মুখোমুখি প্রতিদিন-স্বপ্ন একটা ফুটবল একাডেমী গড়ার
হারিয়ে যাওয়া দিলকুশা আবার জেগে উঠতে শুরু করেছে। তৃতীয় বিভাগ শিরোপা জিতে পেরিয়েছে প্রথম হার্ডল। এর নেপথ্য কারিগর ক্লাবের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মোমিনুল হক সাঈদ। এই তরুণ সংগঠক ক্লাবের ফুটবল নিয়ে বিস্তাারিত বলেছেন কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে।কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : অনেক বছর পর দিলকুশা দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে উঠল। একসময় তো দিলকুশা ফুটবলে বড় শক্তি ছিল....মোমিনুল হক সাঈদ : ১৯৭৪ সালে আবাহনীর প্রথম শিরোপা জয়ের মৌসুমে রানার্স-আপ হয়েছিল দিলকুশা।
এর পর থেকেই অধঃপতন, নামতে নামতে ফুটবল থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। অবস্থা কতটা খারাপ হলে একসময়ের শক্তিশালী এ ফুটবল দলকে শুরু করতে হয় পাইওনিয়ার লিগ থেকে, অনুমান করে নিতে পারেন।
প্রশ্ন : ওই সময়ে তো অনেক নামি-দামি ফুটবলার এখানে খেলেছেন।
সাঈদ : এই ক্লাবের যখন জৌলুস ছিল তখন আমার জন্মও হয়নি। তবে যেটুকু জানি, চুন্নু ভাইয়ের মতো ফুটবলার এই ক্লাবে খেলছেন। ক্লাবটা এত দুরবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে, অতীতের ফাইলপত্রগুলোও নেই। আমি এসেছি পাঁচ-ছয় মাস হয়েছে, ক্লাবের ফুটবল দলের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নটাকে বড় করার জন্য। ফুটবল আমি খুব ভালোবাসি। মোহামেডানের সঙ্গে আছি অনেক দিন ধরে, কিন্তু সেখানে অনেক বড় বড় সিনিয়র সংগঠক আছেন। তাই দিলকুশায় এসে ফুটবল দলটা নিয়ে লেগে পড়েছি। এর ফল তৃতীয় বিভাগের শিরোপা, এলাকার লোকজন কি রকম খুশি হয়েছে বলে বোঝাতে পারব না।
প্রশ্ন : সংগঠক হিসেবে এটাই বোধহয় আপনার প্রথম বড় সাফল্য।
সাঈদ : সংগঠক হিসেবে এটা আমার পরীক্ষা ছিল। ফুটবলাররা মাঠে ভালো খেলেছে, তাই সাফল্য এসেছে। আমার পরীক্ষাটা এ রকম, ভালো খেলার জন্য ফুটবলারদের সব চাহিদা আমি পূরণ করতে পারি কি না। একজন খেলোয়াড়ের যা যা লাগে সব দিয়েছি। খাবার-দাবার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি জাতীয় দলের মতো। মাঝেমধ্যে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমিও খেয়েছি ক্যাম্পে আর প্র্যাকটিসে তো নিয়মিত থাকতাম। দলের সঙ্গে ছিলেন তিন কোচ ও এক ফিজিও। দলের জন্য বাইরে একটা আধুনিক জিম তৈরি করেছি। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, পেশাদার লিগের কোনো দলের এই মানের একটা জিম নেই।
প্রশ্ন : ফুটবল ফেডারেশনও একটা আধুনিক জিম তৈরি করতে পারেনি। জাতীয় দলের কোচ এখন প্রায়ই বলছেন জিমের অভাবের কথা। জাতীয় দলকে কী আপনাদের জিম ব্যবহার করতে দেবেন?
সাঈদ : তাদের স্বাগত জানাই আমি। আমাকে দিয়ে ফুটবলের কিছুমাত্র উন্নতি হলেও নিজের পরিশ্রম সার্থক মনে করব। ক্রীড়াঙ্গনে এখন নিঃস্বার্থ সংগঠকের অভাব, অনেকেই আসেন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্য নিয়েই। তৃতীয় বিভাগের এই দল চালাতে গিয়ে নিজের ক্লাব থেকেও তো আমি সে রকম সাহায্য পাইনি। এই ক্রীড়াঙ্গন থেকে আমার নেওয়ার কিছু নেই, শখের বশে এসেছি, নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করছি। আমার স্বপ্ন একটা ফুটবল একাডেমী গড়ার।
প্রশ্ন : দিলকুশা ফুটবল দলের ভবিষ্যৎ কী?
সাঈদ : এই দলকে পেশাদার লিগে তুলে নিতে চাই। যদিও আমাদের পেশাদার লিগ নিয়ে আমার অনেক প্রশ্ন আছে, এর পরও এ লক্ষ্যে খেলবে দিলকুশা। ফিরিয়ে আনতে হবে ক্লাবের পুরনো ঐতিহ্য।
প্রশ্ন : ওই সময়ে তো অনেক নামি-দামি ফুটবলার এখানে খেলেছেন।
সাঈদ : এই ক্লাবের যখন জৌলুস ছিল তখন আমার জন্মও হয়নি। তবে যেটুকু জানি, চুন্নু ভাইয়ের মতো ফুটবলার এই ক্লাবে খেলছেন। ক্লাবটা এত দুরবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে, অতীতের ফাইলপত্রগুলোও নেই। আমি এসেছি পাঁচ-ছয় মাস হয়েছে, ক্লাবের ফুটবল দলের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নটাকে বড় করার জন্য। ফুটবল আমি খুব ভালোবাসি। মোহামেডানের সঙ্গে আছি অনেক দিন ধরে, কিন্তু সেখানে অনেক বড় বড় সিনিয়র সংগঠক আছেন। তাই দিলকুশায় এসে ফুটবল দলটা নিয়ে লেগে পড়েছি। এর ফল তৃতীয় বিভাগের শিরোপা, এলাকার লোকজন কি রকম খুশি হয়েছে বলে বোঝাতে পারব না।
প্রশ্ন : সংগঠক হিসেবে এটাই বোধহয় আপনার প্রথম বড় সাফল্য।
সাঈদ : সংগঠক হিসেবে এটা আমার পরীক্ষা ছিল। ফুটবলাররা মাঠে ভালো খেলেছে, তাই সাফল্য এসেছে। আমার পরীক্ষাটা এ রকম, ভালো খেলার জন্য ফুটবলারদের সব চাহিদা আমি পূরণ করতে পারি কি না। একজন খেলোয়াড়ের যা যা লাগে সব দিয়েছি। খাবার-দাবার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি জাতীয় দলের মতো। মাঝেমধ্যে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমিও খেয়েছি ক্যাম্পে আর প্র্যাকটিসে তো নিয়মিত থাকতাম। দলের সঙ্গে ছিলেন তিন কোচ ও এক ফিজিও। দলের জন্য বাইরে একটা আধুনিক জিম তৈরি করেছি। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, পেশাদার লিগের কোনো দলের এই মানের একটা জিম নেই।
প্রশ্ন : ফুটবল ফেডারেশনও একটা আধুনিক জিম তৈরি করতে পারেনি। জাতীয় দলের কোচ এখন প্রায়ই বলছেন জিমের অভাবের কথা। জাতীয় দলকে কী আপনাদের জিম ব্যবহার করতে দেবেন?
সাঈদ : তাদের স্বাগত জানাই আমি। আমাকে দিয়ে ফুটবলের কিছুমাত্র উন্নতি হলেও নিজের পরিশ্রম সার্থক মনে করব। ক্রীড়াঙ্গনে এখন নিঃস্বার্থ সংগঠকের অভাব, অনেকেই আসেন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্য নিয়েই। তৃতীয় বিভাগের এই দল চালাতে গিয়ে নিজের ক্লাব থেকেও তো আমি সে রকম সাহায্য পাইনি। এই ক্রীড়াঙ্গন থেকে আমার নেওয়ার কিছু নেই, শখের বশে এসেছি, নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করছি। আমার স্বপ্ন একটা ফুটবল একাডেমী গড়ার।
প্রশ্ন : দিলকুশা ফুটবল দলের ভবিষ্যৎ কী?
সাঈদ : এই দলকে পেশাদার লিগে তুলে নিতে চাই। যদিও আমাদের পেশাদার লিগ নিয়ে আমার অনেক প্রশ্ন আছে, এর পরও এ লক্ষ্যে খেলবে দিলকুশা। ফিরিয়ে আনতে হবে ক্লাবের পুরনো ঐতিহ্য।
No comments