সুইডেন যেতেই হচ্ছে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে
ধর্ষণের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্য থেকে সুইডেনে প্রত্যর্পণের জন্য নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ব্রিটেনের হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার লন্ডন হাইকোর্টের বিচারক স্যার জন টমাস এবং বিচারপতি আউসলে এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ইউরোপে গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল থাকবে। পাশাপাশি তাকে এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সুইডেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি বাধা নেই। আপিল শুনানির সময় অ্যাসাঞ্জ আদালতে হাজির ছিলেন।
রায় শোনার পর তার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর এএফপি, বিবিসি অনলাইনের।
আদালত অ্যাসাঞ্জের জামিনের আগের শর্তগুলো বহাল রেখেছেন। অ্যাসাঞ্জ যদি সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করতে চান তাহলে তাকে ১৪ দিনের মধ্যে তা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের
গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে যৌন হয়রানির মামলা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ বর্তমানে লন্ডনে গৃহবন্দি রয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে এক বিচারক এ মামলার শুনানিতে বলেন, সুইডিশ দুই নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের জন্য অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে ফেরত পাঠানো উচিত। এরপর অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালের আগস্টে সুইডেনে থাকার সময় দুই নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আফগানিস্তান যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি প্রকাশের পর লন্ডনে তাকে আটক করা হয়। এরপরই তার বিরুদ্ধে সুইডেনের দুই নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। ২১ আগস্ট সুইডেনের নিম্ন আদালত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০০৬ সালে সমমনাদের নিয়ে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। তার এ কাজের লক্ষ্য ছিল বিশ্বে ক্ষমতাধর সরকারগুলোর গোপন নথি ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেওয়া।
২০০৮-এর ফেব্রুয়ারিতে সুইস ব্যাংকের গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে উইকিলিকস প্রথম বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। তখন বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য গুরুতর আইনি অভিযোগের মুখে পড়ে উইকিলিকস। এরপর থেকে উইকিলিকস আর থেমে থাকেনি। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলা (নাইন-ইলেভেন), যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ইরাক দখল ও আফগানিস্তানে ন্যাটো সেনাদের গোপন সামরিক নথি ক্রমাগত প্রকাশ করেছে। এভাবেই উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ হয়ে উঠেছেন বিশ্বজুড়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যক্তি।
মায়ের আশঙ্কা : জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেন থেকে সুইডেনে হস্তান্তরের রায়ে তার মা ক্রিস্টিন অ্যাসাঞ্জ বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করছেন, তার ছেলেকে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া এবং সেখানে তাকে নির্যাতন করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার মানুষের উচিত এ ব্যাপারে নিজ দেশের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। গতকাল অস্ট্রেলিয়ায় তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
ক্রিস্টিন অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) বলেন, তার ছেলে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেখানে তার নিরাপত্তার হুমকি ও নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এখন দেশবাসীর উচিত অ্যাসাঞ্জের পাশে দাঁড়ানো। সুযোগ এসেছে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অ্যাসাঞ্জকে রক্ষা করার, তা না হলে গণতান্ত্রিক সমাজ আছে কী জন্য? প্রকৃত সত্য প্রকাশ করার কারণেই অ্যাসাঞ্জ এখন রাষ্ট্রীয় রোষের শিকার।
আদালত অ্যাসাঞ্জের জামিনের আগের শর্তগুলো বহাল রেখেছেন। অ্যাসাঞ্জ যদি সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করতে চান তাহলে তাকে ১৪ দিনের মধ্যে তা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের
গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা ও বিভিন্ন রাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে যৌন হয়রানির মামলা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ বর্তমানে লন্ডনে গৃহবন্দি রয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে এক বিচারক এ মামলার শুনানিতে বলেন, সুইডিশ দুই নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের জন্য অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে ফেরত পাঠানো উচিত। এরপর অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালের আগস্টে সুইডেনে থাকার সময় দুই নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আফগানিস্তান যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি প্রকাশের পর লন্ডনে তাকে আটক করা হয়। এরপরই তার বিরুদ্ধে সুইডেনের দুই নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। ২১ আগস্ট সুইডেনের নিম্ন আদালত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০০৬ সালে সমমনাদের নিয়ে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। তার এ কাজের লক্ষ্য ছিল বিশ্বে ক্ষমতাধর সরকারগুলোর গোপন নথি ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেওয়া।
২০০৮-এর ফেব্রুয়ারিতে সুইস ব্যাংকের গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে উইকিলিকস প্রথম বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। তখন বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য গুরুতর আইনি অভিযোগের মুখে পড়ে উইকিলিকস। এরপর থেকে উইকিলিকস আর থেমে থাকেনি। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলা (নাইন-ইলেভেন), যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ইরাক দখল ও আফগানিস্তানে ন্যাটো সেনাদের গোপন সামরিক নথি ক্রমাগত প্রকাশ করেছে। এভাবেই উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ হয়ে উঠেছেন বিশ্বজুড়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যক্তি।
মায়ের আশঙ্কা : জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেন থেকে সুইডেনে হস্তান্তরের রায়ে তার মা ক্রিস্টিন অ্যাসাঞ্জ বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করছেন, তার ছেলেকে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া এবং সেখানে তাকে নির্যাতন করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার মানুষের উচিত এ ব্যাপারে নিজ দেশের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। গতকাল অস্ট্রেলিয়ায় তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
ক্রিস্টিন অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) বলেন, তার ছেলে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেখানে তার নিরাপত্তার হুমকি ও নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এখন দেশবাসীর উচিত অ্যাসাঞ্জের পাশে দাঁড়ানো। সুযোগ এসেছে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অ্যাসাঞ্জকে রক্ষা করার, তা না হলে গণতান্ত্রিক সমাজ আছে কী জন্য? প্রকৃত সত্য প্রকাশ করার কারণেই অ্যাসাঞ্জ এখন রাষ্ট্রীয় রোষের শিকার।
No comments