আইনের জালে বন্দি 'দৃষ্টি'-বাধাগ্রস্ত কর্নিয়া প্রতিস্থাপন কার্যক্রম, প্রতিবন্ধক ১৯৯৯ সালের আইন by তৌফিক মারুফ
দেশের হাজার হাজার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের চোখের আলো ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব; সে সামর্থ্য ও অবকাঠামো রয়েছে। কিন্তু কাজটি সম্ভব হচ্ছে না আইনের জটিলতার কারণে। যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আইনি জটিলতায় চোখের কর্নিয়া সংকট কাটানো যাচ্ছে না। চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এ সংকট কাটাতে ১৯৯৯ সালের ৫ নম্বর আইনের (মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন বিধি) সংশোধন অথবা ১৯৭৫-এর বিধির পুনর্বহাল চান।খ্যাতিমান চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, একজন মৃত মানুষের চোখের কর্নিয়া একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর চোখের আলো ফিরিয়ে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হলে এর চেয়ে মহৎ কাজ আর হতে পারে না।
এ জন্য যেমন জনসচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি প্রচলিত আইনের সংশোধনও প্রয়োজন। বিশেষ করে ১৯৯৯ সালের ৫ নম্বর আইন সংশোধন বা ১৯৭৫ সালের চক্ষুদান অধ্যাদেশ পুনর্বহাল করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে।
সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, কর্নিয়া সংগ্রহের জন্য আগে পুরো চোখ তুলে ফেলতে হতো, এখন কেবল কর্নিয়াটুকু তুলে সযত্নে সেলাই করে দিলেই হয়ে যায়। এতে মৃতদেহের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষু বিভাগের অধ্যাপক ও মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএমএ)-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক
মো. সারফুদ্দিন আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মানুষের জন্যই আইন হয়। কিন্তু আইনের জটিলতায় যদি মানুষের উপকার না হয়ে উল্টো অপকার হয়, তাহলে সেই আইন না থাকাই ভালো। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাই, ১৯৯৯ সালের আইন সংশোধন অথবা ১৯৭৫ সালের আইনটি পুনর্বহাল করা হোক। একই সঙ্গে কোনো আইনি জটিলতা ছাড়াই যাতে বেওয়ারিশ কিংবা স্বেচ্ছায় চক্ষুদাতা ব্যক্তির মৃত্যুর পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে তার কর্নিয়া সংগ্রহ করা যায়, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।'
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৯৯ সালের ৫ নম্বর আইনের সংশোধন প্রয়োজন। কারণ ওই আইনের ধারা ৪-এ 'ব্রেইন ডেথ' ঘোষণার পর দাতার মৃতদেহ থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহের কথা বলা আছে। এ বিধান কর্নিয়া সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। কারণ স্বাভাবিক মৃত্যু বা বায়োলজিক্যাল ডেথের পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে চোখ বা কর্নিয়া সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়। অথচ ১৯৯৯ সালের আইন অনুযায়ী মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি কেউ মৃতদেহ দাবি না করে, তাহলে কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি নিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করতে হবে।
ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, 'বিধি অনুসারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাউকে বেওয়ারিশ ঘোষণা করা যাচ্ছে না। অথচ আমাদের দেশে বেওয়ারিশ মৃতদেহ থেকেই সবচেয়ে বেশি চোখ/কর্নিয়া সংগ্রহ করার সুযোগ রয়েছে।'
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ১৯৯৯ সালের আইন অনুযায়ী মরণোত্তর চক্ষুদাতার ক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টা এবং বেওয়ারিশ মৃতদেহের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা পর মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ব্রেইন ডেথ ঘোষণা সাপেক্ষে চোখ/কর্নিয়া সংগ্রহ করে সংযোজন করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাসপাতালে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুর পর (বোর্ড গঠনের প্রয়োজন নেই, যেকোনো মেডিক্যাল অফিসার ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারেন) এবং বাড়িতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট উত্তরাধিকারের অনুমতি সাপেক্ষে চোখ/কর্নিয়া সংগ্রহের বিধান করা যেতে পারে। সংগ্রহের কাজটি অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে হবে।
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি ও সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংক (বাংলাদেশ) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি। তাদের মধ্যে কর্নিয়াজনিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৬ হাজার। আবার তাদের মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার জনের দুই চোখই দৃষ্টিশক্তি রহিত এবং তিন লাখ ৬৬ হাজারজনের এক চোখ দৃষ্টিশক্তি রহিত। অথচ দেশে প্রতিবছর কর্নিয়া সংগ্রহ হয় মাত্র ১০০-১৫০টি। বিদ্যমান আইনের কারণে এ দেশে কর্নিয়া সংগ্রহ অপর্যাপ্ত থেকে যাচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যেই আজ বুধবার 'জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস' পালিত হবে। ১৯৯৫ সাল থেকে সরকারিভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
একই সূত্র জানায়, দেশের একমাত্র মানবচক্ষু সরবরাহ প্রতিষ্ঠান সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সার্জনের পাঠানো ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়। মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ব্যক্তি এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিস্থাপনের জন্য সরবরাহ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মরণোত্তর চক্ষুদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৯৫ জনে; কর্নিয়া সংগ্রহ হয়েছে তিন হাজার ৬৫২টি। তবে অঙ্গীকারবদ্ধ দাতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত হয়েছে মাত্র ৯২টি। আর কর্নিয়া প্রতিস্থাপন হয়েছে তিন হাজার ২০২টি।
সূত্র আরো জানায়, দেশে প্রতিবছর মোট রক্তের চাহিদা সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ ব্যাগ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রক্ত স্বেচ্ছায় দাতাদের মাধ্যমে এবং ৪০ শতাংশ পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই স্বেচ্ছায় রক্তদানে ও মরণোত্তর চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। পরে কর্নিয়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের মতো টেকনিক্যাল কাজ শুরু করে। মরণোত্তর চক্ষুদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা শুধু মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্রছাত্রী দিয়ে সম্ভব নয় বিধায় চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত সিনিয়র চিকিৎসক এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ১৯৮৪ সালের ২৫ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি। ১৯৮৭ সাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (বহির্বিভাগ) কাজ শুরু হয়। বর্তমানে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজসহ ৯টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯টি এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (বহির্বিভাগ) কেন্দ্রীয় অফিসসহ মোট ১০টি চক্ষু ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।
সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, কর্নিয়া সংগ্রহের জন্য আগে পুরো চোখ তুলে ফেলতে হতো, এখন কেবল কর্নিয়াটুকু তুলে সযত্নে সেলাই করে দিলেই হয়ে যায়। এতে মৃতদেহের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষু বিভাগের অধ্যাপক ও মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএমএ)-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক
মো. সারফুদ্দিন আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মানুষের জন্যই আইন হয়। কিন্তু আইনের জটিলতায় যদি মানুষের উপকার না হয়ে উল্টো অপকার হয়, তাহলে সেই আইন না থাকাই ভালো। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাই, ১৯৯৯ সালের আইন সংশোধন অথবা ১৯৭৫ সালের আইনটি পুনর্বহাল করা হোক। একই সঙ্গে কোনো আইনি জটিলতা ছাড়াই যাতে বেওয়ারিশ কিংবা স্বেচ্ছায় চক্ষুদাতা ব্যক্তির মৃত্যুর পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে তার কর্নিয়া সংগ্রহ করা যায়, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।'
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৯৯ সালের ৫ নম্বর আইনের সংশোধন প্রয়োজন। কারণ ওই আইনের ধারা ৪-এ 'ব্রেইন ডেথ' ঘোষণার পর দাতার মৃতদেহ থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহের কথা বলা আছে। এ বিধান কর্নিয়া সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। কারণ স্বাভাবিক মৃত্যু বা বায়োলজিক্যাল ডেথের পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে চোখ বা কর্নিয়া সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়। অথচ ১৯৯৯ সালের আইন অনুযায়ী মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি কেউ মৃতদেহ দাবি না করে, তাহলে কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি নিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করতে হবে।
ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, 'বিধি অনুসারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাউকে বেওয়ারিশ ঘোষণা করা যাচ্ছে না। অথচ আমাদের দেশে বেওয়ারিশ মৃতদেহ থেকেই সবচেয়ে বেশি চোখ/কর্নিয়া সংগ্রহ করার সুযোগ রয়েছে।'
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ১৯৯৯ সালের আইন অনুযায়ী মরণোত্তর চক্ষুদাতার ক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টা এবং বেওয়ারিশ মৃতদেহের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা পর মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ব্রেইন ডেথ ঘোষণা সাপেক্ষে চোখ/কর্নিয়া সংগ্রহ করে সংযোজন করলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাসপাতালে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুর পর (বোর্ড গঠনের প্রয়োজন নেই, যেকোনো মেডিক্যাল অফিসার ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারেন) এবং বাড়িতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট উত্তরাধিকারের অনুমতি সাপেক্ষে চোখ/কর্নিয়া সংগ্রহের বিধান করা যেতে পারে। সংগ্রহের কাজটি অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে হবে।
সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি ও সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংক (বাংলাদেশ) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি। তাদের মধ্যে কর্নিয়াজনিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৬ হাজার। আবার তাদের মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার জনের দুই চোখই দৃষ্টিশক্তি রহিত এবং তিন লাখ ৬৬ হাজারজনের এক চোখ দৃষ্টিশক্তি রহিত। অথচ দেশে প্রতিবছর কর্নিয়া সংগ্রহ হয় মাত্র ১০০-১৫০টি। বিদ্যমান আইনের কারণে এ দেশে কর্নিয়া সংগ্রহ অপর্যাপ্ত থেকে যাচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যেই আজ বুধবার 'জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস' পালিত হবে। ১৯৯৫ সাল থেকে সরকারিভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
একই সূত্র জানায়, দেশের একমাত্র মানবচক্ষু সরবরাহ প্রতিষ্ঠান সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সার্জনের পাঠানো ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়। মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ব্যক্তি এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিস্থাপনের জন্য সরবরাহ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মরণোত্তর চক্ষুদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৯৫ জনে; কর্নিয়া সংগ্রহ হয়েছে তিন হাজার ৬৫২টি। তবে অঙ্গীকারবদ্ধ দাতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত হয়েছে মাত্র ৯২টি। আর কর্নিয়া প্রতিস্থাপন হয়েছে তিন হাজার ২০২টি।
সূত্র আরো জানায়, দেশে প্রতিবছর মোট রক্তের চাহিদা সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ ব্যাগ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রক্ত স্বেচ্ছায় দাতাদের মাধ্যমে এবং ৪০ শতাংশ পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই স্বেচ্ছায় রক্তদানে ও মরণোত্তর চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। পরে কর্নিয়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের মতো টেকনিক্যাল কাজ শুরু করে। মরণোত্তর চক্ষুদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা শুধু মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্রছাত্রী দিয়ে সম্ভব নয় বিধায় চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত সিনিয়র চিকিৎসক এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ১৯৮৪ সালের ২৫ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি। ১৯৮৭ সাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (বহির্বিভাগ) কাজ শুরু হয়। বর্তমানে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজসহ ৯টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯টি এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (বহির্বিভাগ) কেন্দ্রীয় অফিসসহ মোট ১০টি চক্ষু ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।
No comments