৭ নভেম্বরের আলোচনায় বিশিষ্টজন : বিএনপির নেতৃত্বে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ এখন সময়ের দাবি
আওয়ামী লীগ বারবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করছে বলে অভিযোগ করে বিশিষ্টজনরা বলেন, একাত্তরে যে চেতনা নিয়ে মুক্তিকামী জনতা নয় মাস যুদ্ধ করেছে, তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র লুণ্ঠন করেছে। এখনও দলটি একই চক্রান্তে লিপ্ত। দেশবিরোধী এই কাণ্ড ধূলিসাত্ করতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ এখন সময়ের দাবি। দেশ বাঁচাতে বিএনপির নেতৃত্বে সেই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে তারা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় দেশের বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিকরা বক্তৃতা করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ ছাড়া আর কিছুই নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া এদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টিএইচ খানের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমান, বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, কর্নেল (অব.) মোবাস্বের হোসেন খান, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, এএইচএম হালিম, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এমপি, হাবীব উন নবী খান সোহেল, জাফরুল হাসান, নিতাই রায় চৌধুরী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, আবদুল লতিফ জনি, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সংবিধানের ১২৬ ধারায় রয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে কোনো নির্বাচন করার জন্য যা চাইবে সরকার তা দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু সরকার সেনাবাহিনী না দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, দেশকে দুর্ভিক্ষ থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান এদেশের হাল ধরেছিলেন, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা শক্ত হাতে দমন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন। সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল জিয়াউর রহমান তা রুখে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ’৭২-’৭৫ সালে আমরা দেখেছি, এই দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে আজকে যারা ক্ষমতায় তারাই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। জনগণের জীবন আজ দুর্বিষহ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। আজকে দেশের সীমান্ত অরক্ষিত। ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নামে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তিনি বলেন, সরকার দশ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বললেও কোনো ওয়াদা পূরণ করতে পারেনি। ড. মোশাররফ বলেন, এই সরকারের কাছে দেশ আজ নিরাপদ নয়, জনগণ নিরাপদ নয়। জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। তাই জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেজন্য খালেদা জিয়া যে আন্দোলন-সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন, সেই সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে বিদায় করতে হবে।
অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, দেশে দেশে অভ্যুত্থান বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার উদাহরণ আমরা দেখেছি। কিন্তু ৭ নভেম্বর দেশরক্ষায় সিপাহি-জনতার বিপ্লবে জিয়াউর রহমান অগ্রভাগে এসেছিলেন। অন্ধকার পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করতেই তিনি হাল ধরেছিলেন। জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক অভিহিত করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অনেকেই পালন করেছেন, কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠেছিলেন কেবল জিয়াউর রহমান।
অধ্যাপক ড. মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের মনে যে বীজ বপন করেছিলেন, সময়ের প্রয়োজনেই ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তা প্রস্ফুটিত হয়। তিনি একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে যে নীতিমালা করেছেন, তা এদেশকে বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র কৌশল হিসেবে বিবেচিত। জাতীয়তাবাদী আদর্শই এখন বাংলাদেশ রক্ষার একমাত্র অবলম্বন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শওকত মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও এ জাতি সার্বভৌমত্ব পেয়েছে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। তিনি বলেন, আমি শেখ মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলতে চাই, ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে আমরা তাকে মাঠে পাইনি। ’৭১-এ মুজিবনগর সরকার ও ’৭২-এর সংবিধানে শেখ মুজিবকে জাতির পিতা ঘোষণা দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, এখন দেশে যেভাবে দলীয়করণ চলছে, তাতে দেশের মানুষ প্রতিবাদ না করে পারে না।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে যেভাবে কথা বলেন তাতে মনে হয়, তার ১২৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা না পেলেও চলবে, কিন্তু যোগাযোগমন্ত্রীকে তার লাগবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইভী আর শামীম ওসমানকে ডেকে বললেন, দু’জনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। অর্থাত্ সন্ত্রাসীকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করলেও তার পাশে রাখতে হবে। শওকত মাহমুদ বলেন, নরসিংদীতে দলীয় কোন্দলে পৌর মেয়রকে হত্যা করা হলেও বিরোধীদলীয় খায়রুল কবির খোকনকে জড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ ছাড়া আর কিছুই নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া এদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টিএইচ খানের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমান, বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, কর্নেল (অব.) মোবাস্বের হোসেন খান, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, এএইচএম হালিম, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এমপি, হাবীব উন নবী খান সোহেল, জাফরুল হাসান, নিতাই রায় চৌধুরী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, আবদুল লতিফ জনি, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সংবিধানের ১২৬ ধারায় রয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে কোনো নির্বাচন করার জন্য যা চাইবে সরকার তা দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু সরকার সেনাবাহিনী না দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, দেশকে দুর্ভিক্ষ থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান এদেশের হাল ধরেছিলেন, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা শক্ত হাতে দমন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন। সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল জিয়াউর রহমান তা রুখে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ’৭২-’৭৫ সালে আমরা দেখেছি, এই দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে আজকে যারা ক্ষমতায় তারাই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। জনগণের জীবন আজ দুর্বিষহ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। আজকে দেশের সীমান্ত অরক্ষিত। ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নামে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তিনি বলেন, সরকার দশ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বললেও কোনো ওয়াদা পূরণ করতে পারেনি। ড. মোশাররফ বলেন, এই সরকারের কাছে দেশ আজ নিরাপদ নয়, জনগণ নিরাপদ নয়। জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। তাই জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেজন্য খালেদা জিয়া যে আন্দোলন-সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন, সেই সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে বিদায় করতে হবে।
অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, দেশে দেশে অভ্যুত্থান বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার উদাহরণ আমরা দেখেছি। কিন্তু ৭ নভেম্বর দেশরক্ষায় সিপাহি-জনতার বিপ্লবে জিয়াউর রহমান অগ্রভাগে এসেছিলেন। অন্ধকার পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করতেই তিনি হাল ধরেছিলেন। জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক অভিহিত করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অনেকেই পালন করেছেন, কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠেছিলেন কেবল জিয়াউর রহমান।
অধ্যাপক ড. মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের মনে যে বীজ বপন করেছিলেন, সময়ের প্রয়োজনেই ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তা প্রস্ফুটিত হয়। তিনি একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে যে নীতিমালা করেছেন, তা এদেশকে বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র কৌশল হিসেবে বিবেচিত। জাতীয়তাবাদী আদর্শই এখন বাংলাদেশ রক্ষার একমাত্র অবলম্বন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শওকত মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও এ জাতি সার্বভৌমত্ব পেয়েছে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। তিনি বলেন, আমি শেখ মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলতে চাই, ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে আমরা তাকে মাঠে পাইনি। ’৭১-এ মুজিবনগর সরকার ও ’৭২-এর সংবিধানে শেখ মুজিবকে জাতির পিতা ঘোষণা দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, এখন দেশে যেভাবে দলীয়করণ চলছে, তাতে দেশের মানুষ প্রতিবাদ না করে পারে না।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে যেভাবে কথা বলেন তাতে মনে হয়, তার ১২৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা না পেলেও চলবে, কিন্তু যোগাযোগমন্ত্রীকে তার লাগবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইভী আর শামীম ওসমানকে ডেকে বললেন, দু’জনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। অর্থাত্ সন্ত্রাসীকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করলেও তার পাশে রাখতে হবে। শওকত মাহমুদ বলেন, নরসিংদীতে দলীয় কোন্দলে পৌর মেয়রকে হত্যা করা হলেও বিরোধীদলীয় খায়রুল কবির খোকনকে জড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
No comments