ক্ষুদ্রঋণ অতি দরিদ্রদের কোনো কাজে আসছে না : অর্থমন্ত্রী
ক্ষুদ্রঋণ অতি দরিদ্রদের কোনো কাজে আসে না। দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ একটি অস্ত্র হলেও যারা ক্ষুদ্রঋণ নেয়, তারা দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠতে পারছে না। দারিদ্র্য বিমোচনে আমাদের মানব উন্নয়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে।গতকাল বুধবার 'বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ : চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা' শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ২১ বছরপূর্তি উপলক্ষে সংস্থটির সম্মেলন কেন্দ্রে এই সেমিনারের অয়োজন করা হয়।
সেমিনারে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৫৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান থাকলেও তা থেকে যে আয় হয়, তা সদস্যরা পাননি। ২৫ বছর আগে সরকার যে ঋণ সরবরাহ করত, তার মাত্র ৪ শতাংশ ছিল ক্ষুদ্রঋণ। বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণের পরিমাণ ২২ হাজার কোটি টাকার ওপরে, যা কৃষিঋণের দ্বিগুণ। ক্ষুদ্রঋণ আমাদের অর্থনৈতিক জীবনে বিরাট ভূমিকা পালন করছে।
বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য এলেও তার কিছু সমস্যাও আছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই অর্থপ্রবাহ ও উৎপাদন বাড়বে। যারা ক্ষুদ্রঋণ নেয়, তারা দারিদ্র্যের ওপরে উঠতে পারে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদেরও দোষ আছে। আমরা কেবল যারা কম দরিদ্র, তাদের ঋণের আওতায় আনছি। অতি দরিদ্রদের বাইরে রাখছি।
ক্ষুদ্রঋণের অনেক দোষ আছে। তবে আমাদের এর গুণের কথাও বলতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্রঋণের অন্যতম তিনটি গুণ হলো_এটা কিছু লোকের দারিদ্র্য বিমোচন করেছে। দুর্বল গ্রামীণ অবকাঠামো বিশেষ করে মহিলাদের শক্তিশালী করেছে আর সামাজিক বিবর্তনে ব্যাপক সাহায্য করেছে।
কর্মসংস্থান এবং মহিলাদের কাজের সুযোগ তৈরি করা হলে শিল্পের বিকাশ অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণ যারা নেয়, তাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য বীমা চালু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
সেমিনারে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা সময়ের স্মৃতিচারণা করে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সেই সময়ে সবাই আপত্তি করলেও আমি সমর্থন দিয়েছিলাম। সেই সময়ে বলেছিলাম, সরকার সবার জন্য কিছু না কিছু করে। দরিদ্রদের জন্য একটি ব্যাংক দেওয়ার প্রয়োজন আছে। আর গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণ হলো, আগে ক্ষুদ্রঋণ ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রিক। আমরা এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম।
সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের।
ড. খলীকুজ্জমান বলেন, ২০০০ সালে পিকেএসএফ ৪০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছিল। বর্তমানে বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করছে। তিনি আরো বলেন, কেবল ক্ষুদ্রঋণ নয়, সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থপ্রবাহ বাড়াতে হবে। ঋণগ্রহীতাদের উন্নয়ন যেন টেকসই, মানব মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই দিকে নজর দিতে হবে।
২১ বছরপূর্তি উপলক্ষে দুই দিনের সেমিনারের প্রথম দিনে গতকাল দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেশনে সভাপতি্ব করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান। আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ বাকি খলিলী এবং অধ্যাপক এম এম আকাশ। 'অতিদরিদ্র্য এবং কৃষির জন্য ক্ষুদ্রঋণ'বিষয়ক দ্বিতীয় সেশনের সভাপতি ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। আলোচনা করেন পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মওলা এবং মহাব্যবস্থাপক গোলাম তৌহিদ।
বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য এলেও তার কিছু সমস্যাও আছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই অর্থপ্রবাহ ও উৎপাদন বাড়বে। যারা ক্ষুদ্রঋণ নেয়, তারা দারিদ্র্যের ওপরে উঠতে পারে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদেরও দোষ আছে। আমরা কেবল যারা কম দরিদ্র, তাদের ঋণের আওতায় আনছি। অতি দরিদ্রদের বাইরে রাখছি।
ক্ষুদ্রঋণের অনেক দোষ আছে। তবে আমাদের এর গুণের কথাও বলতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্রঋণের অন্যতম তিনটি গুণ হলো_এটা কিছু লোকের দারিদ্র্য বিমোচন করেছে। দুর্বল গ্রামীণ অবকাঠামো বিশেষ করে মহিলাদের শক্তিশালী করেছে আর সামাজিক বিবর্তনে ব্যাপক সাহায্য করেছে।
কর্মসংস্থান এবং মহিলাদের কাজের সুযোগ তৈরি করা হলে শিল্পের বিকাশ অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণ যারা নেয়, তাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য বীমা চালু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
সেমিনারে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা সময়ের স্মৃতিচারণা করে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সেই সময়ে সবাই আপত্তি করলেও আমি সমর্থন দিয়েছিলাম। সেই সময়ে বলেছিলাম, সরকার সবার জন্য কিছু না কিছু করে। দরিদ্রদের জন্য একটি ব্যাংক দেওয়ার প্রয়োজন আছে। আর গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণ হলো, আগে ক্ষুদ্রঋণ ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রিক। আমরা এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম।
সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের।
ড. খলীকুজ্জমান বলেন, ২০০০ সালে পিকেএসএফ ৪০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছিল। বর্তমানে বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করছে। তিনি আরো বলেন, কেবল ক্ষুদ্রঋণ নয়, সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থপ্রবাহ বাড়াতে হবে। ঋণগ্রহীতাদের উন্নয়ন যেন টেকসই, মানব মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই দিকে নজর দিতে হবে।
২১ বছরপূর্তি উপলক্ষে দুই দিনের সেমিনারের প্রথম দিনে গতকাল দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেশনে সভাপতি্ব করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান। আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ বাকি খলিলী এবং অধ্যাপক এম এম আকাশ। 'অতিদরিদ্র্য এবং কৃষির জন্য ক্ষুদ্রঋণ'বিষয়ক দ্বিতীয় সেশনের সভাপতি ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। আলোচনা করেন পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মওলা এবং মহাব্যবস্থাপক গোলাম তৌহিদ।
No comments