সাকিবের 'সুইসাইড' শট
কথাটা কানে বাজছিল খুব। 'এ উইকেটে ব্যাটসম্যান যদি আউট হতে না চান, তাহলে তাকে আউট করা কঠিন। এখানে ড্র করা খুবই সম্ভব।' আগের দিন যিনি এ কথা বলতে পারেন, তিনি কীভাবে গতকাল ওভাবে বিলাসী শট খেলে আউট হয়ে যান? আশরাফুল হলে লোকে দিব্যি একটা বিশেষণ বসিয়ে দিত; কিন্তু সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে অমন দায়িত্বজ্ঞান-বিবর্জিত শট কেউ আশা করেননি। লাঞ্চের তখন আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। এ সময়ের মধ্যে নিজের হাফ সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান সাকিব। মাত্র ৬৫ বলে ৫০ করা সাকিবকে দেখে কখনোই মনে হয়নি ক্যারিবীয় বোলাররা তার ওপর শাসন করতে পেরেছেন। কিন্তু হঠাৎ যেন সব পেয়ে যাওয়ার তৃপ্তি এসে যায় সাকিবের মনে।
'৫০ করেছি, এবার আমার দায়িত্ব শেষ' ধরনের মানসিকতা নিয়ে এরপরই কুশ্রী একটা শট খেলেন সাকিব। শর্ট অব লেন্থের মাঝারি মানের বলটি জায়গায় দাঁড়িয়ে টেনিস র্যাকেটের মতো কবজির মোচড়ে চালাতে যান। লোকে সখের বশেও যা কখনও করে না, সেটাই কি-না করলেন সাকিব ঢাকা টেস্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। তার এভাবে আউট হওয়া দেখে যে কেউ সন্দেহ করতে পারেন। ক্রিকইনফো ওয়েবসাইটে সাকিবের ওই শটটিকে বলা হয়েছে 'ফলস শট'। কিন্তু মিরপুর প্রেসবক্সে তখন জোরালো চিৎকার_ না, এটা সাকিবের সুইসাইড শট। সাকিবের ওভাবে আউট হওয়া দেখে শুধু মিরপুরের গ্যালারি কিংবা প্রেসবক্স নয়, খোদ বোলার স্যামিও অবাক হয়েছেন। 'সাকিবকে ওই শট খেলতে দেখে তখন একটু অবাক হয়েছিলাম ঠিকই। এর আগেও তিনি এমন শট খেলেছেন। তখন বেঁচে গিয়েছিলেন, আজ আর বাঁচতে পারেননি।'
কিন্তু সাকিব কি বাঁচার জন্যই মেরেছিলেন? লোকে ওয়ানডেতে কখনও কখনও এমন শট খেলে, তাই বলে টেস্টে! মুশফিক নিজেও কখনও টেস্টে কাউকে এভাবে খেলতে দেখেননি। 'ওয়ানডেতে সাকিবই এমন খেলেছেন। তবে টেস্টে তাকে এই প্রথম দেখলাম। সাকিব একজন পরিণত ক্রিকেটার। তিনি নিজেও জানেন, তার ওই সময় ওইভাবে আউট হওয়া ঠিক হয়নি।' ২৫৬ রানে ৪ উইকেট_ দলের এমন সুন্দর একটা অবস্থায় সাকিব নিজেও ছিলেন ৫৫ রানের আত্মবিশ্বাসী জায়গায়। যে বিশু ম্যাচে বিষ ছড়িয়েছেন, সেই বিশুরই ১১ বলে ২৭ রান নিয়েছেন। অথচ স্যামির প্রথম বলটিতেই লাইন ছেড়ে বেরিয়ে কবজির মোচড়ে ঘোরাতে গিয়েছিলেন। সাকিব আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের পরের ৫ উইকেট পড়েছিল ২২ রানে। পুরো সিরিজে দারুণ পারফর্ম করে যিনি ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন, সেই সাকিবের কাছ থেকে এমন শট কেউ আশা করেননি। এককান-দু'কান করে এদিন এমনও কথা উঠেছে, তাহলে কি মুশফিককে বিব্রত করতেই সাকিব ওই বাজে শটটা খেলেছিলেন? শুনেই কান বন্ধ করে উত্তর দিয়েছেন মুশফিক, 'সত্যি কথা বলছি, এটা আমার ভেতরের কথা। এ সিরিজে রিয়াদ ভাই অসুস্থ হওয়ার পর সাকিব আর তামিম ভাই আমাকে অফ দ্য ফিল্ড এবং অন দ্য ফিল্ডে ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন। সবার সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলেছি। তখন তারা নিজেরা বলেছেন_ এমন করে দেখতে পারিস কিংবা ওটা অমন করলে ভালো হয়।'
কিন্তু সাকিব কি বাঁচার জন্যই মেরেছিলেন? লোকে ওয়ানডেতে কখনও কখনও এমন শট খেলে, তাই বলে টেস্টে! মুশফিক নিজেও কখনও টেস্টে কাউকে এভাবে খেলতে দেখেননি। 'ওয়ানডেতে সাকিবই এমন খেলেছেন। তবে টেস্টে তাকে এই প্রথম দেখলাম। সাকিব একজন পরিণত ক্রিকেটার। তিনি নিজেও জানেন, তার ওই সময় ওইভাবে আউট হওয়া ঠিক হয়নি।' ২৫৬ রানে ৪ উইকেট_ দলের এমন সুন্দর একটা অবস্থায় সাকিব নিজেও ছিলেন ৫৫ রানের আত্মবিশ্বাসী জায়গায়। যে বিশু ম্যাচে বিষ ছড়িয়েছেন, সেই বিশুরই ১১ বলে ২৭ রান নিয়েছেন। অথচ স্যামির প্রথম বলটিতেই লাইন ছেড়ে বেরিয়ে কবজির মোচড়ে ঘোরাতে গিয়েছিলেন। সাকিব আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের পরের ৫ উইকেট পড়েছিল ২২ রানে। পুরো সিরিজে দারুণ পারফর্ম করে যিনি ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন, সেই সাকিবের কাছ থেকে এমন শট কেউ আশা করেননি। এককান-দু'কান করে এদিন এমনও কথা উঠেছে, তাহলে কি মুশফিককে বিব্রত করতেই সাকিব ওই বাজে শটটা খেলেছিলেন? শুনেই কান বন্ধ করে উত্তর দিয়েছেন মুশফিক, 'সত্যি কথা বলছি, এটা আমার ভেতরের কথা। এ সিরিজে রিয়াদ ভাই অসুস্থ হওয়ার পর সাকিব আর তামিম ভাই আমাকে অফ দ্য ফিল্ড এবং অন দ্য ফিল্ডে ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন। সবার সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলেছি। তখন তারা নিজেরা বলেছেন_ এমন করে দেখতে পারিস কিংবা ওটা অমন করলে ভালো হয়।'
No comments