ভারতকে করিডোর দেয়ায় ২৬ নাগরিকের উদ্বেগ : ৪ মন্ত্রণালয়কে চিঠি
কোনো চুক্তি ছাড়াই ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে চার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন ২৬ বিশিষ্ট নাগরিক। ২৬ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে বিবিসি-খ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্বাক্ষরিত চিঠি গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানো হয়। চিঠিতে কোন চুক্তির আওতায় ভারত নৌপথে জাহাজে আশুগঞ্জ বন্দরে পণ্য নিয়ে আসছে এবং সড়কপথে আগরতলায় পৌঁছানো হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া নৌপথে আশুগঞ্জবন্দর ও সড়কপথে আগরতলা পর্যন্ত ভারতকে করিডোরের বিনিময়ে বাংলাদেশ কী পাচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
কোন চুক্তি এবং কোন শর্তের আওতায় নৌপথে ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ ও সড়কপথে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে বাংলাদেশ এবং জাহাজে করে কী ধরনের পণ্য আশুগঞ্জবন্দরের মাধ্যমে সড়কপথে আগরতলা পর্যন্ত পৌঁছানো হচ্ছে, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয় বিশিষ্ট নাগরিকদের চিঠিতে।
বিশিষ্ট নাগরিকদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়—গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানতে পেরেছি যে, ভারত তাদের দেশের এক অংশ থেকে অন্য অংশে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করছে। এসব পণ্য প্রথমে জলপথে বাংলাদেশের আশুগঞ্জবন্দরে আনা হয়। তারপর স্থলপথে আগরতলা নেয়া হয়। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় আমাদের সড়কপথ, জলপথ ও বন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের জানামতে, এজাতীয় ট্রানজিটের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি নেই। বিষয়টিকে খোলাসা করে বলতে গেলে এটাই বলতে হয়, বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ ভারতীয় ভারী যানবাহন বহনের উপযোগী নয়। অথচ বাংলাদেশকে ‘করিডোর’ হিসেবে ব্যবহার করে এসব ভারতীয় ভারী যান-পণ্য তাদের দেশের এক অংশ থেকে অন্য অংশে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, একটি সার্বভৌম দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এটা ভেবে হতভম্ব হয়ে যাই যে, দেশবাসীকে চুক্তি সম্পর্কে অন্ধকারে রেখে একটি বিদেশি রাষ্ট্রকে এই করিডোর সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
আমরা এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর থেকে ভারত তার পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় পণ্য পরিবহনে করিডোর ব্যবস্থাপনা চেয়ে আসছে। কিন্তু অতীতের কোনো সরকারই ভারতের এ দাবিতে সাড়া দেয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকার ট্রানজিট বা করিডোর ইস্যুতে তার দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতি থেকে সরে আসছে বলে প্রতীয়মান হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইস্যুটি সামনের সারির বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ভারতের উদ্দেশ্য হাসিলের সুযোগ করে দিতে কয়েকজন মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ধারাবাহিকভাবে যেসব দায়িত্বহীন মন্তব্য করেছেন, তার কারণে এই বিতর্কটি তৈরি হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরের পর এটা জানা যায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট সভায় বলেছেন, তিস্তা চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ট্রানজিট চুক্তি হবে না। ২০১১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও নকলা উপজেলার নালিতাবাড়ীতে আয়োজিত এক সভায় বলেছেন, ‘তিস্তা চুক্তি না হলে ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি হবে না।’
কিন্তু আমরা এখন জানতে পারছি, ভারতের জন্য ট্রানজিট সুবিধা ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। পুরো বিষয়টি বেশক’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, যার উত্তর এখনও দেশবাসী জানতে পারেনি। তাই আমরা এই প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করছি এবং আগ্রহের সঙ্গে এটা প্রত্যাশা করছি যে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এক মাসের মধ্যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন, যাতে বিষয়টি এদেশের জনগণ ভালো করে বুঝতে পারে। আর জনগণই হচ্ছে সার্বভৌমত্বের প্রকৃত মালিক।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট নাগিরকরা হলেন : প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর তালুকদার মনিরুজ্জামান, আতাউস সামাদ, মোহাম্মদ আসাফ্উদ্দৌলাহ্, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহার, আলমগীর মহিউদ্দিন, মাহমুদুর রহমান, রুহুল আমিন গাজী, ড. পিয়াস করিম, ড. সদরুল আমিন, ড. আফম ইউসুফ হায়দার, ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, ড. বোরহান উদ্দিন খান, কামাল উদ্দিন সবুজ, ড. মোহাম্মদ মাহবুব উল্লাহ, ড. কামরুল হাসান চৌধুরীড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. আবদুর রহমান সিদ্দিকী, ড. রাজিয়া আকতার বানু, আবদুল হাই শিকদার, সৈয়দ আবদাল আহমদ, অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট নাসিম আহমেদ, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির।
বিশিষ্ট নাগরিকদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়—গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানতে পেরেছি যে, ভারত তাদের দেশের এক অংশ থেকে অন্য অংশে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করছে। এসব পণ্য প্রথমে জলপথে বাংলাদেশের আশুগঞ্জবন্দরে আনা হয়। তারপর স্থলপথে আগরতলা নেয়া হয়। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় আমাদের সড়কপথ, জলপথ ও বন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের জানামতে, এজাতীয় ট্রানজিটের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি নেই। বিষয়টিকে খোলাসা করে বলতে গেলে এটাই বলতে হয়, বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ ভারতীয় ভারী যানবাহন বহনের উপযোগী নয়। অথচ বাংলাদেশকে ‘করিডোর’ হিসেবে ব্যবহার করে এসব ভারতীয় ভারী যান-পণ্য তাদের দেশের এক অংশ থেকে অন্য অংশে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, একটি সার্বভৌম দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এটা ভেবে হতভম্ব হয়ে যাই যে, দেশবাসীকে চুক্তি সম্পর্কে অন্ধকারে রেখে একটি বিদেশি রাষ্ট্রকে এই করিডোর সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
আমরা এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর থেকে ভারত তার পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় পণ্য পরিবহনে করিডোর ব্যবস্থাপনা চেয়ে আসছে। কিন্তু অতীতের কোনো সরকারই ভারতের এ দাবিতে সাড়া দেয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকার ট্রানজিট বা করিডোর ইস্যুতে তার দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতি থেকে সরে আসছে বলে প্রতীয়মান হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইস্যুটি সামনের সারির বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ভারতের উদ্দেশ্য হাসিলের সুযোগ করে দিতে কয়েকজন মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ধারাবাহিকভাবে যেসব দায়িত্বহীন মন্তব্য করেছেন, তার কারণে এই বিতর্কটি তৈরি হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরের পর এটা জানা যায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট সভায় বলেছেন, তিস্তা চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ট্রানজিট চুক্তি হবে না। ২০১১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও নকলা উপজেলার নালিতাবাড়ীতে আয়োজিত এক সভায় বলেছেন, ‘তিস্তা চুক্তি না হলে ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি হবে না।’
কিন্তু আমরা এখন জানতে পারছি, ভারতের জন্য ট্রানজিট সুবিধা ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। পুরো বিষয়টি বেশক’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, যার উত্তর এখনও দেশবাসী জানতে পারেনি। তাই আমরা এই প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করছি এবং আগ্রহের সঙ্গে এটা প্রত্যাশা করছি যে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এক মাসের মধ্যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন, যাতে বিষয়টি এদেশের জনগণ ভালো করে বুঝতে পারে। আর জনগণই হচ্ছে সার্বভৌমত্বের প্রকৃত মালিক।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট নাগিরকরা হলেন : প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর তালুকদার মনিরুজ্জামান, আতাউস সামাদ, মোহাম্মদ আসাফ্উদ্দৌলাহ্, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহার, আলমগীর মহিউদ্দিন, মাহমুদুর রহমান, রুহুল আমিন গাজী, ড. পিয়াস করিম, ড. সদরুল আমিন, ড. আফম ইউসুফ হায়দার, ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, ড. বোরহান উদ্দিন খান, কামাল উদ্দিন সবুজ, ড. মোহাম্মদ মাহবুব উল্লাহ, ড. কামরুল হাসান চৌধুরীড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. আবদুর রহমান সিদ্দিকী, ড. রাজিয়া আকতার বানু, আবদুল হাই শিকদার, সৈয়দ আবদাল আহমদ, অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট নাসিম আহমেদ, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির।
No comments