ঘুষ দেওয়ায় শীর্ষে রাশিয়া ও চীন
বহির্বিশ্বে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে চীন ও রাশিয়ার কোম্পানিগুলো। সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে সবচেয়ে সততার তালিকায় আছে সুইস ও ডাচ কোম্পানিগুলো। খবর এএফপি, বিবিসি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ওই জরিপে দেখা গেছে, ২০১০ সালে বিভিন্ন দেশে চীন ও রাশিয়া প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। টিআইএর বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিশাল পরিমাণ বাণিজ্য বিনিয়োগ উদ্বেগের বিষয় নয়; উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বিশাল বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশ দুটি সর্বোচ্চ পরিমাণ ঘুষের আদান-প্রদান সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিযোগিতা বাজারকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। উল্লেখ্য, প্রায় ৩ হাজার বিজনেস এক্সিকিউটিভের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এ জরিপে অংশগ্রহণ করে। আগামী মাসে ব্যবসা ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়ার ক্ষেত্রে মোট ২৮টি দেশের সূচক তালিকাসহ পরিপূর্ণ রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে। তাালিকার সবার নিচে আছে রাশিয়া ও চীন। সবার উপরে যৌথভাবে অবস্থান করছে সুইজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন আছে যথাক্রমে ৭, ৮ ও ৯ নম্বরে। তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৯ নম্বরে ব্রাজিল ১৪ এর একধাপ নিচে ১৩ নম্বরে ইতালি।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বহির্বিশ্ব বাণিজ্য করার সময় বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করাকে অনেক রাষ্ট্রই ব্যবসায়ের অংশ হিসেবেই মনে করে। কাজ পাইয়ে দেওয়া কোনো কোম্পানি কিংবা সরকারি ব্যক্তিদের ঘুষ দেওয়া হয়। কাজের টেন্ডার লাভের আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো ঘুষ দিয়ে থাকে। ঘুষের সবচেয়ে বেশি প্রচলন উন্নয়নমূলক কাজে। বিশেষত রাস্তা নির্মাণ ও হাউজিং প্রজেক্টে ঘুষ আদান-প্রদানের হার বেশি। এরপরই আছে জ্বালানি, গ্যাস ও কৃষি খাতে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বহির্বিশ্ব বাণিজ্য করার সময় বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করাকে অনেক রাষ্ট্রই ব্যবসায়ের অংশ হিসেবেই মনে করে। কাজ পাইয়ে দেওয়া কোনো কোম্পানি কিংবা সরকারি ব্যক্তিদের ঘুষ দেওয়া হয়। কাজের টেন্ডার লাভের আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো ঘুষ দিয়ে থাকে। ঘুষের সবচেয়ে বেশি প্রচলন উন্নয়নমূলক কাজে। বিশেষত রাস্তা নির্মাণ ও হাউজিং প্রজেক্টে ঘুষ আদান-প্রদানের হার বেশি। এরপরই আছে জ্বালানি, গ্যাস ও কৃষি খাতে।
No comments