দাউদকান্দিতে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক পোলট্রি ফার্ম by ওমর ফারুক মিয়াজী,
দাউদকান্দি উপজেলায় পোলট্রি শিল্পের এখন নাজুক অবস্থা। লোকসান দিয়ে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক পোলট্রি ফার্ম।কয়েক বছর আগে দাউদকান্দিতে পোলট্রি শিল্পে বিপ্লব হয়েছিল। সম্পূর্ণব্যক্তি মালিকানাধীন এ শিল্পটি একসময় দাউদকান্দি উপজেলার অর্থনীতির চাকাকে সচল করেছিল।দাউদকান্দির দক্ষিণ অঞ্চল শায়েস্তানগর, মলয়, বরকোটা, তিনচিটা মোহম্মদপুর, আটিপাড়া, বায়নাগর, হাটখোলা, ইটাখোলা প্রভৃতি গ্রামে পোলট্রি শিল্প প্রসার লাভ করে। প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনতে গুনতে বর্তমানে ফার্মগুলো খালি পড়ে আছে। দাউদকান্দির এসব পোলট্রি ফার্মের মাধ্যমে কয়েক হাজার বেকার যুবক ও শ্রমিক স্বাবলম্বী হয়েছিল।
দাউদকান্দি পোলট্রি ফার্ম মালিক সমিতি তথ্য থেকে জানা যায়, বিগত দিনগুলোয় ছোট-বড় মিলিয়ে পোলট্রি ফার্মের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে চার শ। পোলট্রি ফার্ম ও পোলট্রি খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল প্রায় পাঁচ হাজার লোক। লোকসানের কারণে বর্তমানে পোলট্রি ফার্মের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। পোলট্রি ফার্ম ও পোলট্রি খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা ঝুঁকছেন অন্য পেশায়। কেউ কেউ পুঁজি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকে লাভের আশায় লোকসান দিয়েও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মোহাম্মদপুর (পশ্চিম) পাঠান পোলট্রি ফার্মের মালিক হাজি মোকলেছুর রহমান পাঠান জানান, বর্তমান পোলট্রি শিল্পের অবস্থা ভালো নয়। প্রথম যখন
পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা শুরু করি তখন মুরগির প্রতি কেজি খাদ্যের দাম ছিল আট টাকা, বর্তমানে এর মূল্য ৩০ থেকে ৩২ টাকা ও ১৫ টাকার মুরগির বাচ্চার দাম ৪০ টাকা।
এ ব্যাপরে পোলট্রি খাদ্য ব্যবসায়ী সফিক কমান্ডার জানান, এ শিল্পের প্রসার লাভ করায় একসময় বিভিন্ন কম্পানির পোলট্রি ফিডের এজেন্ট হয়ে বিভিন্ন ফার্মে ফিড সরবরাহ করতাম; কিন্তু অনেক পোলট্রি ফার্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, মুরগির ডিম বা মুরগির দাম সে হারে বাড়েনি। তাই অনেক পোলট্রি মালিক এ ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসা করছেন।
মোহাম্মদপুর (পশ্চিম) পাঠান পোলট্রি ফার্মের মালিক হাজি মোকলেছুর রহমান পাঠান জানান, বর্তমান পোলট্রি শিল্পের অবস্থা ভালো নয়। প্রথম যখন
পোলট্রি ফার্মের ব্যবসা শুরু করি তখন মুরগির প্রতি কেজি খাদ্যের দাম ছিল আট টাকা, বর্তমানে এর মূল্য ৩০ থেকে ৩২ টাকা ও ১৫ টাকার মুরগির বাচ্চার দাম ৪০ টাকা।
এ ব্যাপরে পোলট্রি খাদ্য ব্যবসায়ী সফিক কমান্ডার জানান, এ শিল্পের প্রসার লাভ করায় একসময় বিভিন্ন কম্পানির পোলট্রি ফিডের এজেন্ট হয়ে বিভিন্ন ফার্মে ফিড সরবরাহ করতাম; কিন্তু অনেক পোলট্রি ফার্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, মুরগির ডিম বা মুরগির দাম সে হারে বাড়েনি। তাই অনেক পোলট্রি মালিক এ ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসা করছেন।
No comments