প্রত্যাশা পূরণে পিছিয়ে সার্ক by মেহেদী হাসান

ড়াই দশকেও আঞ্চলিক জোট হিসেবে দক্ষিণ এশীয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) তার লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশ্লেষক ও সাবেক কূটনীতিকরা। এ ব্যর্থতার জন্য তাঁদের কেউ কেউ দায়ী করেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার বৈরিতাকে। আবার অনেকে বলেন, সার্কের সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক আস্থার সংকটের কথা। আগামী দিনগুলোয় এ জোট সক্রিয় হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে_এমন জোরালো কোনো সম্ভাবনাও তাঁরা দেখছেন না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তানসহ পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা সার্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখছেন তাঁরা।


সার্ক সম্পর্কে ভারতের যশবন্ত সিং গত বছর তাঁর দেশের দ্য ইকোনমিক টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমি মনে করি, সার্ক পুরোপুরি ব্যর্থ। সার্ক বিশ্বের অন্য জোটগুলোর মতো সক্রিয় জোট হতে পারেনি। এ নিয়ে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক দিনের। তবে ওই সম্পর্ক সার্কের বাইরে দ্বিপক্ষীয়। এমনকি সার্কের নতুন সদস্য আফগানিস্তানের সঙ্গেও ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে তাও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গণ্ডিতে বাধা। যশবন্ত সি আরো বলেন, 'সমালোচকরা মনে করেন, ভারত বৃহৎ দেশ ও দৃশ্যত বড় ভাই
হওয়ায় এ অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত ছোট দেশগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এটাই বাস্তবতা। ভারত বড় দেশ এবং আমরা কারো সন্তুষ্টির জন্য ছোট হতে পারি না। আমরা বড় কি না তা নয়, এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা বড় ভাইয়ের মতো ছোটদের ওপর খবরদারি করছি কি না। এ ক্ষেত্রে আমি ভারতকে দোষ দিতে রাজি নই। ভারত তার সব প্রতিবেশীর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে এবং বড় ভাইয়ের মতো আচরণ করেনি।'
যশবন্ত সিং দাবি করেন, সার্কের বিকাশে প্রধান সমস্যা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং অন্যান্য অস্থিরতা। পুরো আঞ্চলিক জোটের বিকাশে এর প্রভাব পড়েছে। ২০০৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ি যখন ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন, তখন পুরো অঞ্চলের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু পাকিস্তান ভারতকে 'মোস্ট ফেভারড নেশন' (এমএফএন) স্ট্যাটাস দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ কারণে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) হয়নি।
যশবন্ত সিং বলেন, 'আমি সার্কের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছি। সার্কের উদ্যোগে এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান যদি তার মনোভাব না বদলায় তাহলে সার্কের বাণিজ্য ও সহযোগিতার লক্ষ্য কখনোই পূরণ হবে না।'
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব এম আর ওসমানী সার্ক ব্যর্থ হওয়ার জন্য ভারত ও পাকিস্তানকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, যেকোনো ইস্যুতে সার্কের প্রতিটি দেশের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা আছে। ভারত ও পাকিস্তান ওই ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ২০০৯ সালের ১৪ জুন ঢাকায় সার্কের এক সেমিনারে বলেন, সার্ক জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। অন্য আঞ্চলিক সংস্থাগুলো অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

অনেক সম্ভাবনা, আলোচনার পরও দৃশ্যত ফল নেই
সার্কের বর্তমান সভাপতি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লিয়ন চোয়েন জিগমে ওয়াই থিনলে গত জানুয়ারি মাসে ঢাকা সফরে এলে সাংবাদিকরা তাঁর কাছে সংস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, ভুটান সার্কের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে (গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত) সম্মেলনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দু্ই শতাধিক বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকের মাধ্যমে সার্ককে আরো গতিশীল করার প্রয়াস চলছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, নানা ইস্যুতে বছরজুড়ে সার্কের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও বেশ ধীরগতির। এ কারণে অনেক বৈঠক ও সম্ভাবনার পরও প্রত্যাশিত ফল তেমন একটা আসে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে জানান, ইন্টারপোলের আদলে সার্কের অভিন্ন পুলিশ বাহিনী গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এটি বেশি দূর এগোয়নি।
সূত্র আরো জানায়, সার্ক শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ বা কাশ্মীর সংকটের মতো রাজনৈতিক ইস্যুর চেয়ে মৌলিক সমস্যাগুলোর ওপর জোর দেয়। তবে সার্কের অনেক বৈঠকে রাজনৈতিক ইস্যুও এসেছে। আঞ্চলিক জোট হিসেবে সার্ক তার সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বৃহৎ পরিসরে সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, অন্যান্য আঞ্চলিক জোটের সাফল্য দেখলে সার্ক নিয়ে হতাশ হতে হয়। এত বছরেও তেমন কোনো ফল নেই। অনেক দেশই আঞ্চলিক সহযোগিতার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। তারা দ্বিপক্ষীয়ভাবেই বিষয়গুলো মোকাবিলা করতে চায়। এ কারণে সার্কের ফল তেমন দেখা যায় না। সার্ক গণতন্ত্র সনদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমনওয়েলথের কোনো দেশ গণতন্ত্র থেকে সরে গেলে সাময়িকভাবে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখানে যে গণতন্ত্র সনদ প্রণীত হলো তা অনেকটাই ঐচ্ছিক। মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা নিয়েও তেমন কার্যকর কিছু হলো না। খাদ্য সংকটের সময়ও সার্ক খাদ্যভাণ্ডারের আওতায় চাল মেলেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে ১৯৮৫ সালে সার্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এ সংস্থাকে ঘিরে সবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা গত আড়াই দশকেও পূরণ হয়নি। এটাও সত্য যে, সার্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সার্ক না থাকলে এটা হয়তো পাওয়া যেত না। তবে অন্যান্য আঞ্চলিক সংস্থার যে অর্জন, তার তুলনায় সার্ক নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে তেমন আশান্বিত হই না।' তিনি বলেন, 'সার্ক সনদেই দুটি কাঠামোগত বড় সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি। এর একটি হলো যেকোনো দ্বিপক্ষীয়, রাজনৈতিক বা নিরাপত্তাবিষয়ক দ্বন্দ্বগুলো নিয়ে সার্ক ফোরামে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ নেই। অন্যটি হলো সার্কের ভেতর যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় সব রাষ্ট্রের সম্মতির ভিত্তিতে। আজকের বাস্তবতায় কোনো ইস্যুতে সব রাষ্ট্রের সম্মতি পাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। এর ফলে কাঠামোগত কারণে সার্কের অনেক সিদ্ধান্ত আটকে যাচ্ছে।'
ড. দেলোয়ার হোসেন মনে করেন, কাঠামোগত ওই দুটি বাধা ছাড়াও ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা সব সময় সার্কের ওপর প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার পূর্বশর্ত হলো দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা। দক্ষিণ এশিয়ায় এখনো অনেক সাংঘর্ষিক বিষয় রয়ে গেছে। রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতবিরোধ আঞ্চলিক ফোরামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তি দুর্বল। আবার সার্কের ব্যাপারে কিছু রাষ্ট্রের অনাগ্রহ রয়েছে। ভারতের দিক থেকে কখনো কখনো এমন অনাগ্রহ ফুটে উঠেছে। আবার পাকিস্তানের দিক থেকে প্রথম প্রথম সার্কের ব্যাপারে আগ্রহ ছিল না। কারণ দেশটির আশঙ্কা ছিল, এর মাধ্যমে তার ওপর অন্য রাষ্ট্রের প্রভাব সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া আঞ্চলিক নেতৃত্বও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। আসিয়ান বা অন্য আঞ্চলিক ফোরামের সাফল্যের পেছনে আমরা কোনো দেশ বা ব্যক্তির শক্তিশালী নেতৃত্ব দেখি, সার্কের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখি না।
ড. দেলোয়ার হোসেন আরো বলেন, সার্ক এখনো অনেকটা রাষ্ট্রকেন্দ্রিক বা আমলাকেন্দ্রিক। যে আমলারা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁরাই সার্কের গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নেন। জনগণ, সুশীল সমাজ বা বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিত্ব এখানে নেই। এ জন্য আমরা সার্ক সম্মেলনের সময় জনতার বা সাধারণ মানুষের সার্ক ফোরামের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি দেখতে পাই।
কিছুটা সাফল্য : কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সার্ক ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ না হলেও সংস্থা হিসেবে এর সাফল্যও আছে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে এই আঞ্চলিক জোট গঠনে উদ্যোগ নিতে ভূমিকা রেখেছে। সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনৈতিক নেতারা নিয়মিত বৈঠক ও সমস্যা নিয়ে আলোচনার সুযোগ পান। তাঁদের আলোচনা অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও জনগণের জন্য মঙ্গলজনক সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রাখে। এটি মোটেও কম অর্জন নয়।
১৯৮৬ সালে ভারতে দ্বিতীয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় সামরিক মহড়া নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অনানুষ্ঠানিক আলোচনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রেখেছে। আবার ১৯৮৭ সালে সার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভারত ও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনা তামিল সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯২ সালে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে ঠেকাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটি সম্ভব হয়েছিল ১৯৯১ সালের ডিসেম্বের মাসে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে ওই দুই প্রধানমন্ত্রীর অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও বোঝাপড়ার ফলে।
এরপর নবম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সার্কের সরকারপ্রধানরা আঞ্চলিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অনানুষ্ঠানিক রাজনৈতিক আলোচনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তী সম্মেলনগুলোতেও তাঁদের মধ্যে এ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৭৩ সালে সার্ক প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (সাপটা), ২০০৪ সালে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলবিষয়ক চুক্তি (সাফটা) স্বাক্ষরিত হয়। সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। সার্কের আওতায় কৃষি, বায়োটেকনোলজি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, জ্বালানি, পরিবেশ, অর্থ ও অর্থায়ন কাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন, তথ্য, যোগাযোগ ও গণমাধ্যম, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, দারিদ্র্য বিমোচন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, সামাজিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পর্যটন খাতে সদস্য দেশগুলোর কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সার্কের মাধ্যমে অন্তত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বর্তমান দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বের এক এক-পঞ্চমাংশ মানুষের বসবাস। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ অঞ্চলের গুরুত্ব বেড়েছে। এ ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতার সুযোগ। আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর মালদ্বীপে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কয়েকটি চুক্তির বাইরে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো উষ্ণ হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.