বীজ পাচ্ছেন না কিশোরগঞ্জের কৃষক-বিএডিসি কর্মকর্তা বরখাস্ত by নাসরুল আনোয়ার ও শফিক আদনান,
কিশোরগঞ্জে বিএডিসির বোরো বীজ বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জেলা বীজ বিতরণ বিভাগের উপপরিচালক আনন্দ চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিএডিসি বীজ বিপণন, ঢাকা সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ফ্যাক্সবার্তায় কিশোরগঞ্জে পেঁৗছায়।
কৃষি বিভাগ জানায়, বীজ উৎপাদন বিভাগের উপপরিচালক সুলতানুল আলমকে বিতরণ বিভাগের উপপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিএডিসির ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম পরিচালক আবু তালেব গতকালই কিশোরগঞ্জে এসে বীজ বিতরণের চিত্র তদারক করে গেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালককে দায়িত্বে বসিয়ে দিয়ে গেছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, বীজ উৎপাদন বিভাগের উপপরিচালক সুলতানুল আলমকে বিতরণ বিভাগের উপপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিএডিসির ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম পরিচালক আবু তালেব গতকালই কিশোরগঞ্জে এসে বীজ বিতরণের চিত্র তদারক করে গেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালককে দায়িত্বে বসিয়ে দিয়ে গেছেন।
আনন্দ চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করায় ডিলারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ডিলাররা বলেছেন, এখন হয়তো আর ঘুষ-দুর্নীতি হবে না। চাহিদামতো বীজ পাওয়া যাবে। বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক আবু তালেব জানান, আনন্দ চন্দ্র দাসকে বীজ বিতরণে অব্যবস্থাপনার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তদন্ত হবে বলে তিনি জানান। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান বরখাস্তের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বীজ বিতরণে অনিয়মসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি বিভাগ উপপরিচালককে বরখাস্ত করেছে। বরখাস্তের অনুলিপি তাঁর কাছে পেঁৗছেছে।
বীজ বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি ২০১১-১২ বোরো মৌসুমে কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় বিআর-১৪, বিআর-১৬, বিআর-২৮, বিআর-২৯, বিআর-৪৭, বিনা-৫, বিপ্লবসহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের প্রায় আট হাজার মেট্রিক টন বীজের চাহিদা রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত চার হাজার মেট্রিক টন বীজ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ফিলিপাইন থেকে আমদানীকৃত হাইব্রিড এসএল-৮এইচ জাতের বীজ এসেছে ৫০ মেট্রিক টন। অভিযোগ রয়েছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলার ডিলাররা মোটা অঙ্কের টাকা জমা দিয়ে দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও বীজ পাচ্ছেন না। অথচ গোপন লেনদেন করে কোনো কোনো ডিলার আগেভাগেই বীজ নিয়ে যাচ্ছেন।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে হাওরের কয়েকজন ডিলার জানান, প্রতি মেট্রিক টন বীজে দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ দিতে হয়। এ ছাড়া বিএডিসির বীজ গুদামের গেটেও ক্ষমতাসীন দলের একটি চক্র প্রতি মেট্রিক টন বীজের জন্য ৫০০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে থাকে। বীজ বিতরণ মৌসুম শুরুর পর থেকেই এ অরাজকতা চলছে।
বঞ্চিত ডিলাররা আরো অভিযোগ করেন, জাত অনুযায়ী বীজ বিতরণেও অনিয়ম করা হচ্ছে। বাজিতপুর উপজেলার সরারচর বাজারের ডিলার মনিরুল হক সোহেল জানান, তিনি গত ১৬ অক্টোবর পাঁচ মেট্রিক টন বীজের জন্য এক লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা জমা দিয়ে মেমো কাটেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তিনি চাহিদা অনুযায়ী বীজ পাননি। কৃষকদের চাহিদা মূলত বিআর-২৯। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিআর-২৮ দিতে চেয়েছিল। তাঁর এলাকায় এ বীজের তেমন চাহিদা নেই। তিনি বলেন, তিনি এখন টাকা ফেরত চাইছেন। তিনি আর বীজের ব্যবসা করবেন না। বাজিতপুর হিলচিয়া এলাকার ডিলার কাজী রায়হানও একই অভিযোগ করে জানান, বিআর-২৮-এর চাহিদা না থাকলেও তা নিতে হবে বলে বলা হয়। আবার নির্দিষ্ট সময়ে বীজ না নিলে নিবন্ধন (লাইসেন্স) বাতিল হয়ে যাবে। একই এলাকার বীজ ডিলার হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ১৯ দিন আগে দুই লাখ ৮৪ হাজার টাকা জমা দেন। গতকাল বিআর-২৯ বীজের পরিবর্তে বিআর-২৮ বীজ সরবরাহ করা হয়। করিমগঞ্জের ডিলার আবদুল হেলিম এবং নাজিম উদ্দিনও এক লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা করে টাকা জমা দিয়ে বীজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। ডিলাররা জানান, জেলার হাওরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ কৃষি এলাকায় প্রচুর বীজের চাহিদা থাকলেও জেলা সদরের ডিলারদের বেশি বীজ দেওয়া হয়েছে। বীজ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় একটি চক্র সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
বরখাস্ত হওয়া উপপরিচালক আনন্দ চন্দ্র দাস অভিযোগ সম্পর্কে দুদিন আগে বলেছিলেন, ডিলারদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। সময়মতো ডিলারদের বীজ সরবরাহ না করার কারণ সম্পর্কে বলেছিলেন, ট্রাক ধর্মঘটের কারণে সময়মতো বীজ দেওয়া যাচ্ছে না। গতকাল তাঁর (আনন্দ চন্দ্র দাস) মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বরখাস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বীজ বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি ২০১১-১২ বোরো মৌসুমে কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় বিআর-১৪, বিআর-১৬, বিআর-২৮, বিআর-২৯, বিআর-৪৭, বিনা-৫, বিপ্লবসহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের প্রায় আট হাজার মেট্রিক টন বীজের চাহিদা রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত চার হাজার মেট্রিক টন বীজ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ফিলিপাইন থেকে আমদানীকৃত হাইব্রিড এসএল-৮এইচ জাতের বীজ এসেছে ৫০ মেট্রিক টন। অভিযোগ রয়েছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলার ডিলাররা মোটা অঙ্কের টাকা জমা দিয়ে দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও বীজ পাচ্ছেন না। অথচ গোপন লেনদেন করে কোনো কোনো ডিলার আগেভাগেই বীজ নিয়ে যাচ্ছেন।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে হাওরের কয়েকজন ডিলার জানান, প্রতি মেট্রিক টন বীজে দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ দিতে হয়। এ ছাড়া বিএডিসির বীজ গুদামের গেটেও ক্ষমতাসীন দলের একটি চক্র প্রতি মেট্রিক টন বীজের জন্য ৫০০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে থাকে। বীজ বিতরণ মৌসুম শুরুর পর থেকেই এ অরাজকতা চলছে।
বঞ্চিত ডিলাররা আরো অভিযোগ করেন, জাত অনুযায়ী বীজ বিতরণেও অনিয়ম করা হচ্ছে। বাজিতপুর উপজেলার সরারচর বাজারের ডিলার মনিরুল হক সোহেল জানান, তিনি গত ১৬ অক্টোবর পাঁচ মেট্রিক টন বীজের জন্য এক লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা জমা দিয়ে মেমো কাটেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তিনি চাহিদা অনুযায়ী বীজ পাননি। কৃষকদের চাহিদা মূলত বিআর-২৯। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিআর-২৮ দিতে চেয়েছিল। তাঁর এলাকায় এ বীজের তেমন চাহিদা নেই। তিনি বলেন, তিনি এখন টাকা ফেরত চাইছেন। তিনি আর বীজের ব্যবসা করবেন না। বাজিতপুর হিলচিয়া এলাকার ডিলার কাজী রায়হানও একই অভিযোগ করে জানান, বিআর-২৮-এর চাহিদা না থাকলেও তা নিতে হবে বলে বলা হয়। আবার নির্দিষ্ট সময়ে বীজ না নিলে নিবন্ধন (লাইসেন্স) বাতিল হয়ে যাবে। একই এলাকার বীজ ডিলার হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ১৯ দিন আগে দুই লাখ ৮৪ হাজার টাকা জমা দেন। গতকাল বিআর-২৯ বীজের পরিবর্তে বিআর-২৮ বীজ সরবরাহ করা হয়। করিমগঞ্জের ডিলার আবদুল হেলিম এবং নাজিম উদ্দিনও এক লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা করে টাকা জমা দিয়ে বীজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। ডিলাররা জানান, জেলার হাওরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ কৃষি এলাকায় প্রচুর বীজের চাহিদা থাকলেও জেলা সদরের ডিলারদের বেশি বীজ দেওয়া হয়েছে। বীজ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় একটি চক্র সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
বরখাস্ত হওয়া উপপরিচালক আনন্দ চন্দ্র দাস অভিযোগ সম্পর্কে দুদিন আগে বলেছিলেন, ডিলারদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। সময়মতো ডিলারদের বীজ সরবরাহ না করার কারণ সম্পর্কে বলেছিলেন, ট্রাক ধর্মঘটের কারণে সময়মতো বীজ দেওয়া যাচ্ছে না। গতকাল তাঁর (আনন্দ চন্দ্র দাস) মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বরখাস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
No comments