আলোচনা সভায় শাহরিয়ার কবির-খালেদা বুঝে-শুনেই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চাইছেন
ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বুঝে-শুনেই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আন্দোলনের নামে মাঠে নেমেছেন। কারণ খালেদা জিয়া জানেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে জামায়াত বলে কোনো দল থাকবে না। আর জামায়াত না থাকলে বিএনপির কোমর ভেঙে যাবে।গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ১১ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় শাহরিয়ার কবির এ কথা বলেন। তিনি আইন করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানিয়ে বলেন, 'যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদেরও বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।'
শাহরিয়ার কবির বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুধু আওয়ামী লীগের একার নয়, এ দায়িত্ব মহাজোটের। আওয়ামী লীগ যে একলা চলো নীতিতে এগিয়ে চলছে, এর দায়িত্ব আমাদেরও নিতে হবে। কারণ আমরা দেশে থাকব। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা হয়তো দেশ ছেড়ে যাবেন। আমরা পারব না।'
১১ দলের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সভাপতি অজয় রায়, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, গণ-আজাদী লীগের সভাপতি হাজি আবদুস সামাদ, জাতীয় গণ-ঐক্যের কনভেনর পঙ্কজ ভট্টাচার্জ প্রমুখ।
শাহরিয়ার কবির বলেন, 'বর্তমান সরকার দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে। শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রত্যয়ে মহাজোটকে দুই কোটি নতুন ভোটার ভোট দিয়েছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে শেখ হাসিনাসহ আমাদের বিচার হবে। কারণ আমরা ৪০ বছর ধরে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী বলে আসছি এবং ক্ষমতায় গেলে তাদের বিচার করব বলে ওয়াদা দিয়েছি।'
হাসানুল হক ইনু বলেন, জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে খালেদা জিয়া উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি বুঝতে পারেননি সরকার এত দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। ইনু বলেন, খালেদা জিয়া এত দিন রেখে-ঢেকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলতেন, এখন নিশ্চিত বিচার জেনে প্রকাশ্যেই তাদের পক্ষ নিয়েছেন। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হবে না। রাশেদ খান মেনন বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের শক্তিগুলোকে একাত্তরের মতো আরেকবার গর্জে উঠতে হবে।
১১ দলের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সভাপতি অজয় রায়, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, গণ-আজাদী লীগের সভাপতি হাজি আবদুস সামাদ, জাতীয় গণ-ঐক্যের কনভেনর পঙ্কজ ভট্টাচার্জ প্রমুখ।
শাহরিয়ার কবির বলেন, 'বর্তমান সরকার দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে। শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রত্যয়ে মহাজোটকে দুই কোটি নতুন ভোটার ভোট দিয়েছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে শেখ হাসিনাসহ আমাদের বিচার হবে। কারণ আমরা ৪০ বছর ধরে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী বলে আসছি এবং ক্ষমতায় গেলে তাদের বিচার করব বলে ওয়াদা দিয়েছি।'
হাসানুল হক ইনু বলেন, জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে খালেদা জিয়া উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি বুঝতে পারেননি সরকার এত দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। ইনু বলেন, খালেদা জিয়া এত দিন রেখে-ঢেকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলতেন, এখন নিশ্চিত বিচার জেনে প্রকাশ্যেই তাদের পক্ষ নিয়েছেন। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হবে না। রাশেদ খান মেনন বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের শক্তিগুলোকে একাত্তরের মতো আরেকবার গর্জে উঠতে হবে।
No comments