রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে মন্দা-জাহাজ বড়, গাড়ি আসছে কম -গাড়ির জাহাজ আসা অর্ধেকে নেমে এসেছে by আসিফ সিদ্দিকী,
চট্টগ্রাম বন্দরের পাঁচ নম্বর জেটিতে গত রবিবার এসেছিল ১০০ মিটার দীর্ঘ গাড়ির জাহাজ এশিয়ান কারাত। দেড় হাজার গাড়ি পরিবহন ক্ষমতার এই জাহাজে জাপান থেকে গাড়ি এসেছে মাত্র ২২৮টি। এ ছাড়া বন্দরের তিন নম্বর জেটিতে ১৪৩ মিটার দীর্ঘ ওশান ব্লু নামের আরেকটি জাহাজ থেকে গাড়ি খালাস করা হয়। দুই-আড়াই হাজার গাড়ি পরিবহনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই জাহাজে গাড়ি এসেছে মাত্র ৩৬৩টি। আগে এত বড় জাহাজে দেড়-দুই হাজার গাড়ি এলেও এখন বড় জাহাজে আসছে কমসংখ্যক গাড়ি।
জাপান থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে ধস নামায় জাহাজগুলো সামান্য কিছু গাড়ি নিয়ে দেশে আসছে। এক বছর ধরে এই অবস্থা চলছে বলে জানা যায়। বড় জাহাজে খুব কম গাড়ি পরিবহন করায় জাহাজগুলোর পরিবহন খরচও উঠছে না। এতে শিপিং কম্পানিগুলো বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। তার পরও তারা এই রুটে জাহাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এশিয়ান কারাত জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনওয়াইকের জেনারেল ম্যানেজার রবি শংকর দাশ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বড় জাহাজে এত জ্বালানি তেল খরচ করে কম গাড়ি আসলেও জাহাজ ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এ ছাড়া জাপানের নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে। ফলে সেসব কার্গো কম বা বেশি হোক, সেটা আমরা বিবেচনা না করে যথাসময়ে পণ্য পরিবহনকেই বেশি গুরুত্ব দিই। এটা আমাদের গুডউইল।' রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ, শুল্কহার বৃদ্ধি করা এবং জাপানে সুনামির কারণে গত দুই বছরে গাড়ি আমদানি কমে যায়। দুই বছর আগেও প্রতি মাসে তিন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটি গাড়ির জাহাজ আসত। এক বছর থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে ধস নামায় এখন প্রতি মাসে গাড়ির জাহাজ আসছে মাত্র দুটি ।
আগে গাড়ি পরিবহনকারী বড় জাহাজ-এশিয়ান লিডার, অরেঞ্জ হরিজন, বাল্টিক লিডার, ওরিয়েন্টাল ইএলএফ, নোবলেজা, ওরিয়েন্টাল স্কাই জাহাজগুলো এখন এই রুটে চলাচল করে না। গাড়ি আসা কমে যাওয়ায় এই জাহাজগুলো এখন অন্য রুটে চলাচল করছে।
কয়েক মাসে গাড়ির জাহাজ আসা অর্ধেকে নেমে এসেছে, সেই সঙ্গে গাড়ি আসছে নামমাত্র। এশিয়ান কারাত ও ওশান ব্লু এই দুটি জাহাজে সাড়ে তিন হাজার গাড়ি ধারণক্ষমতার বিপরীতে এসেছে মাত্র ৫৮৫টি।
গাড়ি আসা কমে যাওয়ায় বিষয়টি স্বীকার করে বারভিড়ার সহসভাপতি ও চট্টগ্রামের অন্যতম গাড়ি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ফোর হুইলার্সের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বন্দরে আসা দুটি জাহাজে আমার প্রায় অর্ধশত গাড়ি রয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় গাড়ি আমদানিতে কী পরিমাণ ধস নেমেছে।'
বারভিডা জানায়, চলতি বাজেট পাস হওয়ার পর জুলাই থেকে চলতি অক্টোবর পর্যন্ত গত চার মাসে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এসেছে মাত্র দুই হাজার ৮৭৫টি। অর্থাৎ প্রতি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়ি খালাস হয়েছে গড়ে ৭০০টির মতো। অথচ এক বছর আগেও ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমাণ সাড়ে চার হাজার গাড়ি আমদানি হয়েছে। আর চলতি বছরের এপ্রিলে বন্দর দিয়ে গাড়ি খালাস হয়েছে এক হাজার ৮০টি।
গাড়ি আমদানি কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে গাড়ি পরিবহনকারী শিপিং কম্পানির। একই পরিমাণ জ্বালানি খরচ করে কম গাড়ি পরিবহন করায় শিপিং কম্পানিগুলো ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছে না। তার পরও গাড়ি পরিবহন করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে এভারেট শিপিংয়ের চট্টগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার মামুন রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কোয়ানটিটি (পরিমাণ) দিয়ে আমরা ব্যবসা করি না। কোয়ালিটিই আমাদের কাছে মুখ্য বিষয়। ফলে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দামের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ার কথা নয়।' গাড়ি ব্যবসায়ীরাও স্বীকার করেছেন, গাড়ি পরিবহনে শিপিং কম্পানিগুলো বেশি ভাড়া নিচ্ছে না। মূলত সরকারের কড়াকড়ি আরোপের কারণে গাড়ির দাম বেড়ে গেছে।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এশিয়ান কারাত জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনওয়াইকের জেনারেল ম্যানেজার রবি শংকর দাশ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বড় জাহাজে এত জ্বালানি তেল খরচ করে কম গাড়ি আসলেও জাহাজ ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এ ছাড়া জাপানের নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে। ফলে সেসব কার্গো কম বা বেশি হোক, সেটা আমরা বিবেচনা না করে যথাসময়ে পণ্য পরিবহনকেই বেশি গুরুত্ব দিই। এটা আমাদের গুডউইল।' রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ, শুল্কহার বৃদ্ধি করা এবং জাপানে সুনামির কারণে গত দুই বছরে গাড়ি আমদানি কমে যায়। দুই বছর আগেও প্রতি মাসে তিন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচটি গাড়ির জাহাজ আসত। এক বছর থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে ধস নামায় এখন প্রতি মাসে গাড়ির জাহাজ আসছে মাত্র দুটি ।
আগে গাড়ি পরিবহনকারী বড় জাহাজ-এশিয়ান লিডার, অরেঞ্জ হরিজন, বাল্টিক লিডার, ওরিয়েন্টাল ইএলএফ, নোবলেজা, ওরিয়েন্টাল স্কাই জাহাজগুলো এখন এই রুটে চলাচল করে না। গাড়ি আসা কমে যাওয়ায় এই জাহাজগুলো এখন অন্য রুটে চলাচল করছে।
কয়েক মাসে গাড়ির জাহাজ আসা অর্ধেকে নেমে এসেছে, সেই সঙ্গে গাড়ি আসছে নামমাত্র। এশিয়ান কারাত ও ওশান ব্লু এই দুটি জাহাজে সাড়ে তিন হাজার গাড়ি ধারণক্ষমতার বিপরীতে এসেছে মাত্র ৫৮৫টি।
গাড়ি আসা কমে যাওয়ায় বিষয়টি স্বীকার করে বারভিড়ার সহসভাপতি ও চট্টগ্রামের অন্যতম গাড়ি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ফোর হুইলার্সের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বন্দরে আসা দুটি জাহাজে আমার প্রায় অর্ধশত গাড়ি রয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় গাড়ি আমদানিতে কী পরিমাণ ধস নেমেছে।'
বারভিডা জানায়, চলতি বাজেট পাস হওয়ার পর জুলাই থেকে চলতি অক্টোবর পর্যন্ত গত চার মাসে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এসেছে মাত্র দুই হাজার ৮৭৫টি। অর্থাৎ প্রতি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়ি খালাস হয়েছে গড়ে ৭০০টির মতো। অথচ এক বছর আগেও ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমাণ সাড়ে চার হাজার গাড়ি আমদানি হয়েছে। আর চলতি বছরের এপ্রিলে বন্দর দিয়ে গাড়ি খালাস হয়েছে এক হাজার ৮০টি।
গাড়ি আমদানি কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে গাড়ি পরিবহনকারী শিপিং কম্পানির। একই পরিমাণ জ্বালানি খরচ করে কম গাড়ি পরিবহন করায় শিপিং কম্পানিগুলো ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছে না। তার পরও গাড়ি পরিবহন করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে এভারেট শিপিংয়ের চট্টগ্রামের জেনারেল ম্যানেজার মামুন রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কোয়ানটিটি (পরিমাণ) দিয়ে আমরা ব্যবসা করি না। কোয়ালিটিই আমাদের কাছে মুখ্য বিষয়। ফলে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দামের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ার কথা নয়।' গাড়ি ব্যবসায়ীরাও স্বীকার করেছেন, গাড়ি পরিবহনে শিপিং কম্পানিগুলো বেশি ভাড়া নিচ্ছে না। মূলত সরকারের কড়াকড়ি আরোপের কারণে গাড়ির দাম বেড়ে গেছে।
No comments