রেকর্ডময় ম্যাচ, এক হ্যাটট্রিকেই মেসিময়
কারো বলে দিতে হবে না। ভিক্তোরিয়া প্লজেনের বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচটা যাঁরা দেখতে পারেননি তাঁরা পরে যদি টেলিভিশনের খবর, পত্রিকার ম্যাচ রিপোর্ট কিংবা ইউটিউবে হাইলাইটস দেখে থাকেন, তাহলেই বুঝে গেছেন সিনোপ তিপ অ্যারেনায় রাতটা ছিল লিওনেল মেসির। বার্সেলোনার হয়ে তাঁর ২০০তম গোল করার উপলক্ষটা অন্য কারো হয় কী করে? শুধু মেসি বলেই তাঁর কীর্তির আড়ালে থেকে যেতে হচ্ছে বার্সা কোচ হিসেবে পেপ গার্দিওলার ২০০তম ম্যাচের মাইলফলক সপর্শ করাটা। আরেক সতীর্থ ভিক্টর ভালদেসের টানা গোল না খেয়ে থাকার রেকর্ডটাও তো!
হ্যাঁ, শিষ্যের মতো এদিন 'ডাবল সেঞ্চুরি' করেছেন গুরু গার্দিওলাও।
হ্যাঁ, শিষ্যের মতো এদিন 'ডাবল সেঞ্চুরি' করেছেন গুরু গার্দিওলাও।
দিন তারিখের হিসাবে এখনও পুরো চার বছর হয়নি। অথচ এরই মধ্যে তাঁর অধীনে ২০০টি ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে বার্সেলোনার। পরিসংখ্যানে বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কোচ তিনি আগেই হয়ে গিয়েছিলেন। পরশু ২০০তম ম্যাচটাতেও কাতালানদের জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার পর সব মিলিয়ে যা হিসাব-নিকাশ, তা ফুটবল ইতিহাসের যেকোনো কোচের জন্যই ঈর্ষণীয়। এই ২০০টি ম্যাচের মধ্যে গার্দিওলা জিতেছেন ১৪৪টি ম্যাচ, সাফল্যের হার শতকরা ৭২ ভাগেরও বেশি! এ সময়টায় প্রতিপক্ষের জালে অর্ধ সহস্রেরও বেশি গোল দিয়েছেন তাঁর শিষ্যরা, সম্ভাব্য ১৫টি ট্রফির মধ্যে জিতেছেন ১২টি! শুধু এই চার বছরের পরিসংখ্যান দেখেই যদি কেউ তাঁকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা কোচ বলে দেন সেটাও কি খুব দোষের কিছু হবে?
গুরুর মতো এতটা না হলেও কম নয় বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেসের অর্জনটাও। পরশু ভিক্তোরিয়া প্লজেনকে গোলশূন্য রাখার পর এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ৮৭৭ মিনিট হলো কোনো গোল হজম করেননি ভালদেস। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে টানা ৮২৪ মিনিট গোল না খেয়ে থেকে বার্সার হয়ে আগের রেকর্ডটা গড়েছিলেন সাবেক গোলরক্ষক মিগুয়েল রেইনা। পরশু ভালদেস ভেঙে দিয়েছেন সেটা।
তবে এসব কিছু নয়, পরশু রাতের সবচেয়ে বড় অর্জন আসলে মেসির গোলের ডাবল সেঞ্চুরিটাই। ২৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ২০০তম গোলটা করার পর ৪৫ ও ৯০ মিনিটে আরো দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন সময়ের সেরা এই ফুটবলার। আর মাত্র ৩৪ গোল হলেই তিনি ভেঙে দেবেন বার্সেলোনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা সিজার রদ্রিগেজের ২৩৫ গোলের রেকর্ডটাও। যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে সেই অর্জনটাও এই মৌসুমে হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও আর্জেন্টাইন এই তারকা জানিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য রেকর্ড নয় বরং দলের জয়, 'সিজারকে পেরিয়ে যাওয়াটা আমার লক্ষ্য নয়। আমি চাই যত বেশি সম্ভব দলের জয়ে অবদান রাখতে।'
শুধু সিজার রদ্রিগেজকে পেরিয়ে যাওয়া নয়, মৌসুম শেষ হওয়ার আগে তাঁর অর্জনের মুকুটে যোগ হতে পারে আরো একটি পালক। আগের দুই বছর ব্যালন ডি অঁর জেতা মেসি এবারও আছেন মনোনীতদের তালিকায়। অনেকেরই ধারণা এবারও বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাবটা এ বার্সেলোনা তারকার কাছেই যাবে। যদি তাই হয় তাহলে মিশেল প্লাতিনির পর তিনি হবেন টানা তিনবার ব্যালন ডি অঁর জেতা ইতিহাসের দ্বিতীয় ফুটবলার। সেই সম্মানটা পেলে অবশ্য মন্দ হবে না বলে বিশ্বাস মেসিরও, 'আমি জানি এটা কতটা গর্বের। টানা তৃতীয়বারের মতো এটি জেতা আর প্লাতিনির সমপর্যায়ে যাওয়াটা তো হবে দারুণ আনন্দের! আমি আরো অনেক দিন খেলব, তাই হয়তো একসময় প্লাতিনিকে পেরিয়েও যেতে পারব।' গোল ডটকম, এপি
* ২০০টি ম্যাচের মধ্যে গার্দিওলা জিতেছেন ১৪৪টি, সাফল্যের হার শতকরা ৭২ ভাগেরও বেশি! এই সময়টায় প্রতিপক্ষের জালে পাঁচশরও বেশি গোল দিয়েছেন তাঁর শিষ্যরা, সম্ভাব্য ১৫টি ট্রফির মধ্যে জিতেছেন ১২টি!
* আর মাত্র ৩৪ গোল হলেই লিওনেল মেসি ভেঙে দেবেন বার্সেলোনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা সিজার রদ্রিগেজের ২৩৫ গোলের রেকর্ড।
* ৮৭৭ মিনিটে কোনো গোল হজম করেননি ভিক্টর ভালদেস। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে টানা ৮২৪ মিনিট গোল না খেয়ে বার্সার হয়ে আগের রেকর্ডটা গড়েছিলেন সাবেক গোলরক্ষক মিগুয়েল রেইনা।
গুরুর মতো এতটা না হলেও কম নয় বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেসের অর্জনটাও। পরশু ভিক্তোরিয়া প্লজেনকে গোলশূন্য রাখার পর এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ৮৭৭ মিনিট হলো কোনো গোল হজম করেননি ভালদেস। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে টানা ৮২৪ মিনিট গোল না খেয়ে থেকে বার্সার হয়ে আগের রেকর্ডটা গড়েছিলেন সাবেক গোলরক্ষক মিগুয়েল রেইনা। পরশু ভালদেস ভেঙে দিয়েছেন সেটা।
তবে এসব কিছু নয়, পরশু রাতের সবচেয়ে বড় অর্জন আসলে মেসির গোলের ডাবল সেঞ্চুরিটাই। ২৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ২০০তম গোলটা করার পর ৪৫ ও ৯০ মিনিটে আরো দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন সময়ের সেরা এই ফুটবলার। আর মাত্র ৩৪ গোল হলেই তিনি ভেঙে দেবেন বার্সেলোনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা সিজার রদ্রিগেজের ২৩৫ গোলের রেকর্ডটাও। যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে সেই অর্জনটাও এই মৌসুমে হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও আর্জেন্টাইন এই তারকা জানিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য রেকর্ড নয় বরং দলের জয়, 'সিজারকে পেরিয়ে যাওয়াটা আমার লক্ষ্য নয়। আমি চাই যত বেশি সম্ভব দলের জয়ে অবদান রাখতে।'
শুধু সিজার রদ্রিগেজকে পেরিয়ে যাওয়া নয়, মৌসুম শেষ হওয়ার আগে তাঁর অর্জনের মুকুটে যোগ হতে পারে আরো একটি পালক। আগের দুই বছর ব্যালন ডি অঁর জেতা মেসি এবারও আছেন মনোনীতদের তালিকায়। অনেকেরই ধারণা এবারও বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাবটা এ বার্সেলোনা তারকার কাছেই যাবে। যদি তাই হয় তাহলে মিশেল প্লাতিনির পর তিনি হবেন টানা তিনবার ব্যালন ডি অঁর জেতা ইতিহাসের দ্বিতীয় ফুটবলার। সেই সম্মানটা পেলে অবশ্য মন্দ হবে না বলে বিশ্বাস মেসিরও, 'আমি জানি এটা কতটা গর্বের। টানা তৃতীয়বারের মতো এটি জেতা আর প্লাতিনির সমপর্যায়ে যাওয়াটা তো হবে দারুণ আনন্দের! আমি আরো অনেক দিন খেলব, তাই হয়তো একসময় প্লাতিনিকে পেরিয়েও যেতে পারব।' গোল ডটকম, এপি
* ২০০টি ম্যাচের মধ্যে গার্দিওলা জিতেছেন ১৪৪টি, সাফল্যের হার শতকরা ৭২ ভাগেরও বেশি! এই সময়টায় প্রতিপক্ষের জালে পাঁচশরও বেশি গোল দিয়েছেন তাঁর শিষ্যরা, সম্ভাব্য ১৫টি ট্রফির মধ্যে জিতেছেন ১২টি!
* আর মাত্র ৩৪ গোল হলেই লিওনেল মেসি ভেঙে দেবেন বার্সেলোনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা সিজার রদ্রিগেজের ২৩৫ গোলের রেকর্ড।
* ৮৭৭ মিনিটে কোনো গোল হজম করেননি ভিক্টর ভালদেস। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে টানা ৮২৪ মিনিট গোল না খেয়ে বার্সার হয়ে আগের রেকর্ডটা গড়েছিলেন সাবেক গোলরক্ষক মিগুয়েল রেইনা।
No comments