নাসিক নির্বাচন অসাংবিধানিক : তৈমূর
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়া বিএনপির জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। এ নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য। বিএনপি এ প্রশাসনের নির্বাচন মেনে নেয়নি, নেবে না। বুধবার শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে তৈমূর আলম খন্দকার এসব কথা বলেছেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা হারিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিজেই একজন মেরুম্নদণ্ডহীন মানুষ।
এ নির্বাচনে তার ভূমিকা ছিল ন্যক্কারজনক। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী না দিয়ে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। সিইসি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েও তিনি তার পদ ধরে রেখেছেন। এতে প্রমাণিত হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করে প্রমাণ করতে পারতেন, তিনি নিরপেক্ষ। কিন্তু তিনি তা করেননি। এ কারণে বিএনপি ও আমি সিইসির পদত্যাগ চাই।
সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, নাসিক নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি প্রমাণ করেছে ব্যক্তির চেয়ে দল ও দেশের স্বার্থ বড়। অনেক রাজনৈতিক নেতা ব্যক্তিস্বার্থের কথা চিন্তা করে দল ও দেশের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমি মনে করি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এ কারণে আমি নিজেকে বিসর্জন দিয়ে চেয়ারপার্সনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কারণ আমরা এরই মধ্যে প্রমাণ করেছি ইভিএম দিয়ে কারচুপি হয়।
তৈমূর আলম বলেন, তাছাড়া নির্বাচনের আগে আমার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছিল। কোনো অভিযোগই নির্বাচন কমিশন আমলে নেয়নি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারত। তৈমূর সবশেষে বলেন, আমি বিএনপিতে আছি, থাকব। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মঙ্গলবার রাতে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। গত রোববার রাতে নাসিক নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি নির্বাচন থেকে নাটকীয়ভাবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
৬নং ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন দাবি : সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন দাবি করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান (পদ্মফুল) এ আবেদন জানান।
আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তার সঙ্গে পরাজিত অপর প্রার্থী অকিল উদ্দিন ভুইয়ার প্রতীক ছিল কার। কিন্তু ব্যালট পেপারে তার প্রতীক দেয়া হয়েছে বাস। অকিল ভুইয়ার প্রতীকে পরিবর্তন আসায় তার নির্বাচনী ফলাফল অসন্তোষজনক হয়। তাই নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রেখে অকিল ভু্ইয়াকে সঠিক মার্কা প্রদান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন তিনি। ৩০ অক্টোবর রাতে মতিউর রহমান রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত এ আবেদন করেন। উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডে সিরাজ মণ্ডল বিজয়ী হন।
সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, নাসিক নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি প্রমাণ করেছে ব্যক্তির চেয়ে দল ও দেশের স্বার্থ বড়। অনেক রাজনৈতিক নেতা ব্যক্তিস্বার্থের কথা চিন্তা করে দল ও দেশের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমি মনে করি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এ কারণে আমি নিজেকে বিসর্জন দিয়ে চেয়ারপার্সনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কারণ আমরা এরই মধ্যে প্রমাণ করেছি ইভিএম দিয়ে কারচুপি হয়।
তৈমূর আলম বলেন, তাছাড়া নির্বাচনের আগে আমার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছিল। কোনো অভিযোগই নির্বাচন কমিশন আমলে নেয়নি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারত। তৈমূর সবশেষে বলেন, আমি বিএনপিতে আছি, থাকব। নারায়ণগঞ্জ বিএনপি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মঙ্গলবার রাতে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। গত রোববার রাতে নাসিক নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি নির্বাচন থেকে নাটকীয়ভাবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
৬নং ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন দাবি : সদ্য অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন দাবি করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান (পদ্মফুল) এ আবেদন জানান।
আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তার সঙ্গে পরাজিত অপর প্রার্থী অকিল উদ্দিন ভুইয়ার প্রতীক ছিল কার। কিন্তু ব্যালট পেপারে তার প্রতীক দেয়া হয়েছে বাস। অকিল ভুইয়ার প্রতীকে পরিবর্তন আসায় তার নির্বাচনী ফলাফল অসন্তোষজনক হয়। তাই নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রেখে অকিল ভু্ইয়াকে সঠিক মার্কা প্রদান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন তিনি। ৩০ অক্টোবর রাতে মতিউর রহমান রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত এ আবেদন করেন। উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডে সিরাজ মণ্ডল বিজয়ী হন।
No comments