নেপালে শান্তিচুক্তি নিয়ে অচলাবস্থা কাটল
সাবেক মাওবাদী গেরিলাদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন নেপালের রাজনৈতিক নেতারা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিতর্কের পর গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে রাজি হয়েছেন তাঁরা। মাওবাদী গেরিলাদের সঙ্গে করা শান্তিচুক্তির শেষ অংশটি এর ফলে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।নেপালের প্রধান রাজনৈতিক নেতারা গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাইয়ের বাসভবনে বৈঠক করেন। সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়া ১৯ হাজার মাওবাদী গেরিলার এক-তৃতীয়াংশকে (প্রায় সাড়ে ছয় হাজার গেরিলা) সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে সমঝোতা চুক্তি করেন তাঁরা।
যাদের সেনাবাহিনীতে নেওয়া সম্ভব হবে না, তাদের প্রত্যেককে পাঁচ থেকে আট লাখ নেপালি রুপি দেওয়া হবে। চুক্তির অংশ হিসেবে গেরিলারা তাদের কাছে রয়ে যাওয়া অস্ত্র সরকারের কাছে জমা দেবে। এর আওতায় আগামী এক মাসের মধ্যে শান্তি ও সমঝোতাবিষয়ক কমিশন গঠন এবং মাওবাদীদের দখল করা জমি আসল মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হবে। প্রায় ১০ বছর সংঘাতের পর ২০০৬ সালে যুদ্ধ শেষ করতে রাজি হয় মাওবাদী বিদ্রোহীরা। তারা মূলধারার রাজনীতিতে অংশ নিতে শুরু করে। বর্তমানে পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে তাদের। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তিন বছর ধরে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে দরকষাকষি করছিল তারা। তবে গত সেপ্টেম্বরে মাওবাদী নেতা বাবুরাম ভট্টরাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। অবশেষে প্রধান চার দল_মাওবাদী পার্টি, নেপালি কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) ও মাধেশি পিপলস রাইটস ফোরাম গত মঙ্গলবার ঐকমত্যে পেঁৗছায়। মাওবাদীদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে রাজনৈতিক চুক্তিকে 'একটি মাইলফলক' বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments