বিদেশি শিক্ষার্থী নিতে পারবে না ৪৫০ ব্রিটিশ কলেজ
শিক্ষা নিয়ে প্রতারণা বন্ধ ও শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা ভিসা পদ্ধতি কঠিন করেছে ব্রিটেন। এ পদক্ষেপের আওতায় ব্রিটেনের সাড়ে ৪০০ বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওই দেশে নতুন করে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার সুযোগ হারিয়েছে বলে ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, এ কলেজগুলোয় ভর্তির মাধ্যমে প্রতিবছর ১১ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নিয়মের প্রয়োগ শুধু প্রতারণাই বন্ধ করবে না, এতে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ মানসম্মত শিক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত হবে। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে আরো কয়েকটি নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ বর্ডার এজেন্সির নতুন বিধিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হবে। নতুন পরিদর্শন ব্যবস্থায় (ইনস্পেকশন সিস্টেম) শর্ত পূরণ করতে না পারায় ইতিমধ্যে ৪০০-এর বেশি কলেজ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন হারিয়েছে। এ ছাড়া ১০০-এর বেশি কলেজে ইউকে বর্ডার এজেন্সি তদন্ত চালিয়ে ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি বাতিল করেছে। গত এপ্রিলে ব্রিটেনে শিক্ষা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপের আগে দেশটিতে ভিসার জন্য দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি আবেদন পড়ায় ওই তদন্ত হয়। এতে চার হাজার ৫০০-এর বেশি আবেদন প্রত্যাখ্যান বা প্রত্যাহার হয়।
তদন্তে দেখা যায়, একটি কলেজের ওয়েবসাইটে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ থাকার কথা বলে হলেও কলেজটি ক্লাস শুরু হওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছে। অন্য একটি কলেজ সেখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা বা ক্লাসের সময়সীমা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্য কলেজগুলো ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ের তথ্য দিতে পারেনি। অভিবাসনমন্ত্রী ডেমিয়ান গ্রিন বলেন, 'স্টুডেন্ট ভিসা ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপকভাবে প্রতারণা চলে আসছিল এবং আমরা যেসব পরিবর্তন এনেছি, তা শুরু মাত্র।' তিনি বলেন, 'অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবর্তে অভিবাসন সেবা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল এবং কাজ পেতে ও পরিবারের সদস্যদের এখানে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে অনেক শিক্ষার্থীই ব্রিটেনে এসেছে। বিদেশি শিক্ষার্থী আনার ক্ষেত্রে শুধু প্রথম শ্রেণীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই অনুমোদন দেওয়া হবে।' ডেমিয়ান গ্রিন আরো বলেন, শিক্ষার্থী অবস্থায় কাজ ও পরিবারের সদস্যদের ব্রিটেনে আনার সুযোগ কমিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকৃত শিক্ষার্থীদের আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ওপর নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের অভিবাসন-সংক্রান্ত কর্তব্য পালনের বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য বর্ধিত স্পনসরশিপের নতুন মানদণ্ড অনুসরণ করার জন্যও কলেজগুলোকে বলা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব মানদণ্ড অনুসরণে ব্যর্থ হবে স্পন্সর হিসেবে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল হবে। সূত্র : ইউএনবি, বিডি নিউজ।
তদন্তে দেখা যায়, একটি কলেজের ওয়েবসাইটে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ থাকার কথা বলে হলেও কলেজটি ক্লাস শুরু হওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছে। অন্য একটি কলেজ সেখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা বা ক্লাসের সময়সীমা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্য কলেজগুলো ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ের তথ্য দিতে পারেনি। অভিবাসনমন্ত্রী ডেমিয়ান গ্রিন বলেন, 'স্টুডেন্ট ভিসা ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপকভাবে প্রতারণা চলে আসছিল এবং আমরা যেসব পরিবর্তন এনেছি, তা শুরু মাত্র।' তিনি বলেন, 'অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবর্তে অভিবাসন সেবা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল এবং কাজ পেতে ও পরিবারের সদস্যদের এখানে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে অনেক শিক্ষার্থীই ব্রিটেনে এসেছে। বিদেশি শিক্ষার্থী আনার ক্ষেত্রে শুধু প্রথম শ্রেণীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই অনুমোদন দেওয়া হবে।' ডেমিয়ান গ্রিন আরো বলেন, শিক্ষার্থী অবস্থায় কাজ ও পরিবারের সদস্যদের ব্রিটেনে আনার সুযোগ কমিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকৃত শিক্ষার্থীদের আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ওপর নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের অভিবাসন-সংক্রান্ত কর্তব্য পালনের বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য বর্ধিত স্পনসরশিপের নতুন মানদণ্ড অনুসরণ করার জন্যও কলেজগুলোকে বলা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব মানদণ্ড অনুসরণে ব্যর্থ হবে স্পন্সর হিসেবে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল হবে। সূত্র : ইউএনবি, বিডি নিউজ।
No comments