হারেৎজের প্রতিবেদন-ইরানে হামলার পরিকল্পনা করছেন নেতানিয়াহু
ইরানে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের এ ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন তিনি। ইসরায়েলের প্রভাবশালী পত্রিকা হারেৎজ গতকাল বুধবার এ তথ্য জানায়। ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালাতে পারে_এমন কানাঘুষা কয়েক দিন থেকেই চলছিল।হারেৎজের এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশের দিনই ইসরায়েলের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা একটি উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন। এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা চালানো সম্ভব। এদিকে ইরান হুঁশিয়ার করে বলেছে, তারা সতর্ক রয়েছে এবং হামলা চালালে ইসরায়েলকে 'শাস্তি' পেতে হবে।
জ্যেষ্ঠ এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গতকাল হারেৎজ জানায়, নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষমন্ত্রী এহুদ বারাক ইরানে হামলা চালাতে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সম্মতি আদায়ে কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যানের সমর্থন পেয়েছেন। তবে বেশির ভাগ জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীই এ ধরনের হামলার ব্যাপারে আগ্রহী নন। এ ছাড়া সামরিক ও গোয়েন্দা প্রধানরাও হামলার বিরোধী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা ও গোয়েন্দা প্রধানের বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু ও এহুদ বারাক ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে গত সোমবার অভিযোগ নাকচ করে এহুদ বলেন, '২০১১ সালের ইসরায়েলে মাত্র দুজন ব্যক্তির পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এটা বুঝতে খুব বেশি বুদ্ধির প্রয়োজন হয় না।' তবে পরদিন পার্লামেন্টে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে যে, ইসরায়েল এককভাবে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
হারেৎজ জানায়, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা ইরান প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন দেবে। ওই প্রতিবেদন দেখেই হামলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েল।
পশ্চিমা বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি আরো জানায়, ভারি মেঘের কারণে শীতকালে ইরানের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানো কঠিন হবে। ফলে সিদ্ধান্ত হলেও হামলা কখন চালানো হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এর আগেও ইরানে হামলার আশঙ্কার ব্যাপারে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ইরান জানিয়েছে, হামলা হলে ইহুদি রাষ্ট্রটিকে শাস্তি পেতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল হাসান ফিরৌজাবাদি বলেন, 'আশঙ্কা কম এমন হুমকিকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি আমরা। আমরা সতর্ক আছি। তাদের শাস্তি দিতে তৈরি আমরা।' সূত্র : এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা ও গোয়েন্দা প্রধানের বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু ও এহুদ বারাক ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে গত সোমবার অভিযোগ নাকচ করে এহুদ বলেন, '২০১১ সালের ইসরায়েলে মাত্র দুজন ব্যক্তির পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এটা বুঝতে খুব বেশি বুদ্ধির প্রয়োজন হয় না।' তবে পরদিন পার্লামেন্টে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে যে, ইসরায়েল এককভাবে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
হারেৎজ জানায়, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা ইরান প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন দেবে। ওই প্রতিবেদন দেখেই হামলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েল।
পশ্চিমা বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি আরো জানায়, ভারি মেঘের কারণে শীতকালে ইরানের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানো কঠিন হবে। ফলে সিদ্ধান্ত হলেও হামলা কখন চালানো হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এর আগেও ইরানে হামলার আশঙ্কার ব্যাপারে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ইরান জানিয়েছে, হামলা হলে ইহুদি রাষ্ট্রটিকে শাস্তি পেতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল হাসান ফিরৌজাবাদি বলেন, 'আশঙ্কা কম এমন হুমকিকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি আমরা। আমরা সতর্ক আছি। তাদের শাস্তি দিতে তৈরি আমরা।' সূত্র : এএফপি।
No comments