২৪ ঘণ্টায়ও মামলা হয়নি : মেয়র লোকমান হত্যার নেপথ্যে কারা—
নরসিংদী পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন হত্যার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হলেও গতকাল রাত পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন হয়েছেন লোকমান হোসেন। দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় একটি গ্রুপের সঙ্গে লোকমানের বিরোধ ছিল। সম্প্রতি এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের এক মন্ত্রীর দিকেই তাদের সন্দেহের তীর! ঘটনার পর থেকেই টিঅ্যান্ডটিমন্ত্রী ও তার ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়ক বলে অভিযোগ করে আসছে নিহতের স্বজন, ছাত্রলীগ ও পৌরসভার সাধারণ নাগরিক।
যদিও মন্ত্রী এখন দেশে নেই, তবুও তিনি কলকাঠি নাড়ছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। ছাত্রনেতা এসএম কাইয়ুমসহ একাধিক নেতা বলেন, যেদিন সার্কিট হাউসে টিএনও কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে, খবরটি প্রকাশ হওয়ার পরই মন্ত্রীকে নরসিংদীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলে হয়তো মেয়রকে হারাতে হতো না। রাত ৯টার পর রায়পুরা থানা সূত্রে জানা গেছে, রায়পুরায় মন্ত্রী রাজুর পৈতৃক বাড়িতে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে।
এসব কারণেই হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পার হলেও থানায় মামলা করতে পারেনি। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার ও প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে যেন লোকমান হত্যা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত না হয় এবং ঘাতকরা পার পেয়ে না যায়—এ দাবি লোকমানের পরিবারের। অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উচ্চপর্যায় থেকে মেয়রের পরিবারকে খোকনসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাপ দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, নরসিংদী মডেল থানার জিডি নং ৭২তাং ০২/১১/১১ইং ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ৬ জনকে আটক করে বিকাল ৫টার দিকে আদালতে পাঠানো হয়। তবে এ সময় কোর্টহাজতে খোকনকে দেখা যায়নি। বিচারকের এজলাসে না তুলে বাকি ৫ জনকে হাজতখানায় রাখা হয়। তবে খোকনকে হাজতে না নিয়েই আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। কিন্তু আদালত পরবর্তী কার্যদিবসে রিমান্ড শুনানির আদেশ দিয়ে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটকরা হলো বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকন, সজীব দাস, মো. সোহেল, তৌহিদ সরকার, জাহিদুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন। তবে খোকনকে ঠিক কোথায় রাখা হয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করে কিছুই বলা হচ্ছে না। এদিকে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রাতের যে কোনো সময় তারা মামলা করতে পারে।
এসব কারণেই হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পার হলেও থানায় মামলা করতে পারেনি। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার ও প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে যেন লোকমান হত্যা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত না হয় এবং ঘাতকরা পার পেয়ে না যায়—এ দাবি লোকমানের পরিবারের। অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উচ্চপর্যায় থেকে মেয়রের পরিবারকে খোকনসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাপ দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, নরসিংদী মডেল থানার জিডি নং ৭২তাং ০২/১১/১১ইং ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ৬ জনকে আটক করে বিকাল ৫টার দিকে আদালতে পাঠানো হয়। তবে এ সময় কোর্টহাজতে খোকনকে দেখা যায়নি। বিচারকের এজলাসে না তুলে বাকি ৫ জনকে হাজতখানায় রাখা হয়। তবে খোকনকে হাজতে না নিয়েই আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। কিন্তু আদালত পরবর্তী কার্যদিবসে রিমান্ড শুনানির আদেশ দিয়ে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটকরা হলো বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকন, সজীব দাস, মো. সোহেল, তৌহিদ সরকার, জাহিদুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন। তবে খোকনকে ঠিক কোথায় রাখা হয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করে কিছুই বলা হচ্ছে না। এদিকে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রাতের যে কোনো সময় তারা মামলা করতে পারে।
No comments