বিশুর বিষে...
পরিণতিটা মোটেই অভাবিত নয়। বাংলাদেশ এ টেস্টে হারতই, ব্যবধানটা বড় হয়েছে, এই যা! দুই ইনিংসেই উন্মত্ত ব্যাটিং করে তারা হেরেছে ২২৯ রানের ব্যবধানে। শেষ ইনিংসে ৯০ রান দিয়ে দেবেন্দ্র বিশু পেয়েছেন ৫ উইকেট। অনবদ্য বোলিং, নাকি বাংলাদেশের অদূরদর্শী ব্যাটিং_ এ পারফরম্যান্সের মূলে কী, তা বুঝতে হলে আউটের ধরনগুলোও বোঝা দরকার।মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ৩৪৪ রানে। জয় বহু দূরের ব্যাপার। পঞ্চম দিনটা কাটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই ব্যাট করতে নামেন মুশফিকরা; কিন্তু রান করার স্টাইলটা ছিল অপরিণামদর্শীর মতো।
দিনের শুরুতে তামিমের আউটের কথাই ধরা যাক। বিশুর ওভারের শেষ বলটা মোটেও আহামরি কিছু ছিল না। স্পিনও করেনি। রিপ্লে দেখে যদিও বোঝা যায়নি, বলটা ফুলটস না হাফভলি। তামিম শরীরকে দূরে নিয়ে কাভার ড্রাইভ খেলতে গেলেন এবং স্লিপে সহজ ক্যাচ হয়ে ফিরলেন তিনি। ৮৩ রানেই আউট। দূর দিগন্তে থাকা রান তাড়া করার স্বপ্ন যদি কিছু থেকেও থাকে, তো ওখানেই শেষ। এরপর জুটি গড়লেন সাবেক আর বর্তমান অধিনায়ক।
সাকিব ও মুশফিকের জুটি এগিয়ে যাচ্ছিল ওয়ানডে স্টাইলে; কিন্তু স্যামির বলে অদ্ভুত এক শট খেলে আউট হলেন সাকিব। সংবাদ সম্মেলনে স্যামির বলে এমন শটে আগে কেউ আউট হয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নও উঠল। বিনয়ের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক জানালেন, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ওরকম শট খেলে আউট হওয়ার নজির আছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাউকে দেখেছেন কি-না মনে করতে পারলেন না তিনি। সাকিবের বিদায়ের পর লেগ ব্রেক বলে মুশফিকুর রহিমকে আউট করে বিশু স্বাগতিকদের টেস্ট ড্র করার স্বপ্নের সমাধি রচনা করলেন। শর্ট লেন্থের বল স্পিন করেছিল। ব্যাকফুটে খেলতে অনেক দেরি করে ফেললেন মুশফিক। পরিণতি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরা।
এরপর বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য সিরিয়াল কিলারের ভূমিকায় বিশু। নাসিরকে ফ্লিপারে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেললেন। পুল করতে গিয়ে লাইন মিস করেন নাসির। এরপর বিশুর দ্রুত এক শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে স্যামির তালুবন্দি হন শুভ। আর ৭৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাঈমের আউট হওয়া দেখে মনে হলো, স্পিন বল কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশ তা রপ্তই করতে পারেনি কোনোদিন। যা হোক, নাঈমকে আউট করে বিশু প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্যারিয়ারে পাঁচ উইকেট দখল করেছেন। শেষ হওয়া সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। সামনে ভারত সফর। এ পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই তাকে শেবাগ-শচীনদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিতে সাহস জোগাবে। এ স্বপ্ন নিয়েই বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন দেবেন্দ্র বিশু। যাকে ফার্স্ট বোলিংয়ের দেশের সম্ভাবনাময় লেগ স্পিনার ভাবা হচ্ছে।
সাকিব ও মুশফিকের জুটি এগিয়ে যাচ্ছিল ওয়ানডে স্টাইলে; কিন্তু স্যামির বলে অদ্ভুত এক শট খেলে আউট হলেন সাকিব। সংবাদ সম্মেলনে স্যামির বলে এমন শটে আগে কেউ আউট হয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নও উঠল। বিনয়ের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক জানালেন, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ওরকম শট খেলে আউট হওয়ার নজির আছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাউকে দেখেছেন কি-না মনে করতে পারলেন না তিনি। সাকিবের বিদায়ের পর লেগ ব্রেক বলে মুশফিকুর রহিমকে আউট করে বিশু স্বাগতিকদের টেস্ট ড্র করার স্বপ্নের সমাধি রচনা করলেন। শর্ট লেন্থের বল স্পিন করেছিল। ব্যাকফুটে খেলতে অনেক দেরি করে ফেললেন মুশফিক। পরিণতি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরা।
এরপর বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য সিরিয়াল কিলারের ভূমিকায় বিশু। নাসিরকে ফ্লিপারে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেললেন। পুল করতে গিয়ে লাইন মিস করেন নাসির। এরপর বিশুর দ্রুত এক শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে স্যামির তালুবন্দি হন শুভ। আর ৭৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাঈমের আউট হওয়া দেখে মনে হলো, স্পিন বল কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশ তা রপ্তই করতে পারেনি কোনোদিন। যা হোক, নাঈমকে আউট করে বিশু প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্যারিয়ারে পাঁচ উইকেট দখল করেছেন। শেষ হওয়া সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। সামনে ভারত সফর। এ পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই তাকে শেবাগ-শচীনদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিতে সাহস জোগাবে। এ স্বপ্ন নিয়েই বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন দেবেন্দ্র বিশু। যাকে ফার্স্ট বোলিংয়ের দেশের সম্ভাবনাময় লেগ স্পিনার ভাবা হচ্ছে।
No comments