটের দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। গত ৩১ অক্টোবরের এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গতকাল বুধবার দুই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।
তাঁরা হলেন গণপূর্ত সার্কেল-৪-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির চৌধুরী এবং নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদ মোহাম্মদ কবির। বাধা দেওয়া যুবকদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্পিকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এদের পরিচয় জানতে চেয়েছেন। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের ছেলে মাহফুজ শফিক অবশ্য স্পিকারের হস্তক্ষেপে পরে দরপত্র জমা দিতে সক্ষম হন।
জানতে চাইলে স্পিকার আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, সংসদের মতো জায়গায় একজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিতে পারবেন না, তা হতে পারে না। তিনি মনে করেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তা ছাড়া কেউ এ ধরনের অপকর্ম করতে পারে না। সে জন্যই অপরাধীদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তা ছাড়া একজন মন্ত্রীর ছেলে যদি দরপত্রে অংশ নিতে না পারেন, তাহলে অন্যদের অবস্থা কী হবে!
সংসদ ভবন এলাকায় পূর্ত বিভাগের দপ্তর স্পিকারের বাসা থেকে কয়েক শ গজ দূরে। ওই দিন দুপুরে দরপত্র জমা দিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মাহফুজ শফিক সোজা স্পিকারের বাসভবনে গিয়ে অভিযোগ করেন।
ঘটনা শুনে স্পিকার ক্ষুব্ধ হন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে (সংসদের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা) ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এর আগেই সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই সময় নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বৈঠকের কথা বলে অফিস থেকে চলে যান। স্পিকারের নির্দেশ পেয়ে তখন সংসদের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আইনমন্ত্রীর ছেলে দরপত্র জমা দেন।
স্পিকার তৎক্ষণাৎ বিষয়টি পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানকে জানিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসী ঠিকদারদের তালিকাও চান। গতকাল সন্ধ্যায় পূর্ত প্রতিমন্ত্রী স্পিকারকে এ ঘটনায় দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
আইনমন্ত্রীর ছেলে মাহফুজ শফিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করার চেষ্ট করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি দেশের বাইরে গেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার সময় তিনি জরুরি একটি বৈঠকে অন্যত্র ছিলেন। তবে দরপত্রটি ঠিকমতো করতে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্বাহী প্রকৌশলী সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদ কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি অফিসে আসছেন না, ফোনও ধরছেন না।
জানতে চাইলে স্পিকার আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, সংসদের মতো জায়গায় একজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিতে পারবেন না, তা হতে পারে না। তিনি মনে করেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তা ছাড়া কেউ এ ধরনের অপকর্ম করতে পারে না। সে জন্যই অপরাধীদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তা ছাড়া একজন মন্ত্রীর ছেলে যদি দরপত্রে অংশ নিতে না পারেন, তাহলে অন্যদের অবস্থা কী হবে!
সংসদ ভবন এলাকায় পূর্ত বিভাগের দপ্তর স্পিকারের বাসা থেকে কয়েক শ গজ দূরে। ওই দিন দুপুরে দরপত্র জমা দিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মাহফুজ শফিক সোজা স্পিকারের বাসভবনে গিয়ে অভিযোগ করেন।
ঘটনা শুনে স্পিকার ক্ষুব্ধ হন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে (সংসদের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা) ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এর আগেই সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই সময় নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বৈঠকের কথা বলে অফিস থেকে চলে যান। স্পিকারের নির্দেশ পেয়ে তখন সংসদের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আইনমন্ত্রীর ছেলে দরপত্র জমা দেন।
স্পিকার তৎক্ষণাৎ বিষয়টি পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানকে জানিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসী ঠিকদারদের তালিকাও চান। গতকাল সন্ধ্যায় পূর্ত প্রতিমন্ত্রী স্পিকারকে এ ঘটনায় দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
আইনমন্ত্রীর ছেলে মাহফুজ শফিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করার চেষ্ট করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি দেশের বাইরে গেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার সময় তিনি জরুরি একটি বৈঠকে অন্যত্র ছিলেন। তবে দরপত্রটি ঠিকমতো করতে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্বাহী প্রকৌশলী সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদ কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি অফিসে আসছেন না, ফোনও ধরছেন না।
No comments