‘ড. ইউনূসকে নিয়ে অতিমাত্রায় রাজনীতি করা হয়েছে’ : গ্রামীণ ব্যাংক দারিদ্র্য বিমোচনে তেমন অবদান রাখতে পারেনি : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ম ভেঙে ৫৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান করেছে। কিন্তু সেই সব প্রতিষ্ঠানের মুনাফার কোনো অংশই এর দরিদ্র সদস্যরা পায়নি। এটা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। গতকাল ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিজস্ব ভবনে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ‘বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ : চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত্ নির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তবে ড. ইউনূসকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অতিমাত্রায় রাজনীতি করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে বক্তারা দাবি করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক সফলতা রয়েছে কিন্ত দারিদ্র্যবিমোচনে প্রতিষ্ঠানটি তেমন অবদান রাখতে পারেনি। তবে প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ সামাজিক বিবর্তনকে সাহায্য করেছে। ক্ষুদ্রঋণের সাফল্যকে আরও ব্যাপক করে তুলতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফজলুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ এম সাইদুজ্জামান, এমএম আকাশ, প্রফেসর এমএ বাকী খলিলী প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে অতিদরিদ্ররা সুবিধা পায় না। অপেক্ষাকৃত কম দরিদ্ররাই এর সুফল পায়। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ক্ষুদ্র ঋণ তেমন কোনো অবদান রাখে না। তবে এই ঋণ গ্রামীণ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। দারিদ্র্যবিমোচনে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে ২৩ লাখ লোকের জন্য চাকরি সৃষ্টি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শুধু অবকাঠামো নয়, শিল্পেরও বিকাশ করতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে অবদান রাখছে। কিন্তু কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা শিল্পখাতে কোনো অবদান রাখছে না। এনজিওগুলোকে এখন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে।
সাবেক পিকেএসএফ চেয়ারম্যান এম সাইদুজ্জামান বলেন, কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাম থেকে বিপুল হারে আমানত সংগ্রহ করে শহর এলাকায় বিনিয়োগ করতো। সাম্প্রতিককালে এ প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। ক্ষুদ্রঋণকে ভিত্তি করে গ্রামীণ অর্থনীতি পরিচালিত হওয়ায় গ্রামের টাকা গ্রামেই থাকছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এমএম আকাশ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশিমাত্রায় রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে এসব অভিযোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। তার ব্যাপারে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা প্রমাণিত হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনায় ইউনূসের বিরুদ্ধে কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ড. আকাশ।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নিয়োজিত সব সংস্থা সমাজের কল্যাণে কাজ করছে বলে দাবি করে থাকে। এর মাধ্যমে তারা কম সুদে বা সুদমুক্ত ঋণ সংগ্রহ করে। সমাজকল্যাণের কথা বলে অনেক সময় তারা বিদেশ থেকে অনুদান পায়। সমাজকল্যাণের স্বার্থে এসব সংস্থাকে সরকার কর অব্যাহতি দেয়। তারা আসলেই সমাজকল্যাণে কতটুকু কাজ করে তা পর্যবেক্ষণ করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন ড. আকাশ।
গ্রামীণ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি বলে দাবি করেন অধ্যাপক আকাশ। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে তিনি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) বোর্ড সদস্য মনোনয়নের পরামর্শ দেন।
ড. খলীকুজ্জমান বলেন, ক্ষুদ্রঋণ তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ায় এর সুদের হার বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বর্তমানে তা ২৭ শতাংশ বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সার্ভিস চার্জ কমানো হয়েছে।
বাকী খলিলী বলেন, বিশাল পরিচালনা ব্যয়ের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ গ্রামাঞ্চলে শাখা খুলতে পারে না। আবার গ্রামের মানুষ প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঋণ সুবিধা পায় না। ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফজলুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ এম সাইদুজ্জামান, এমএম আকাশ, প্রফেসর এমএ বাকী খলিলী প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে অতিদরিদ্ররা সুবিধা পায় না। অপেক্ষাকৃত কম দরিদ্ররাই এর সুফল পায়। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ক্ষুদ্র ঋণ তেমন কোনো অবদান রাখে না। তবে এই ঋণ গ্রামীণ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। দারিদ্র্যবিমোচনে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে ২৩ লাখ লোকের জন্য চাকরি সৃষ্টি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শুধু অবকাঠামো নয়, শিল্পেরও বিকাশ করতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে অবদান রাখছে। কিন্তু কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা শিল্পখাতে কোনো অবদান রাখছে না। এনজিওগুলোকে এখন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে।
সাবেক পিকেএসএফ চেয়ারম্যান এম সাইদুজ্জামান বলেন, কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাম থেকে বিপুল হারে আমানত সংগ্রহ করে শহর এলাকায় বিনিয়োগ করতো। সাম্প্রতিককালে এ প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। ক্ষুদ্রঋণকে ভিত্তি করে গ্রামীণ অর্থনীতি পরিচালিত হওয়ায় গ্রামের টাকা গ্রামেই থাকছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এমএম আকাশ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশিমাত্রায় রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে এসব অভিযোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। তার ব্যাপারে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা প্রমাণিত হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনায় ইউনূসের বিরুদ্ধে কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ড. আকাশ।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নিয়োজিত সব সংস্থা সমাজের কল্যাণে কাজ করছে বলে দাবি করে থাকে। এর মাধ্যমে তারা কম সুদে বা সুদমুক্ত ঋণ সংগ্রহ করে। সমাজকল্যাণের কথা বলে অনেক সময় তারা বিদেশ থেকে অনুদান পায়। সমাজকল্যাণের স্বার্থে এসব সংস্থাকে সরকার কর অব্যাহতি দেয়। তারা আসলেই সমাজকল্যাণে কতটুকু কাজ করে তা পর্যবেক্ষণ করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন ড. আকাশ।
গ্রামীণ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি বলে দাবি করেন অধ্যাপক আকাশ। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে তিনি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) বোর্ড সদস্য মনোনয়নের পরামর্শ দেন।
ড. খলীকুজ্জমান বলেন, ক্ষুদ্রঋণ তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ায় এর সুদের হার বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বর্তমানে তা ২৭ শতাংশ বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সার্ভিস চার্জ কমানো হয়েছে।
বাকী খলিলী বলেন, বিশাল পরিচালনা ব্যয়ের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ গ্রামাঞ্চলে শাখা খুলতে পারে না। আবার গ্রামের মানুষ প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঋণ সুবিধা পায় না। ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
No comments