'উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করছে এমএলএম কম্পানি'
২০০২ সালে বাংলাদেশে মাল্টিলেবেল কম্পানির (এমএলএম) সংখ্যা ছিল ১৬টি। চার বছর পর ২০০৬ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪টিতে। আর বর্তমানে ৭০টি এমএলএম কম্পানি ব্যবসা করছে। এমএলএম কম্পানির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও পরিবীক্ষণের কোনো সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আইন বা নীতিমালা নেই। উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করে তারা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে অর্থ আদায়ের সুযোগ থাকায় বাংলাদেশে এমএলএম কম্পানির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
এমএলএম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় 'ডাইরেক্ট সেল আইন-২০১১' নামে যে আইনের খসড়া তৈরি করেছে, তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য তৈরি করা সার সংক্ষেপে এসব কথা বলা হয়েছে। সার সংক্ষেপটি গতকাল বুধবার অনুমোদনের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশে এমএলএম কম্পানি পরিচালনার জন্য কোনো আইন বা নীতিমালা নেই। রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কম্পানির পরিদপ্তর থেকে কম্পানি আইনের অধীন নিবন্ধিত কম্পানিগুলো এমএলএল ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। বাংলাদেশে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনাকারী কম্পানিগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে কতিপয় এমএলএম কম্পানির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে সর্বস্বান্ত করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই এমএলএম কম্পানিগুলোকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার প্রয়োজন পড়েছে।'
সার সংক্ষেপে আরো বলা হয়েছে, খসড়াটি আইনে পরিণত হলে এমএলএম ব্যবসার নামে কম্পানিগুলোর প্রতারণা কমবে। কম্পানিগুলোর পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও অযৌক্তিক মূল্য বাড়ানোর প্রবণতাও কমবে। আর এমএলএমের আওতায় পরিচালিত সব ধরনের ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা পাবে।
প্রস্তাবিত আইনে ১৩টি অধ্যায়, ৫০টি ধারা ও দুটি তফসিল রয়েছে উল্লেখ করে সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ডাইরেক্ট সেলস অ্যাক্ট-১৯৯৩, যুক্তরাজ্যে ফেয়ার ট্রেড অ্যাক্টের পার্ট-১১, ভারতের প্রাইস চিটস অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন স্কিমস অ্যাক্ট ১৯৭৮, চীনের ডাইরেক্ট সেলিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আইন দ্বারা ডাইরেক্ট সেলিং কম্পানিগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে এসব দেশের এমএলএম কম্পানিগুলো আইনি কাঠামোর মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সার সংক্ষেপে আরো বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকে এমএলএম কম্পানির প্রতারণা বন্ধে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে নীতিমালার পরিবর্তে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মন্ত্রণালয় আইনের খসড়া প্রণয়ন করে জনমত জানার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেখানে প্রাপ্ত জনমতের ভিত্তিতে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, সার সংক্ষেপে মন্ত্রীর সম্মতির পর মন্ত্রিসভা কমিটির আগামী বৈঠকে নীতিগত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। সেখানে অনুমোদনের পরই আইন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের জন্য পাঠানো হবে। পরে তা সংসদে বিল আকারে উত্থাপন করা হবে।
সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশে এমএলএম কম্পানি পরিচালনার জন্য কোনো আইন বা নীতিমালা নেই। রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কম্পানির পরিদপ্তর থেকে কম্পানি আইনের অধীন নিবন্ধিত কম্পানিগুলো এমএলএল ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। বাংলাদেশে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনাকারী কম্পানিগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে কতিপয় এমএলএম কম্পানির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে সর্বস্বান্ত করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই এমএলএম কম্পানিগুলোকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার প্রয়োজন পড়েছে।'
সার সংক্ষেপে আরো বলা হয়েছে, খসড়াটি আইনে পরিণত হলে এমএলএম ব্যবসার নামে কম্পানিগুলোর প্রতারণা কমবে। কম্পানিগুলোর পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও অযৌক্তিক মূল্য বাড়ানোর প্রবণতাও কমবে। আর এমএলএমের আওতায় পরিচালিত সব ধরনের ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা পাবে।
প্রস্তাবিত আইনে ১৩টি অধ্যায়, ৫০টি ধারা ও দুটি তফসিল রয়েছে উল্লেখ করে সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ডাইরেক্ট সেলস অ্যাক্ট-১৯৯৩, যুক্তরাজ্যে ফেয়ার ট্রেড অ্যাক্টের পার্ট-১১, ভারতের প্রাইস চিটস অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন স্কিমস অ্যাক্ট ১৯৭৮, চীনের ডাইরেক্ট সেলিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আইন দ্বারা ডাইরেক্ট সেলিং কম্পানিগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে এসব দেশের এমএলএম কম্পানিগুলো আইনি কাঠামোর মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সার সংক্ষেপে আরো বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকে এমএলএম কম্পানির প্রতারণা বন্ধে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে নীতিমালার পরিবর্তে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মন্ত্রণালয় আইনের খসড়া প্রণয়ন করে জনমত জানার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। সেখানে প্রাপ্ত জনমতের ভিত্তিতে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, সার সংক্ষেপে মন্ত্রীর সম্মতির পর মন্ত্রিসভা কমিটির আগামী বৈঠকে নীতিগত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। সেখানে অনুমোদনের পরই আইন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের জন্য পাঠানো হবে। পরে তা সংসদে বিল আকারে উত্থাপন করা হবে।
No comments